'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধি
C
মুহম্মদ আবদুল হাই
D
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
উত্তরের বিবরণ
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
রচয়িতা: ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
-
গুরুত্ব: বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ হিসেবে সমাদৃত।
-
প্রকাশ: প্রথম সংস্করণ ১৯৩৬ সালে, ত্রয়োদশ সংস্করণ ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত। গ্রন্থকার ১৩ জুলাই ১৯৬৯ (২৭ আষাঢ় ১৩৭৬) ইন্তেকাল করেন। এরপর আর কোনো সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি।
পটভূমি:
-
শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' প্রকাশিত হওয়ার আগে আচার্য সুনীতি কুমারের 'ভাষা প্রকাশ বাঙালা ব্যাকরণ' বইটির ধারণা আরও দুই বছর আগে শহীদুল্লাহর গ্রন্থ বাংলা ভাষার ব্যাকরণের অভাব পূরণ করেছিল।
-
গ্রন্থ প্রণয়নে সহায়তা করেছিলেন:
-
ড. সুশীল কুমার দে
-
আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়
-
কবি মোহিত লাল মজুমদার
-
কালিদাস রায়
-
কবি শেখর
-
অধ্যাপক গুরুপ্রসাদ ভট্টাচার্য
-
চিন্তাহরণ চক্রবর্তী
-
চারুচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
বিষয়বস্তু:
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর 'বাঙ্গালা ব্যাকরণ' প্রধানত পাঁচটি প্রকরণে বিভক্ত:
১. ধ্বনি প্রকরণ (Phonology)
২. শব্দ প্রকরণ (Accidence)
৩. বাক্য প্রকরণ (Syntax)
৪. ছন্দ প্রকরণ (Prosody)
৫. অলঙ্কার প্রকরণ (Rhetoric)
অন্য গ্রন্থ:
-
যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির বাঙ্গালা ভাষা (১৯১২)
উৎস:
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ?
Created: 3 weeks ago
A
দুষ্কৃতিকারী
B
দুষ্কৃতকারি
C
দুষ্কৃতকারী
D
দুষ্কৃতিকারি
দুষ্কৃতকারী শব্দটি বাংলায় ব্যবহৃত একটি বিশেষণ, যা সংস্কৃত থেকে নেওয়া। এটি মূলত এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি অন্যায় বা দুষ্কর্ম সম্পাদন করে।

-
শুদ্ধ বানান: দুষ্কৃতকারী
-
প্রকার: বিশেষণ
-
অর্থ: দুষ্কর্মকারী, অন্যায়কারী, অপরাধী
0
Updated: 3 weeks ago
“তাজা মাছ” – এখানে “তাজা” কোন প্রকার বিশেষণ?
Created: 1 month ago
A
অবস্থাবাচক
B
গুণবাচক
C
বর্ণবাচক
D
অংশবাচক
অবস্থাবাচক বিশেষণ:
“তাজা মাছ” উদাহরণে, তাজা হলো অবস্থাবাচক বিশেষণ। এটি বিশেষিত পদের অবস্থা প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা
নাম-বিশেষণ:
নাম-বিশেষণ হলো সেই বিশেষণ যা কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম শব্দকে বিশেষিত করে।
নাম-বিশেষণের প্রকারভেদ:
-
বর্ণবাচক: বিশেষিত পদের রং বা বর্ণ নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: সবুজ মাঠ, নীল আকাশ, কালো মেঘ
-
-
গুণবাচক: বিশেষিত পদের গুণ বা বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর, ঠান্ডা হাওয়া
-
-
অংশবাচক: বিশেষিত পদের অংশ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ
-
-
সংখ্যাবাচক: বিশেষিত পদের সংখ্যা নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: হাজার
-
0
Updated: 4 weeks ago
কাকে 'চলিষ্ণু অভিধান' বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
চন্দ্রকুমার দে
C
দীনেশচন্দ্র সেন
D
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসাধারণ বাঙালি ব্যক্তিত্ব— একজন বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক, দার্শনিক ও গবেষক। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় যুগান্তকারী অবদান রাখেন এবং ভাষাতত্ত্বে তাঁর অনুসন্ধানমূলক কাজ তাঁকে সর্বজনস্বীকৃত মর্যাদা এনে দেয়।
জীবনপরিচয়:
-
জন্ম: ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
-
তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগী একজন গবেষক ছিলেন।
-
ভাষা, সাহিত্য ও দর্শনের গভীর অধ্যয়নের জন্য তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে পরিচিতি পান।
-
তাঁকে আরও বলা হয় ‘চলিষ্ণু অভিধান’, কারণ তিনি অসংখ্য ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং তাঁর জ্ঞানের পরিধি ছিল অত্যন্ত বিস্তৃত।
ভাষা ও জাতিসত্তা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি আজও স্মরণীয়—
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই বক্তব্যে তিনি ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে জাতিসত্তার ঐক্য ও মানবতার বার্তা প্রকাশ করেছিলেন।
গবেষণা ও সাহিত্যকর্ম:
-
১৯৫৯ সালে তিনি রচনা করেন অমূল্য ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’, যা বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বিকাশ ও ধ্বনিগত বিশ্লেষণে এক প্রামাণ্য দলিল।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
-
অন্যান্য অবদান:
-
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন, যা বাংলা উপভাষার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 2 weeks ago