A
নেটওয়ার্কে নকল প্যাকেট পাঠানো
B
মধ্যবর্তী ব্যক্তির আক্রমণ (Man-in-the-middle attack)
C
ARP স্পুফিং
D
নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক মনিটর করা (পরিবর্তন ছাড়া)
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
প্যাসিভ স্নিফিং (Passive Sniffing)
প্যাসিভ স্নিফিং এমন একটি নেটওয়ার্ক পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি যেখানে আক্রমণকারী কেবল তথ্য সংগ্রহ করে কিন্তু ট্র্যাফিককে পরিবর্তন বা হস্তক্ষেপ করে না। এটি সাধারণত নেটওয়ার্কে প্রেরিত ডেটা বা প্যাকেট পর্যবেক্ষণ করে তথ্য অর্জনের জন্য ব্যবহার করা হয়। প্রদত্ত অপশনগুলির মধ্যে, “নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক মনিটর করা (পরিবর্তন ছাড়া)” প্যাসিভ স্নিফিং-এর উদাহরণ। অন্য অপশনগুলো—নকল প্যাকেট পাঠানো, মধ্যবর্তী ব্যক্তির আক্রমণ বা ARP স্পুফিং—সবই সক্রিয় আক্রমণ বা ম্যানিপুলেশন অন্তর্ভুক্ত করে, যা প্যাসিভ স্নিফিং-এর সংজ্ঞার বাইরে। তাই সঠিক উত্তর হলো: ঘ) নেটওয়ার্ক ট্র্যাফিক মনিটর করা।
বিভিন্ন ধরণের সাইবার অপরাধ
১. স্নিফিং (Sniffing)
-
ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে তথ্য যাওয়ার সময় হাতিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে বলা হয় স্নিফিং।
২. ফিশিং (Phishing)
-
ই-মেইল বা মেসেজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে নকল বা ফেইক ওয়েবসাইটে নিয়ে কৌশলে তার বিশ্বস্ততা অর্জন করা এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করে নানা ধরনের বিপদে ফেলা।
৩. স্প্যামিং (Spamming)
-
অনাকাঙ্ক্ষিত বা অবাঞ্ছিত ই-মেইল কিংবা মেসেজ পাঠানোকে স্প্যামিং বলে।
-
যারা এই কাজ করে তাদেরকে স্প্যামার বলা হয়।
৪. স্নিকিং (Sneaking)
-
গোপনে বা সন্তর্পণে ব্যবহারকারীর চোখ এড়িয়ে কম্পিউটার বা নেটওয়ার্ক সিস্টেমে প্রবেশ করে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজের আওতায় নিয়ে আসাকে স্নিকিং বলা হয়।
তথ্যসূত্র: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
0
Updated: 22 hours ago
কম্পিউটারের কার্সরের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে কোন ডিভাইস ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 day ago
A
কীবোর্ড
B
মনিটর
C
মাউস
D
প্রজেক্টর
মাউস
- মাউস হল একটি হাতে-নিয়ন্ত্রিত ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল ডিভাইস।
- এটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যবহৃত হয়।
- মার্কিন উদ্ভাবক ডগলাস এঙ্গেলবার্ট ১৯৬৩-৬৪ সালে মাউস আবিষ্কার করেন।
- মাউসকে একটি সমতল পৃষ্ঠের উপর সরানো হলে, কম্পিউটারের স্ক্রিনে কার্সরের (cursor) নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
মাউসের ব্যবহার:
- মাউসের বোতাম ব্যবহার করে টেক্সট নির্বাচন, প্রোগ্রাম চালু বা স্ক্রিনে কোনো আইটেম সরানো যায়।
- দ্রুত বোতাম চেপে ("ক্লিক") অথবা বোতাম চেপে ধরে ডিভাইসটিকে সরানোর মাধ্যমে ("ক্লিক এবং ড্র্যাগ") কাজ করা যায়।
প্রকারভেদ:
- মেকানিক্যাল মাউস: একটি বলের ঘূর্ণন থেকে কার্সরের মুভমেন্টে পরিবর্তন করে।
- অপটিক্যাল মাউস: আলো-নির্গত ডায়োড (light-emitting diode) বা লেজার থেকে নির্গত রশ্মি ব্যবহার করে কাজ করে।
0
Updated: 1 day ago
GSM কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রদান করে?
Created: 1 day ago
A
CDMA
B
TDMA
C
FDMA
D
OFDMA
সঠিক উত্তর: GSM TDMA প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ফোন সার্ভিস প্রদান করে।
সেলুলার বা মোবাইল ফোন প্রযুক্তি:
-
মোবাইল ফোন বর্তমান বিশ্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম।
-
১৯৪০ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মোবাইল ফোন চালু হয়।
-
তারবিহীন দুটি ডিভাইসের মধ্যে ডাটা ও তথ্য আদান-প্রদানের জন্য যে সিস্টেম ব্যবহার হয়, তাকে মোবাইল যোগাযোগ বলে।
-
বর্তমান মোবাইল ফোন প্রযুক্তি প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত:
১. জিএসএম (GSM)
২. সিডিএমএ (CDMA)
জিএসএম (GSM):
-
GSM = Global System for Mobile Communication
-
এটি মোবাইল টেলিফোনির জন্য বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্ট্যান্ডার্ড।
-
একে দ্বিতীয় প্রজন্মের (2G) মোবাইল ফোন সিস্টেম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
-
মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরদের মধ্যে রোমিং চুক্তি থাকার কারণে বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে GSM নেটওয়ার্কে মোবাইল ব্যবহার করা যায়।
-
স্বল্প মূল্যের এসএমএস (SMS) চালু করার ক্ষেত্রে GSM পথিকৃত।
-
GSM TDMA (Time Division Multiple Access) প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
TDMA ব্যবহার করে GSM-এর সেবা:
-
এসএমএস (SMS)
-
কল ফরওয়ার্ডিং
-
আউটগোয়িং কল কন্ট্রোল
-
ইনকামিং কল নিয়ন্ত্রণ
-
কল হোল্ডিং
-
কলার আইডি
-
কল ওয়েটিং
-
মাল্টিপার্টি সার্ভিস ইত্যাদি
GSM-এর বৈশিষ্ট্য:
-
সেলুলার নেটওয়ার্ক বিধায় নির্দিষ্ট এলাকায় মোবাইল ফোন GSM-এর সাথে সংযুক্ত হয়।
-
সর্বোচ্চ কভারেজ দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার।
-
অধিকাংশ 2G GSM নেটওয়ার্ক 900 MHz বা 1800 MHz ব্যান্ডে পরিচালিত হয়।
-
হ্যান্ডসেটের ট্রান্সমিশন ক্ষমতা ১–২ ওয়াট।
উৎস:
এসএসসি প্রোগ্রাম, কম্পিউটার শিক্ষা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 day ago
কোন প্রটোকল IoT ডিভাইসে যোগাযোগের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 week ago
A
POP3
B
FTP
C
HTTP
D
MQTT
ব্যাখ্যা:
-
IoT (Internet of Things) ডিভাইসগুলো একে অপরের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রটোকল ব্যবহার করে।
-
MQTT হলো একটি হালকা ও দ্রুত প্রটোকল, যা বিশেষভাবে সীমিত ব্যান্ডউইথ এবং সংবেদনশীল ডিভাইসের জন্য উপযুক্ত।
-
এটি পাবলিশ-সাবস্ক্রাইব (publish-subscribe) মডেলে কাজ করে:
-
ডিভাইসগুলো তথ্য পাঠায় (publish)
-
প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট চ্যানেল বা টপিক থেকে তথ্য গ্রহণ করে (subscribe)
-
ফায়দা:
-
IoT ডিভাইসের জন্য দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করে।
-
HTTP, FTP বা POP3 এর মতো ভারী প্রটোকলের তুলনায় কম ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে।
উৎস:
-
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মাহবুবুর রহমান
0
Updated: 1 week ago