'মৃন্ময়' শব্দের শুদ্ধ সন্ধি বিচ্ছেদ কোনটি?
A
মৃদ + ময় = মৃন্ময়
B
মৃন + ময় = মৃন্ময়
C
মৃত + ময় = মৃন্ময়
D
মৃৎ + ময় = মৃন্ময়
উত্তরের বিবরণ
• ব্যঞ্জন সন্ধির নিয়ম:
আগে ৎ বা দ্ এবং পরে ন/ম্ থাকলে ৎ বা দ্ স্থানে ন্ হয়, এবং পরের ন-এর সঙ্গে মিলে ন্ন কিংবা ম-এর সঙ্গে মিলে ন্ম হয়। কিন্তু, ৎ/দ্-এর পর ল্ থাকলে ৎ/দ্ সন্ধিতে ল্ হয় এবং ল্ পরের ল-এর সঙ্গে মিলে ল্ল হয়।
যেমন:
- উৎ + নতি = উন্নতি,
- তদ্ + নিমিত্ত = তন্নিমিত্ত,
- মৃৎ + ময় = মৃন্ময়,
- তদ্ + মধ্যে = তন্মধ্যে,
- উৎ + লিখিত = উল্লিখিত।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 1 month ago
‘সোনালি ফসল’ - এখানে ‘সোনালি’ কোন ধরনের বিশেষণ?
Created: 1 month ago
A
গুণবাচক
B
বিশেষ্যজাত
C
ক্রিয়াদ্বিত্বজাত
D
উপাদানবাচক
বিশেষ্যজাত বিশেষণ:
বিশেষ্যজাত বিশেষণ হলো সেই বিশেষণ যা বিশেষ্যের সঙ্গে তদ্ধিত প্রত্যয় যোগ করে গঠিত হয়। এটি সাধারণত বিশেষ্যের ধরণ বা উপাদানকে নির্দেশ করে।
উদাহরণ:
-
দেশীয় → দেশ + য় (সম্পদ)
-
সোনালি → সোনা + আলি (ফসল)
-
মেঘলা → মেঘ + লা (আকাশ)
অন্যান্য বিশেষণের ধরণ:
-
গুণবাচক বিশেষণ: বিশেষিত পদের গুণ বা বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে। উদাহরণ: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠান্ডা হাওয়া
-
ক্রিয়াদ্বিত্বজাত বিশেষণ: ক্রিয়াপদের দ্বিত্ব ঘটিয়ে গঠিত। উদাহরণ: যায় যায় অবস্থা, খাই খাই মলন, কাঁদো কাঁদো চেহারা
-
উপাদানবাচক বিশেষণ: বিশেষিত বস্তুর উপাদান নির্দেশ করে। উদাহরণ: বেলে মাটি, মেটে কলসি, পামুদ্রে মূর্তি
0
Updated: 4 weeks ago
কোনটি দন্ত্য ব্যঞ্জন?
Created: 1 month ago
A
ত
B
ন
C
ল
D
র
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি হলো সেইসব ধ্বনি, যেগুলো উচ্চারণ করতে জিভের ডগা উপরের দাঁতের সঙ্গে মিলিত হয়ে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এ কারণে এগুলোকে দন্ত্য ব্যঞ্জন বলা হয়।
-
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা দাঁতের সঙ্গে ঠেকে যায়।
-
উদাহরণ: ত, থ, দ, ধ – যেমন তাল, থালা, দাদা, ধান।
অন্যদিকে, জিভ দাঁতের গোড়া বা মূলে ঠেকালে যে ব্যঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন।
-
উদাহরণ: ন, র, ল, স – যেমন নানা, রাত, লাল, সালাম।
0
Updated: 1 month ago
"অন্তরঙ্গ" শব্দটি কোন সন্ধির নিয়মে গঠিত?
Created: 2 weeks ago
A
স্বরসন্ধি
B
ব্যঞ্জনসন্ধি
C
বিসর্গসন্ধি
D
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি
“অন্তরঙ্গ” শব্দটি গঠিত হয়েছে বিসর্গসন্ধির নিয়মে। এখানে মূল শব্দের শেষে থাকা বিসর্গ (ঃ) পরবর্তী শব্দের স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলিত হয়ে ‘র’ ধ্বনিতে রূপান্তরিত হয়।
সন্ধির নিয়ম:
-
যখন অন্তঃ, পুনঃ, প্রাতঃ ইত্যাদি শব্দের পর কোনো স্বরধ্বনি (অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, এ, ঐ, ও, ঔ) দ্বারা শুরু হওয়া শব্দ আসে, তখন বিসর্গটি ‘র’ ধ্বনিতে পরিণত হয়ে পরবর্তী স্বরের সঙ্গে যুক্ত হয়।
-
ফলে বিসর্গ ও পরবর্তী স্বরধ্বনির মধ্যে মিলনে নতুন শব্দের সৃষ্টি হয়।
উদাহরণ:
-
অন্তঃ + অঙ্গ = অন্তরঙ্গ
-
পুনঃ + অধিকার = পুনরধিকার
-
প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ
-
অন্তঃ + আত্মা = অন্তরাত্মা
-
অন্তঃ + ইত = অন্তরিত
-
অন্তঃ + ইন্দ্রিয় = অন্তরিন্দ্রিয়
এই নিয়মে গঠিত শব্দগুলিতে বিসর্গ ধ্বনি ‘র’-এ পরিণত হয়ে উচ্চারণে সহজতা ও শব্দের সঙ্গতি বজায় রাখে।
0
Updated: 2 weeks ago