অপত্নীবাচক শব্দ কোনটি?
A
ননদ
B
তেজস্বিনী
C
জেলেনি
D
দাদি
উত্তরের বিবরণ
সাধারণ নারীবাচক শব্দ দুই ধরনের:
- পত্নীবাচক,
- অপত্নীবাচক।
পত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক বোঝালে পত্নীবাচক হয়।
যেমন: পিতা - মাতা, চাচা - চাচি, দাদা - দাদি, জেলে - জেলেনি, গুরু - গুরুপত্নী, নন্দাই - ননদ ইত্যাদি।
অপত্নীবাচক:
স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক না বোঝালে অপত্নীবাচক হয়।
যেমন:
খোকা - খুকি, ছাত্র - ছাত্রী, শিক্ষক - শিক্ষিকা, নেতা - নেত্রী, পাগল - পাগলি, তেজস্ব - তেজস্বিনী, বালক - বালিকা ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২-সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
"ভৌগলিক' এবং 'অধঃগতি" বানান লিখতে অনেকেই ভূল করে।" - এ বাক্যে কয়টি অশুদ্ধ বানান রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১টি
B
২টি
C
৩টি
D
কোনোটিই নয়
বাক্য: "ভৌগলিক' এবং 'অধঃগতি' বানান লিখতে অনেকেই ভূল করে।"
এ বাক্যে ৩টি অশুদ্ধ বানান রয়েছে।
বিশ্লেষণ:
-
ভৌগলিক → অশুদ্ধ; সঠিক বানান: ভৌগোলিক
-
অধঃগতি → অশুদ্ধ; সঠিক বানান: অধোগতি
-
ভূল → অশুদ্ধ; সঠিক বানান: ভুল
(উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার মূল উৎস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
কানাড়ি ভাষা
B
বৈদিক ভাষা
C
প্রাকৃত ভাষা
D
হিন্দি ভাষা
বাংলা ভাষার উৎস নিয়ে ভাষাবিজ্ঞানীরা একমত যে বাংলা মূলত ভারতীয় আর্যভাষা পরিবারের অন্তর্গত।
-
বৈদিক সংস্কৃত থেকে ধীরে ধীরে নানা আঞ্চলিক রূপ তৈরি হয়।
-
সেখান থেকে জন্ম নেয় প্রাকৃত ভাষা।
-
প্রাকৃত ভাষার সহজতর রূপ হলো আপভ্রংশ ভাষা।
-
এই আপভ্রংশ ভাষার ধারাবাহিক বিবর্তনের মধ্য দিয়েই ৭ম–১০ম শতকের দিকে বাংলা ভাষার আদিরূপ গড়ে ওঠে।
অতএব, বাংলা ভাষার মূল উৎস হলো প্রাকৃত ভাষা।
👉 অন্যান্য বিকল্প:
-
ক) কানাড়ি ভাষা → এটি দ্রাবিড় ভাষা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত, বাংলার সঙ্গে সম্পর্ক নেই।
-
খ) বৈদিক ভাষা → বাংলা সরাসরি বৈদিক ভাষা থেকে নয়, বরং প্রাকৃত–আপভ্রংশ হয়ে এসেছে।
-
ঘ) হিন্দি ভাষা → হিন্দি ও বাংলা উভয়ই আলাদা আলাদা ভাবে আপভ্রংশ ভাষা থেকে উদ্ভূত, তাই বাংলা হিন্দি থেকে আসে নি।
0
Updated: 1 month ago
’দিগন্ত’ কোন নিয়মে ব্যঞ্জনসন্ধি?
Created: 1 month ago
A
ব্যঞ্জন + স্বর
B
স্বর + স্বর
C
স্বর + স্বর
D
ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন
’দিগন্ত’ শব্দটি (ব্যঞ্জন + স্বর) নিয়মে গঠিত।
যেমন-
- ক/চ/ট/ত/প + স্বর = গ/জ/ড (ড়)/দ/ব।
- যেমন
- দিক্ + অন্ত = দিগন্ত,
- সৎ + উপায় = সদুপায়
- স্বরধ্বনিগুলো ঘোষবৎ হয়। এখানে ঘোষবৎ স্বরধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী অঘোষ ধ্বনি (ক, চ, ট, ত, প) পরিবর্তিত হয়ে ঘোষধ্বনিতে (গ, জ, ড, দ, ব) পরিণত হয়।
উল্লেখ্য,
- ব্যঞ্জনসন্ধি
- স্বরে-ব্যঞ্জনে, ব্যঞ্জনে-স্বরে ও ব্যঞ্জনে-ব্যঞ্জনে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জনসন্ধি বলে।
• পরি+ছেদ = পরিচ্ছেদ (স্বর + ব্যঞ্জন) ।
• চলৎ+চিত্র = চলচ্চিত্র (ব্যঞ্জন + ব্যঞ্জন) ।
0
Updated: 1 month ago