A
অর্ধস্বর অর্ধস্বর
B
অর্ধস্বর
C
দ্বিস্বর
D
বর্ণসংক্ষেপ
উত্তরের বিবরণ
ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপ: অনুবর্ণ
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের বিকল্প রূপকে অনুবর্ণ বলা হয়। অনুবর্ণের মধ্যে প্রধানত তিনটি ধরন রয়েছে: ফলা, রেফ এবং বর্ণসংক্ষেপ।
ফলা
-
ব্যঞ্জনবর্ণের কিছু সংক্ষিপ্ত রূপ অন্য ব্যঞ্জনের নিচে বা ডান পাশে ঝুলে থাকে। এধরনের রূপগুলোকে ফলা বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
ন-ফলা
-
ব-ফলা
-
ম-ফলা
-
য-ফলা
-
র-ফলা
-
ল-ফলা
-
রেফ
-
রেফ হলো র-এর একটি অনুবর্ণ।
-
এটি মূলত অন্য ব্যঞ্জনের উপরে বসে র-এর সংক্ষিপ্ত রূপ প্রকাশ করে।
বর্ণসংক্ষেপ
-
যুক্তবর্ণ লেখার সময় কখনও কখনও ব্যঞ্জনবর্ণকে সংক্ষেপে লেখা প্রয়োজন হয়।
-
এই সংক্ষিপ্ত রূপগুলোকে বর্ণসংক্ষেপ বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
ৎ বর্ণটি ত-এর একটি বর্ণসংক্ষেপ, যা বাংলা বর্ণমালায় স্বতন্ত্র বর্ণ হিসেবে স্বীকৃত।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 19 hours ago
কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
Created: 1 week ago
A
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত
B
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত
C
আবশ্যকীয় ব্যয়ে কার্পন্য অনুচিত
D
আবশ্যক ব্যয়ে কার্পন্য অনুচিত
আবশ্যক মানে হলো ― যা অত্যন্ত জরুরি, অপরিহার্য, প্রয়োজনীয়।
-
আবশ্যকীয় শব্দটি প্রমিত বাংলা অভিধান অনুযায়ী ব্যবহারযোগ্য নয়; এটি অপ্রচলিত ও অশুদ্ধ রূপ।
-
কার্পণ্য অর্থ কৃপণতা, অতি কঞ্জুসি।
-
কার্পন্য শব্দটিও অশুদ্ধ, এর সঠিক রূপ হলো কার্পণ্য।
তাই শুদ্ধ বাক্য হবে:
“আবশ্যক ব্যয়ে কার্পণ্য অনুচিত।”

0
Updated: 1 week ago
'উৎকর্ষতা' কি কারণে অশুদ্ধ?
Created: 1 month ago
A
সন্ধিজনিত
B
প্রত্যয়জনিত
C
উপসর্গজনিত
D
বিভক্তিজনিত
বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• উৎকর্ষ এটি বিশেষ্য পদ,
- (উৎ + √কৃষ্ + অ) প্রত্যয় সাধিত শব্দ।
• আর এর সাথে 'তা’ (বিশেষ্য) প্রত্যয় যুক্ত করলে ‘উৎকর্ষতা’ হয় যা বিশেষ্যের দ্বিত্ব প্রয়োগ। অর্থাৎ ‘উৎকর্ষতা’ শব্দে তা-প্রত্যয়ের অপপ্রয়োগ ঘটেছে।
• ‘উৎকর্ষতা’ শব্দের এর শুদ্ধ প্রয়োগ হবে- 'উৎকর্ষ বা উৎকৃষ্টতা'।
• নিয়ম:
‘তা’ ‘ত্ব’ এবং ‘য’ হলো বিশেষ্যবাচক প্রত্যয়। যা কেবল বিশেষণ শব্দকে বিশেষ্য করে। তাই বিশেষ্য শব্দের সঙ্গে আবারো ‘তা’ ‘ত্ব’ বা য যুক্ত করলে তা ভুল হবে। যেমন: কৃপণ বিশেষণ শব্দের সাথে তা প্রত্যয় যুক্ত হয়ে কৃপণতা হয়েছে।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান ও ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 1 month ago
'প্রাতরাশ'-এর সন্ধি-
Created: 1 month ago
A
প্রাত + রাশ
B
প্রাতঃ + রাশ
C
প্রাতঃ + আশ
D
প্রাত + আশ
• বিসর্গসন্ধির নিয়ম:
অন্তঃ, পুনঃ, প্রান্তঃ ইত্যাদির পর স্বরধ্বনি থাকলে সন্ধির ফলে বিসর্গ র হয়ে পরবর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:
- অন্তঃ + অঙ্গ = অন্তরঙ্গ,
- প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ,
- অন্তঃ + আত্মা = অন্তরাত্মা,
- অন্তঃ + ইত = অন্তরিত,
- অন্তঃ + ইন্দ্রিয় = অন্তরিন্দ্রিয়,
- অন্তঃ + ঈক্ষ = অন্তরীক্ষ,
- অন্তঃ+ ঈপ = অন্তরীপ,
- পুনঃ + উত্থান = পুনরুত্থান,
- পুনঃ+ উক্তি = পুনরুক্তি,
- পুনঃ + অধিকার = পুনরধিকার।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 month ago