হিন্দী 'পদুমাবৎ' -এর অবলম্বনে 'পদ্মাবতী' কাব্যের রচয়িতা-
A
দৌলত উজীর বাহরাম খান
B
সৈয়দ সুলতান
C
আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
D
আলাওল
উত্তরের বিবরণ
পদ্মাবতী আলাওল রচিত একটি প্রখ্যাত প্রণয়কাব্য, যা মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা হিসেবে বিবেচিত। এটি হিন্দি ভাষার খ্যাতিমান কবি মালিক মুহাম্মদ জায়সির ‘পদুমাবৎ’ কাব্যের বাংলা অনুবাদ।
এই কাব্যটি ১৬৫১ খ্রিষ্টাব্দে রচিত হয় আরাকান রাজ্যের রাজা সাদ থদোমিন্তারের রাজত্বকালে। রাজ্যের মন্ত্রী মাগন ঠাকুরের আদেশে আলাওল এটি অনুবাদ করেন।
‘পদ্মাবতী’ কাব্য দুই পর্বে বিভক্ত:
-
প্রথম পর্বে চিতোরের রাজা রত্নসেন কীভাবে সিংহলের রাজকন্যা পদ্মাবতীকে লাভ করেন, তা বর্ণিত হয়েছে।
-
দ্বিতীয় পর্বে দিল্লির সুলতান আলাউদ্দিন খিলজি কীভাবে ব্যর্থভাবে পদ্মাবতীকে দখল করার চেষ্টা করেন, তার বর্ণনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, একই নামের নাটক ‘পদ্মাবতী’ মাইকেল মধুসূদন দত্ত-ও রচনা করেছিলেন, তবে সেটি আলাওলের কাব্যের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।
আলাওল ছিলেন মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর রচনায় ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও প্রণয়কাহিনির অপূর্ব সমন্বয় লক্ষ্য করা যায়।
বিখ্যাত রচনাসমূহ:
-
পদ্মাবতী
-
তোহফা
-
সপ্তপয়কার
-
সিকান্দারনামা
-
সয়ফুল্মুলুক বদিউজ্জামাল
-
সতীময়না
-
রাগতালনামা
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 4 months ago
'চণ্ডীমঙ্গল' কাব্যের উপাস্য ‘চণ্ডী' কার স্ত্রী?
Created: 1 month ago
A
জগন্নাথ
B
বিষ্ণু
C
প্রজাপতি
D
শিব
চণ্ডীমঙ্গল কাব্য হলো চণ্ডী নামক লৌকিক-পৌরাণিক দেবীর পূজা প্রচারের কাহিনী অবলম্বনে রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ কাব্য। এটি বাংলার মধ্যযুগীয় সাহিত্য ধারা চণ্ডীমঙ্গলের অন্তর্গত, যেখানে দেবীর ভক্তি ও কাহিনীর মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবনা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করা হয়েছে।
-
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের আদি কবি হলেন মানিক দত্ত, যিনি চতুর্দশ শতকের কবি।
-
চণ্ডীমঙ্গল ধারার প্রধান কবি হলেন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী, যিনি ষোল শতকের কবি।
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান দুটি কাহিনী হলো:
-
কালকেতু ও ফুল্লুরা কাহিনী
-
ধনপতি - লহনা - খুলনা কাহিনী
চণ্ডীমঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলি হলো:
-
কালকেতু
-
ফুল্লুরা
-
ধনপতি
-
ভাঁড়ুদত্ত
-
মুরারি শীল
কাব্যের দেবতা চণ্ডী ছিলেন শিবের স্ত্রী। কাব্যে চণ্ডীর ইচ্ছে ছিল পৃথিবীতে তাঁর পূজা প্রচার করা। এজন্য তিনি শিবকে অনুরোধ করেন, যাতে শিবের একনিষ্ঠ উপাসক নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়। শিব বিনা অপরাধে নীলাম্বরকে পাঠাতে রাজি হননি, তবে চণ্ডী ষড়যন্ত্র করে নীলাম্বরকে পৃথিবীতে পাঠান।
পরবর্তীতে নীলাম্বরের ঘরে জন্ম নেয় কালকেতু, যিনি ‘ধর্মকেতু’ নামের একজন ব্যাধের ছেলে। স্বর্গে চণ্ডীর স্ত্রী ছায়া পৃথিবীতে জন্ম নেন ফুল্লুরা নামে।
0
Updated: 1 month ago
ফররুখ আহমদের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থের নাম কী?
Created: 3 months ago
A
সাত সাগরের মাঝি
B
পাখির বাসা
C
হাতেমতাই
D
নৌফেল ও হাতেম
● ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থ
-
‘সাত সাগরের মাঝি’ হলো ফররুখ আহমদের লেখা প্রথম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ। এটি ১৯৪৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এই বইটিতে মোট ১৯টি কবিতা রয়েছে।
-
বইটির শেষ কবিতার নাম ‘সাত সাগরের মাঝি’, যেটি বইয়ের নামের সঙ্গে মিল রেখে লেখা।
-
এই গ্রন্থের গুরুত্বপূর্ণ কিছু কবিতা হলো: সিন্দাবাদ, পাঞ্জেরি, লাশ, আউলাদ, দরিয়ার শেষরাত্রি ইত্যাদি।
● ফররুখ আহমদ
-
তিনি ১৯১৮ সালের ১০ জুন মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানার মাঝাইল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একজন মুসলিম জাগরণের কবি, যিনি ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ইসলামী আদর্শকে কবিতায় তুলে ধরেছেন।
-
১৯৪৪ সালে কলকাতায় দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে লেখা তাঁর ‘লাশ’ কবিতাটি তাঁকে প্রথমবারের মতো সাহিত্যিক খ্যাতি এনে দেয়।
-
তাঁর জনপ্রিয় কাহিনিভিত্তিক কাব্য ‘হাতেমতায়ী’ এর জন্য তিনি ১৯৬৬ সালে আদমজী পুরস্কার পান।
-
ওই একই বছরে তিনি ‘পাখির বাসা’ নামক শিশুতোষ রচনার জন্য ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেন।
● ফররুখ আহমদের কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
সাত সাগরের মাঝি
-
সিরাজাম মুনীরা
-
নৌফেল ও হাতেম
-
মুহূর্তের কবিতা
-
সিন্দাবাদ
-
হাতেমতায়ী
-
নতুন লেখা
-
হাবেদা মরুর কাহিনী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago
জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয় কোনটি?
Created: 5 months ago
A
ঝরা পালক
B
বেলা অবেলা কালবেলা
C
বাংলার রূপ
D
মহাপৃথিবী
জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতা কুসুমকুমারী দাশ ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’ কবিতার জন্য আজও সমাদৃত, যা শিশুদের পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত।
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৫ সালে কলকাতায় ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হন এবং পরে, ২২ অক্টোবর, মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ‘ব্রহ্মবাদী’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালক।
প্রধান কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
ঝরা পালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা (মরণোত্তর প্রকাশিত)
-
রূপসী বাংলা (মরণোত্তর প্রকাশিত)
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ বাংলার রূপ নয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর.
0
Updated: 5 months ago