ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্বের উদাহরণ কোনটি?
A
জ্বলজ্বল
B
এলোমেলো
C
জ্বর জ্বর
D
কথায় কথায়
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় দ্বিত্বের প্রকারভেদ
১. ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: কোনো প্রাকৃতিক ধ্বনির অনুকরণে যে শব্দগুলি তৈরি হয়, সেগুলিকে ধ্বন্যাত্মক শব্দ বলা হয়। এর পোনপটিয়ভাবে পুনরাবৃত্তি বা পনেরাবৃত্তিকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: ঝমঝম, কুটুস-কুটুস, কুট কুট, জ্বলজ্বল, খক খক, খুটুর খুটুর, টুং টুং, টসটস
২. অনুকার দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: পরপর ব্যবহৃত এবং কাছাকাছি চেহারার শব্দ, যেখানে প্রথম শব্দটি অর্থপূর্ণ হলেও দ্বিতীয় শব্দটি সাধারণত অর্থহীন এবং প্রথম শব্দের অনুকরণে তৈরি, তাকে অনুকার দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: গুটিশুটি, ঝিকিমিকি, মোটাসোটা, আমটাম, এলোমেলো
৩. পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব
-
সংজ্ঞা: কোনো শব্দ যদি পুনরায় পুনরায় আবৃত্তি হয়, তখন তাকে পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব বলা হয়।
-
উদাহরণ: গরম গরম, জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, কথায় কথায়, ঘুম ঘুম
উৎস:
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
তখনকার দিনে পায়ে হেঁটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল। নিম্নরেখ শব্দ কোন কারকের উদাহরণ?
Created: 1 month ago
A
অপাদান কারক
B
করণ কারক
C
কর্ম কারক
D
সম্বন্ধ কারক
সম্বন্ধ কারক হলো সেই কারক যা বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে অন্য বিশেষ্য বা সর্বনামের সম্পর্ক নির্দেশ করে। এটি সাধারণত ক্রিয়ার সঙ্গে পরোক্ষ সম্পর্ক স্থাপন করে। সম্বন্ধ কারকে শব্দের সঙ্গে ‘-র’, ‘-এর’, ‘-য়ের’, ‘-কার’, ‘-কের’ ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
উদাহরণ:
-
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না।
-
আমার জামার বোতামগুলো একটু অন্য রকম।
-
তখনকার দিনে পায়ে হেঁটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল।
0
Updated: 4 weeks ago
"আহ্, কী চমৎকার দৃশ্য!" - এখানে কোন ধরনের আবেগ প্রকাশিত হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
প্রশংসা আবেগ
B
করুণা আবেগ
C
বিস্ময় আবেগ
D
আতঙ্ক আবেগ
আবেগ হলো সেই শব্দ, যার মাধ্যমে মনের নানা ভাব প্রকাশ করা হয়।
-
এই ধরনের শব্দ বাক্যের অন্য শব্দের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত না হয়ে, স্বাধীনভাবে ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: ছি ছি, আহা, বাহ্, শাবাশ, হায় হায় ইত্যাদি।
বিস্ময় আবেগ:
-
এটি সেই আবেগ, যা বিস্মিত বা আশ্চর্য হওয়ার ভাব প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ:
-
আরে! তুমি আবার কখন এলে?
-
আহ্, কী চমৎকার দৃশ্য!
-
0
Updated: 1 month ago
'গোবৈদ্য' এর প্রবাদ বাক্য কোনাটি?
Created: 1 month ago
A
মূর্খ
B
চালাক
C
হাতুড়ে
D
অলস
বাংলা প্রবাদে ‘গোবৈদ্য’ শব্দটি বিশেষভাবে হাতুড়ে বা অদক্ষ ব্যক্তিকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণত এমন কাউকে বোঝানো হয় যিনি কোনো বিষয়ে দক্ষ নন, অথচ তবুও সেই কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন। বিশেষ করে একজন অদক্ষ ডাক্তার বা চিকিৎসকের ক্ষেত্রে এই শব্দটি বেশি প্রযোজ্য। শব্দটি এসেছে ‘গো’ (গরু) এবং ‘বৈদ্য’ (চিকিৎসক) থেকে, যার আক্ষরিক অর্থ গরুর ডাক্তার। তবে প্রবাদে এটি অদক্ষতা ও হাতুড়ে মনোভাবের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
সঠিক উত্তর: গ) হাতুড়ে
অন্যান্য অপশন বিশ্লেষণ:
-
(ক) মূর্খ: গোবৈদ্য সরাসরি মূর্খতা বোঝায় না, বরং দক্ষতার অভাবকে প্রকাশ করে।
-
(খ) চালাক: চালাকির সঙ্গে গোবৈদ্যের কোনো সম্পর্ক নেই; বরং উল্টোভাবে অদক্ষতার প্রতি ইঙ্গিত করে।
-
(ঘ) অলস: গোবৈদ্য অলসতাকে নির্দেশ করে না; এটি কাজে অযোগ্যতা বা হাতুড়ে স্বভাবকে বোঝায়।
0
Updated: 1 month ago