নিচের কোনটির যােগাযােগের দূরত্ব সবচেয়ে কম?
A
Wi-Fi
B
Bluetooth
C
Wi-Max
D
Cellular network
উত্তরের বিবরণ
যোগাযোগ প্রযুক্তির দূরত্বের তুলনা – ব্লুটুথ, Wi-Fi ও WiMAX
-
ব্লুটুথ (Bluetooth):
ব্লুটুথ হলো একটি তারবিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN) প্রযুক্তি যা স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি রেডিও প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং এর দূরত্ব সাধারণত ১০–১০০ মিটার পর্যন্ত সীমিত থাকে।
ব্লুটুথ ১৯৯৪ সালে সুইডিশ কোম্পানি এরিকসন তৈরি করে, RS-232 ডেটা ক্যাবলের বিকল্প হিসেবে। নামকরণ করা হয়েছে ডেনমার্কের রাজা Harald Bluetooth-এর নামে। ব্লুটুথ নেটওয়ার্ককে পিকোনেট বলা হয়, যেখানে একটি মাস্টার ডিভাইস থাকে এবং বাকিগুলো স্লেভ ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। একাধিক পিকোনেট মিলিত হলে একটি বড় স্ক্যান্টারনেট তৈরি হতে পারে। -
Wi-Fi:
Wi-Fi এর কভারেজ সাধারণত ঘরের ভিতরে প্রায় ৩৩ মিটার এবং খোলা স্থানে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত থাকে। -
WiMAX:
WiMAX প্রযুক্তির কভারেজ এলাকা প্রায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি; প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
0
Updated: 1 month ago
1G সিস্টেমে চ্যানেল অ্যাকসেস পদ্ধতি কী ছিল?
Created: 1 month ago
A
TDMA
B
FDMA
C
CDMA
D
OFDMA
প্রথম প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেম (1G)
১. সংজ্ঞা ও সময়কাল
-
1G বা প্রথম প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেম ছিল অ্যানালগ সেলুলার নেটওয়ার্ক-ভিত্তিক।
-
সময়কাল: ১৯৭৯–১৯৯০।
২. ইতিহাস
-
যুক্তরাষ্ট্রে Motorola Dyna TACS নামে প্রথম হ্যান্ড মোবাইল চালু হয়।
-
১৯৭৯ সালে জাপানের NTTC প্রথম বাণিজ্যিকভাবে অটোমেটেড সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করে।
-
উদাহরণ: AMPS (Advanced Mobile Phone System), TACS (Total Access Communication System)।
-
নব্বইয়ের দশকের আগ পর্যন্ত 1G সিস্টেম কার্যকর ছিল।
-
রোমিং ব্যবস্থা সীমিত ছিল।
৩. বৈশিষ্ট্য
-
অ্যানালগ সিগন্যাল ব্যবহার।
-
সেলুলার নেটওয়ার্কের প্রবর্তন।
-
বেজ স্টেশন ও মোবাইল ফোন ভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করত।
-
অর্ধপরিবাহী মেমোরি ও মাইক্রোপ্রসেসরের ব্যবহার।
-
চ্যানেল অ্যাকসেস পদ্ধতি: FDMA (Frequency Division Multiple Access)।
-
ডিভাইসের আকার বড় ও ওজন বেশি।
-
কথোপকথন চলাকালীন অবস্থান পরিবর্তন করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতো।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি: একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান
0
Updated: 1 month ago
সর্বপ্রথম স্মার্টফোন কোন কোম্পানি ডিজাইন করে?
Created: 1 month ago
A
Nokia
B
Apple
C
IBM
D
Samsung
স্মার্টফোন (Smartphone)
সংজ্ঞা:
স্মার্টফোন হলো বিশেষ ধরনের মোবাইল ফোন যা মোবাইল কম্পিউটিং প্ল্যাটফর্মের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এটি সাধারণ মোবাইল ফোনের সাথে হ্যান্ডহেল্ড কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য যুক্ত থাকে।
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
ডিসপ্লে স্ক্রিন (সাধারণত LCD)
-
বিল্ট-ইন ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবস্থাপনার প্রোগ্রাম, যেমন: ক্যালেন্ডার, ঠিকানা বই
-
অপারেটিং সিস্টেম (OS)
-
ডেটা রূপান্তরের জন্য প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতি
-
উচ্চ গতিসম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর
ইতিহাস:
-
সর্বপ্রথম স্মার্টফোন ডিজাইন করে IBM।
-
১৯৯৩ সালে IBM “Simon” নামে প্রথম স্মার্টফোন তৈরি করে।
-
এই স্মার্টফোনে টাচস্ক্রিন এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সমর্থন ছিল।
-
বেলসাউথ প্রতিষ্ঠান ১৯৯৩ সালে স্মার্টফোন বাজারে আনে।
ফাংশন:
-
ক্যালেন্ডার
-
ঠিকানা বই
-
ক্যালকুলেটর
-
অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেসের জন্য টাচস্ক্রিন ইন্টারফেস
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago
কোন প্রটোকল IoT ডিভাইসে যোগাযোগের জন্য সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
POP3
B
FTP
C
HTTP
D
MQTT
ব্যাখ্যা:
-
IoT (Internet of Things) ডিভাইসগুলো একে অপরের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বিভিন্ন প্রটোকল ব্যবহার করে।
-
MQTT হলো একটি হালকা ও দ্রুত প্রটোকল, যা বিশেষভাবে সীমিত ব্যান্ডউইথ এবং সংবেদনশীল ডিভাইসের জন্য উপযুক্ত।
-
এটি পাবলিশ-সাবস্ক্রাইব (publish-subscribe) মডেলে কাজ করে:
-
ডিভাইসগুলো তথ্য পাঠায় (publish)
-
প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট চ্যানেল বা টপিক থেকে তথ্য গ্রহণ করে (subscribe)
-
ফায়দা:
-
IoT ডিভাইসের জন্য দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ নিশ্চিত করে।
-
HTTP, FTP বা POP3 এর মতো ভারী প্রটোকলের তুলনায় কম ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে।
উৎস:
-
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মো. মাহবুবুর রহমান
0
Updated: 1 month ago