A
নীলনদ ও সিন্ধু
B
টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস
C
হোয়াংহো ও ইয়াংসিকিয়াং
D
দানিউব ও রাইন
উত্তরের বিবরণ
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা
-
শব্দের অর্থ: ‘মেসোপটেমিয়া’ একটি গ্রিক শব্দ, যার অর্থ “দুই নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চল”।
-
অবস্থান: টাইগ্রিস (দজলা) ও ইউফ্রেটিস (ফোরাত) নদীর উর্বর উপত্যকায়, যা বর্তমানে ইরাকের সীমার মধ্যে অবস্থিত।
-
প্রাচীনত্ব: পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর একটি। খ্রিস্টপূর্ব ৫,০০০ অব্দের দিকে মিশরের নগর সভ্যতার সঙ্গে সমান্তরালভাবে মেসোপটেমিয়ার নগর সভ্যতা গড়ে ওঠে।
-
ভাগ: মেসোপটেমিয়া মূলত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল — উত্তর অংশ এবং দক্ষিণ অংশ।
-
ধর্ম ও সংস্কৃতি:
-
জনগণ বহুঈশ্বরবাদে বিশ্বাস করত।
-
সভ্যতার বিশেষত্ব হলো ধর্ম, সাহিত্য, বিজ্ঞান এবং আইন।
-
সভ্যতার নগরায়ন, চাষাবাদ, মুদ্রা ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক কাঠামো ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
-
উৎস: History.com, Britannica।

0
Updated: 18 hours ago
মেসোপটেমীয় সভ্যতা গড়ে উঠেছিল কোথায়?
Created: 5 days ago
A
হোয়াংহো নদীর তীরে
B
ইয়াংসিকিয়াং নদীর তীরে
C
নীলনদের তীরে
D
ট্রাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা (Mesopotamian Civilization)
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন সভ্যতা। খ্রিস্টপূর্ব ৪,০০০ সালের দিকে মিশরে নগর সভ্যতা গড়ে উঠার সময় একই সময়ে মেসোপটেমিয়ায়ও নগর সভ্যতার উত্থান ঘটেছিল।
‘মেসোপটেমিয়া’ শব্দটি গ্রিক থেকে এসেছে, যার অর্থ “দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি।” এটি টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যে অবস্থিত উর্বর উপত্যকা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। গ্রিক লেখকরা মূলত এই নামকরণ করেছেন।
মেসোপটেমিয়া মূলত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল:
-
উত্তর মেসোপটেমিয়া: বর্তমান অ্যাসেরীয় অঞ্চল।
-
দক্ষিণ মেসোপটেমিয়া: মূল মেসোপটেমিয়া অঞ্চল।
আজকের দিনে প্রায় সব অঞ্চল ইরাকের ভেতরে অবস্থিত। তবে সভ্যতার কিছু অংশ সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান এবং কুয়েতেও ছিল। মেসোপটেমিয়ার মানুষরা বহু-ঈশ্বরবাদী ধর্মে বিশ্বাস করত।
উৎস: Britannica

0
Updated: 5 days ago
দুই নদীর মধ্যবর্তী সভ্যতা ছিল কোনটি?
Created: 1 week ago
A
গ্রিক সভ্যতা
B
পারস্য সভ্যতা
C
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা
D
মিনীয় সভ্যতা
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা
সাম্রাজ্যের পতন
No subjects available.
মেসোপটেমিয়া সভ্যতা
-
অবস্থান: টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মধ্যবর্তী উপত্যকা।
-
অর্থ: "মেসোপটেমিয়া" একটি গ্রিক শব্দ, যার অর্থ দুই নদীর মধ্যবর্তী ভূমি।
-
প্রাচীনতম সভ্যতা: পৃথিবীর প্রাচীনতম নগর সভ্যতার অন্যতম।
-
ভৌগোলিক বিস্তার: বর্তমান ইরাকের বেশিরভাগ অঞ্চল, এছাড়াও সিরিয়া, তুরস্ক, ইরান ও কুয়েতের কিছু অংশ।
-
ধর্ম: বহুঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী ছিল।
-
বিভাগ: উত্তর অংশ (অ্যাসেরীয়) ও দক্ষিণ অংশ (মেসোপটেমিয়া)।
মেসোপটেমীয় সভ্যতার পর্যায়
১. সুমেরীয় সভ্যতা
২. ব্যাবিলনীয় সভ্যতা
৩. অ্যাসেরীয় সভ্যতা
৪. ক্যালেডীয় সভ্যতা
অবদানসমূহ
🔹 সুমেরীয় সভ্যতা
-
পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতা।
-
চাকা আবিষ্কার (সবচেয়ে বড় অবদান)।
-
জলঘড়ি ও চন্দ্র পঞ্জিকা আবিষ্কার।
🔹 ব্যাবিলনীয় সভ্যতা
-
পৃথিবীর প্রথম লিখিত আইন প্রচলন (হাম্মুরাবির আইন)।
-
সর্বপ্রথম পঞ্জিকার প্রচলন।
-
আইন প্রণয়ন ছিল প্রধান অবদান।
🔹 অ্যাসেরীয় সভ্যতা
-
বৃত্তকে ৩৬০° কোণে ভাগ করা।
-
সামরিক শক্তি, যুদ্ধবিদ্যা ও অস্ত্র তৈরিতে অবদান।
🔹 ক্যালেডীয় সভ্যতা
-
৭ দিনে সপ্তাহ গণনা শুরু।
-
প্রতিদিনকে ১২ জোড়া ঘণ্টায় ভাগ করার পদ্ধতি আবিষ্কার।
-
রাজা নেবুচাঁদনেজার এই সভ্যতা গড়ে তুলেছিলেন।
তুলনা
-
মেসোপটেমীয় সভ্যতা: নদীমাতৃক সভ্যতা (টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস)।
-
গ্রিক সভ্যতা: সাগরমুখী সভ্যতা (Oceanian civilization)।
উৎস:
i) History.com
ii) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago