পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব হলো এমন দ্বিত্ব যেখানে একই শব্দ পুনরায় আবৃত্ত হয়। এটি বিভক্তিহীন বা বিভক্তিযুক্ত—দুই রূপেই হতে পারে।

উদাহরণ: জ্বর জ্বর, পর পর, কবি কবি, হাতে হাতে, কথায় কথায়, জোরে জোরে ইত্যাদি।

শব্দদ্বিত্বের প্রকারভেদ তিনটি:
১. অনুকার দ্বিত্ব
২. ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
৩. পুনরাবৃত্ত দ্বিত্ব

অনুকার দ্বিত্ব:
যখন পরপর দুটি শব্দ কাছাকাছি গঠন বা উচ্চারণে মিল রেখে ব্যবহৃত হয়, তখন তাকে অনুকার দ্বিত্ব বলা হয়।
উদাহরণ: অঙ্ক-টঙ্ক, আম-টাম, কেক-টেক, ঘর-টর ইত্যাদি।

ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব:
প্রাকৃতিক কোনো ধ্বনির অনুকরণে যে দ্বিত্ব শব্দ গঠিত হয়, তাকে ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব বলা হয়।
উদাহরণ: কুট কুট, কোঁত কোঁত, কুটুস-কুটুস, খক খক ইত্যাদি।

সঠিক উত্তর: খ) ৬।

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দের উচ্চারণ বিশ্লেষণ

‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ শব্দটি উচ্চারণ করলে এতে ৬টি অক্ষর পাওয়া যায়।

উচ্চারণ: অন্-তোর্-ভুক্-তি-মূ-লক
মোট অক্ষর: ৬টি

অক্ষর 

অক্ষর (ইংরেজি: syllable) হচ্ছে এমন একটি ধ্বনি বা ধ্বনির অংশ, যা একবারে উচ্চারণ করা যায়।
তাই একে শব্দাংশও বলা হয়।

অক্ষরের প্রকারভেদ

অক্ষর দুই ধরনের হতে পারে:

1. মুক্ত অক্ষর: যেগুলো একটানে টানা যায় না।
   উদাহরণ: ক / লা

2. বদ্ধ অক্ষর: যেগুলো টানা যায়।
   উদাহরণ: দিন / রাত

আরেকটি উদাহরণ

‘বিশ্ববিদ্যালয়’ শব্দে রয়েছে ৫টি অক্ষর:
বি + শ্ব + বি + দ্যা + লয় = মোট ৫টি অক্ষর

তথ্যসূত্র: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান ও ছন্দ-অক্ষর বিশ্লেষণ গ্রন্থ

বাংলা ভাষায় বানানগত শুদ্ধতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় শব্দের অশুদ্ধ ব্যবহার দেখা যায়, যেমন—স্বত্ত্ব আসলে একটি অশুদ্ধ বানান। এর শুদ্ধ রূপ হলো স্বত্ব, যা একটি বিশেষণ পদ।

• অশুদ্ধ বানান: স্বত্ত্ব

• শুদ্ধ বানান: স্বত্ব

• পদপ্রকৃতি: বিশেষণ

• অর্থ: বিষয়সম্পত্তি, ব্যবসায় প্রভৃতিতে অধিকার বা মালিকানা (যেমন—গ্রন্থস্বত্ব)।

অন্যদিকে নিম্নের শব্দগুলোর বানান শুদ্ধ:

• চূর্ণবিচূর্ণ

• সর্বাঙ্গীণ

• উপর্যুক্ত

উৎস: