সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের আলােকে বাংলাদেশে বৈদেশিক নীতি পরিচালিত হয়?
A
অনুচ্ছেদ ২২
B
অনুচ্ছেদ ২৩
C
অনুচ্ছেদ ২৪
D
অনুচ্ছেদ ২৫
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধানের পররাষ্ট্রনীতি (দ্বিতীয় অধ্যায়, অনুচ্ছেদ ২৫)
বাংলাদেশের সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ের ২৫ নং অনুচ্ছেদে দেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ভিত্তি হবে কয়েকটি মূল নীতি:
-
আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সংহতি উন্নয়ন: বিশ্বের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
-
জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সমতার প্রতি শ্রদ্ধা: অন্য দেশের স্বাধীনতা ও সমতা মেনে চলা।
-
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা।
-
আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান ও আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের নীতির প্রতি শ্রদ্ধা।
এই নীতিগুলোর ভিত্তিতে রাষ্ট্র তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে:
-
(ক) আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শক্তি ব্যবহার এড়ানো এবং সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণের প্রচেষ্টা চালানো।
-
(খ) প্রত্যেক জাতির স্বাধীনভাবে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার অধিকার সমর্থন করা।
-
(গ) সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতাবাদ বা বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে নিপীড়িত জনগণের ন্যায্য সংগ্রাম সমর্থন করা।
সংক্ষেপে, এই অনুচ্ছেদটি বাংলাদেশকে একটি শান্তিপ্রিয়, ন্যায়পরায়ণ ও সমমর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
সংযুক্ত অন্যান্য অনুচ্ছেদ:
-
অনুচ্ছেদ ২২: নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৩: জাতীয় সংস্কৃতি সংরক্ষণ।
-
অনুচ্ছেদ ২৪: জাতীয় স্মৃতি নিদর্শনের সংরক্ষণ।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago
অ্যাটর্নি-জেনারেল কত সময় পর্যন্ত তার পদে বহাল থাকতে পারেন?
Created: 2 months ago
A
রাষ্ট্রপতির সন্তোষ অনুযায়ী
B
৫ বছর
C
৪ বছর
D
১০ বছর
অ্যাটর্নি-জেনারেলের নিয়োগ ও মেয়াদ
-
নিয়োগের মেয়াদ রাষ্ট্রপতির সন্তোষ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
-
বাংলাদেশ সংবিধান, অনুচ্ছেদ ৬৪(৪) অনুযায়ী, অ্যাটর্নি-জেনারেল কত সময় পর্যন্ত তার পদে বহাল থাকবেন তা রাষ্ট্রপতির ইচ্ছানুযায়ী নির্ধারিত হয়।
-
অর্থাৎ, অ্যাটর্নি-জেনারেলের জন্য কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই; তিনি যতক্ষণ রাষ্ট্রপতি চান, ততদিন দায়িত্ব পালন করবেন।
-
রাষ্ট্রপতি চাইলে যে কোনো সময় তাকে অপসারণ করতে পারেন বা নতুন কাউকে নিয়োগ দিতে পারেন।
-
এই বিধান অ্যাটর্নি-জেনারেলের দায়িত্ব ও পদাবধিকে সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণাধীন রাখে।
-
তাই, অ্যাটর্নি-জেনারেল কার্যত রাষ্ট্রপতির ইচ্ছানুযায়ী পদে বহাল থাকেন এবং পারিশ্রমিকও রাষ্ট্রপতির দ্বারা নির্ধারিত হয়।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago
রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সংক্রান্ত বিধান বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে রয়েছে?
Created: 2 months ago
A
৫২নং অনুচ্ছেদ
B
৫৩নং অনুচ্ছেদ
C
৫৪নং অনুচ্ছেদ
D
৫৫নং অনুচ্ছেদ
রাষ্ট্রপতির অভিশংসন
-
সংবিধানের ৫২(১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সংবিধান লঙ্ঘন বা গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে রাষ্ট্রপতিকে অভিশংসিত করা যেতে পারে।
-
এজন্য সংসদের মোট সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের স্বাক্ষরে অভিযোগের বিবরণ লিপিবদ্ধ করে প্রস্তাবের নোটিশ স্পীকারের নিকট প্রদান করতে হবে।
-
স্পীকারের নিকট নোটিশ প্রদানের দিন থেকে চৌদ্দ দিনের পূর্বে বা ত্রিশ দিনের পর এই প্রস্তাব আলোচিত হতে পারবে না।
-
যদি সংসদ অধিবেশনরত না থাকে, স্পীকার অবিলম্বে সংসদ আহ্বান করবেন।
অন্যদিকে:
-
অনুচ্ছেদ ৫৫ → মন্ত্রিসভা
-
অনুচ্ছেদ ৫৩ → অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ
-
অনুচ্ছেদ ৫১ → রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে 'কাস্টিং ভোট' সম্পর্কে বলা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৭১ নং
B
৭২ নং
C
৭৩ নং
D
৭৫ নং
কাস্টিং ভোট (Casting Vote) হলো সংসদে স্পীকারের বিশেষ ভোটাধিকার, যা সংবিধানের ৭৫ (১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রযোজ্য।
-
সংসদে কোনো বিষয়ে দুই পক্ষের ভোট সমান হলে স্পীকার নিজের ভোট প্রয়োগ করে সংসদের অচলাবস্থা দূর করেন।
-
অন্যভাবে বলতে গেলে, কোনো বিলের ভোটাভুটিতে যখন পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়ে, তখন স্পীকার তার নির্ণায়ক ভোট প্রয়োগ করেন।
-
সাধারণ ক্ষেত্রে স্পীকার নিজের ভোটাধিকার ব্যবহার করতে পারেন না; কেবল সমসংখ্যক ভোটের অবস্থায়ই এটি প্রযোজ্য।
-
এই বিশেষ ভোটকে ‘কাস্টিং বা নির্ণায়ক ভোট’ বলা হয়।
অন্য সংবিধানিক প্রাসঙ্গিক অনুচ্ছেদ:
-
৭১ নং অনুচ্ছেদ: দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা
-
৭২ নং অনুচ্ছেদ: সংসদের অধিবেশন
-
৭৩ নং অনুচ্ছেদ: সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও বাণী
উৎস:
0
Updated: 1 month ago