জাতিসংঘের UN Emergency Force (UNEF) প্রথমবার কোন আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবিলায় মোতায়েন করা হয়েছিল?
A
সুয়েজ সংকট
B
কঙ্গো সংকট
C
কাশ্মীর সংকট
D
বসনিয়া সংকট
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন UNEF
• UNEF এর পূর্ণরূপ: United Nations Emergency Force
• এটি সুয়েজ সংকট (1956) সমাধানের জন্য গঠিত হয়েছিল
• UNEF-I ছিল জাতিসংঘের প্রথম সশস্ত্র শান্তিরক্ষা মিশন
• সময়কাল: নভেম্বর ১৯৫৬ – জুন ১৯৬৭
• এই মিশনের মাধ্যমে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী প্রথমবার সরাসরি সংঘাতে নিয়োজিত হয়
সূত্র: United Nations Peacekeeping ওয়েবসাইট, দৈনিক কালের কণ্ঠ
0
Updated: 1 month ago
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কত শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
২৫%
B
৩৫%
C
৪৩%
D
৫০%
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
গ্রিন হাউস
প্যারিস শান্তি চুক্তি
সাম্রাজ্যের পতন
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি (Paris Climate Agreement)
-
সংজ্ঞা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
স্বাক্ষরের সাল: ২০১৫ (COP-21 সম্মেলন)
-
স্বাক্ষরের স্থান: প্যারিস, ফ্রান্স
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ৪ নভেম্বর, ২০১৬
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯৫টি দেশ
মূল উদ্দেশ্য
-
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমাবদ্ধ রাখা এবং ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা।
-
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন প্রায় ৪৩% হ্রাস করা।
-
২০৫০–২১০০ সালের মধ্যে নিঃসৃত গ্রিনহাউস গ্যাস প্রাকৃতিকভাবে গাছ, মাটি ও সমুদ্র যতটা শোষণ করতে পারে, সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
-
প্রতি ৫ বছর অন্তর প্রত্যেক দেশের অবদান (Nationally Determined Contributions – NDCs) পর্যালোচনা করা।
-
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারে গরিব দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ধনী দেশগুলোর জলবায়ু তহবিল গঠন।
জলবায়ু তহবিল
-
উন্নত দেশগুলো ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
-
এই অর্থ উন্নয়নশীল ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অভিযোজন (adaptation) ও প্রশমন (mitigation) কার্যক্রমে ব্যয় হওয়ার কথা।
-
COP-29 (নভেম্বর, ২০২৪)-এ এই প্রতিশ্রুতি বাড়ানো হয়:
-
২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
-
লক্ষ্য: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা করা।
-
উৎস:
i) UNFCCC (United Nations Framework Convention on Climate Change) ওয়েবসাইট
ii) UNTC (United Nations Treaty Collection) ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
চীন-জাপান যুদ্ধে জাপান তাইওয়ান দখল করে নিয়েছিল কত সালে?
Created: 2 months ago
A
১৮৯১ সালে
B
১৮৯৫ সালে
C
১৮৯৩ সালে
D
১৮৯৭ সালে
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
চীন-জাপান যুদ্ধ
তাইওয়ান
প্রথম চীন-জাপান যুদ্ধ (First Sino-Japanese War, 1894–1895)
-
সময়কাল: ১ আগস্ট, ১৮৯৪ – ১৭ এপ্রিল, ১৮৯৫
-
প্রতিদ্বন্দ্বী: চীনের কিং রাজবংশ বনাম জাপানের মেইজি সরকার
-
যুদ্ধের স্থান: কোরিয়া, মাঞ্চুরিয়া, তাইওয়ান, হলুদ সাগর
-
মূল কারণ: কোরিয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ ও পূর্ব এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার
প্রধান ঘটনা
-
যুদ্ধ ঘোষণা:
-
১ আগস্ট, ১৮৯৪ – জাপান আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
-
-
ফেংদাও নৌযুদ্ধ:
-
২৫ জুলাই, ১৮৯৪ – জাপান চীনের নৌবাহিনীকে পরাজিত করে।
-
-
জাপানের দখল:
-
কোরিয়ার সিওংহ্বান ও পিয়ংইয়ং দখল।
-
মাঞ্চুরিয়ার লিয়াওডং উপদ্বীপ দখল।
-
১৮৯৫ – তাইওয়ান ও পেঙ্ঘু দ্বীপপুঞ্জ দখল।
-
-
যুদ্ধের সমাপ্তি:
-
১৭ এপ্রিল, ১৮৯৫ – শিমোনোসেকি চুক্তি (Treaty of Shimonoseki) স্বাক্ষরিত।
-
চীনের প্রভাব কোরিয়ায় শেষ হয়।
-
জাপান শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
উৎস: Britannica
0
Updated: 2 months ago
জৈন ধর্মের প্রথম তীর্থঙ্কর কে ছিলেন?
Created: 2 months ago
A
মহাবীর
B
নেমিনাথ
C
ঋষভনাথ
D
পার্শ্বনাথ
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
আন্তর্জাতিক সংস্থা
জৈনধর্ম (Jainism)
-
মূল তথ্য:
-
ভারতীয় উপমহাদেশের একটি প্রাচীন ধর্ম।
-
বিশ্বের প্রাচীনতম ধর্মমতগুলোর মধ্যে অন্যতম।
-
“জৈন” শব্দটি এসেছে সংস্কৃত “জিন” থেকে, যার অর্থ জয়ী।
-
-
ধর্মগ্রন্থ ও সম্প্রদায়:
-
প্রধান ধর্মগ্রন্থ: দ্ব্বাদশ অঙ্গ
-
প্রধান দুটি সম্প্রদায়: শ্বেতাম্বর ও দিগম্বর
-
জৈনধর্মের মূল নীতি
-
যে মানুষ আসক্তি, আকাঙ্ক্ষা, ক্রোধ, অহংকার, লোভ ইত্যাদি জয় করে পবিত্র অনন্ত জ্ঞান লাভ করেছে, তাকে জিন বলা হয়।
-
জিনদের আচরণ ও শিক্ষা অনুসরণকারীদের বলা হয় জৈন।
-
ধর্মগুরুদের বলা হয় তীর্থঙ্কর।
-
ইতিহাসে ২৪ তীর্থঙ্করের উল্লেখ রয়েছে।
-
প্রথম তীর্থঙ্কর: ঋষভনাথ
-
সর্বশেষ তীর্থঙ্কর: মহাবীর
মহাবীর ও জৈনধর্মের প্রচার
-
খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীতে জৈনধর্মের প্রধান প্রচারক: মহাবীর (২৪তম তীর্থঙ্কর)
-
মহাবীরকে অনেক সময় ভুলবশত ধর্মপ্রবর্তক মনে করা হয়, কিন্তু তিনি শুধুমাত্র ধর্মের প্রচারক ছিলেন।
-
মহাবীরের পূর্বসূরি:
-
২৩তম তীর্থঙ্কর: পার্শ্বনাথ
-
২২তম তীর্থঙ্কর: নেমিনাথ
-
উৎস: Britannica, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (ষষ্ঠ শ্রেণি)
0
Updated: 2 months ago