A
অবকাঠামোগত
B
প্লাটফর্মভিত্তিক
C
সফটওয়্যার
D
উপরের সবগুলাে
উত্তরের বিবরণ
ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস মডেল
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাগুলো মূলত ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী তিনটি প্রধান মডেলে প্রদান করা হয়। এগুলো হলো:
-
অবকাঠামোগত সেবা (Infrastructure as a Service – IaaS)
ব্যবহারকারী যদি নিজের অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার চালাতে চায়, তাহলে ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, প্রসেসর (CPU) ও অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স সরবরাহ করে। ব্যবহারকারী এগুলো ভাড়া নিয়ে নিজের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। -
প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা (Platform as a Service – PaaS)
এই মডেলে ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেস এবং প্রোগ্রাম চালানোর পরিবেশ (execution environment) সরবরাহ করে। সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডেভেলপাররা তাদের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশনগুলো এই প্ল্যাটফর্মে সহজে চালাতে ও পরীক্ষা করতে পারে। -
সফটওয়্যার সেবা (Software/Application as a Service – SaaS)
এখানে ব্যবহারকারীরা ক্লাউড প্রদানকারীর তৈরি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। তাদের নিজস্ব কোন ইনস্টলেশন বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
ক্লাউড সার্ভার নিচের কোনটিতে সবচেয়ে ভালো বর্ণনা করা সম্ভব?
Created: 1 week ago
A
নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যুক্ত একাধিক কম্পিউটার সার্ভার
B
একটি বিশাল ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটার সার্ভার
C
ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটিং সেবা দেয়া
D
উপরের কোনোটিই নয়
ক্লাউড কম্পিউটিং
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার করে ইন্টারনেট বা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিভিন্ন সার্ভিস বা সেবা প্রদান করার প্রক্রিয়া।
অর্থাৎ, ব্যবহারকারী সরাসরি হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার স্থাপন না করেই অনলাইনের মাধ্যমে কম্পিউটিং সুবিধা পেতে পারে।
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস:
-
১৯৬০ সালে জন ম্যাকার্থি প্রথম ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার কথা উল্লেখ করেন।
-
২০০৫ সালে Amazon.com তাদের Elastic Compute Cloud (EC2) ব্যবহার শুরু করে।
-
২০০৬ সালে Amazon Web Services (AWS) বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড সেবা চালু করে।
NIST অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল বৈশিষ্ট্য:
১. Resource Flexibility / Scalability:
-
ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী সেবা বাড়ানো বা কমানো যায়।
২. On Demand: -
ব্যবহারকারী যখন চাইবে, তখনই সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
৩. Pay as you go: -
ব্যবহারকারী যা ব্যবহার করবে, কেবল তার জন্যই পেমেন্ট দিতে হবে; আগে থেকে কিছু রিজার্ভ করতে হবে না।
উপসংহার:
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল সুবিধা হলো “ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী কম্পিউটিং সেবা প্রদান”।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান।

0
Updated: 1 week ago
ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম নয় কোনটি?
Created: 1 day ago
A
Google Drive
B
pCloud
C
Mega
D
Slack
• ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম হলো এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবহারকারী তাদের ফাইল, ডকুমেন্ট, ছবি বা অন্যান্য ডেটা অনলাইনে সংরক্ষণ করতে পারে এবং যেকোনো সময়, যেকোনো ডিভাইস থেকে তা অ্যাক্সেস করতে পারে
• Google Drive, pCloud এবং Mega স্পষ্টভাবে ক্লাউড স্টোরেজ সেবা প্রদান করে, যেখানে ব্যবহারকারী ফাইল আপলোড, ডাউনলোড ও শেয়ার করতে পারে
• Slack মূলত একটি কমিউনিকেশন এবং দলবদ্ধ সহযোগিতা (collaboration) প্ল্যাটফর্ম, যা চ্যাট, মেসেজিং এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়; তাই Slack সরাসরি ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম নয়
• ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা
• ২০০৬ সালে Amazon Web Services বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার শুরু করে
• উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ক্লাউড স্টোরেজ: Mega, Dropbox, OneDrive, Google Drive
• সেবার ধরন অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: অবকাঠামোগত সেবা, প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক সেবা, সফটওয়্যার সেবা
• ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য: Resource Scalability, On Demand, Pay as you go
• উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান

0
Updated: 1 day ago
কোনটি Pay-As-You-Go ক্লাউড মডেলের সুবিধা?
Created: 22 hours ago
A
পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর
B
ব্যবহার ট্র্যাক করার প্রয়োজন নেই
C
উচ্চ প্রাথমিক বিনিয়োগ
D
সবসময় সীমাহীন রিসোর্স
Pay-As-You-Go (PAYG) ক্লাউড মডেল
Pay-As-You-Go (PAYG) ক্লাউড মডেলটি মূলত খরচ কার্যকর এবং নমনীয়তা প্রদান করে। এতে ব্যবহারকারীরা শুধুমাত্র ব্যবহৃত রিসোর্সের জন্যই অর্থ প্রদান করেন, যা বিশেষভাবে পরিবর্তনশীল লোড বা ট্রাফিকের জন্য উপযোগী। অর্থাৎ, হঠাৎ চাহিদা বাড়লেও অতিরিক্ত খরচ হয় না এবং কম ব্যবহারের সময় কম খরচ হয়। এই মডেলে কোনো উচ্চ প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই, তবে ব্যবহার ট্র্যাক না করলে খরচ নিয়ন্ত্রণ কঠিন হতে পারে। এছাড়া, রিসোর্স সীমাহীন নয়; এটি প্রদানকৃত পরিমাণ অনুযায়ী সীমিত। তাই মূল সুবিধা হলো পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর।
সঠিক উত্তর: ক) পরিবর্তনশীল লোডের জন্য খরচ কার্যকর।
ক্লাউড কম্পিউটিং
-
ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল বিষয়টি হলো নিজের ব্যবহৃত কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে সার্ভিস বা হার্ডওয়্যার ভাড়া নেওয়া।
-
ক্লাউড কম্পিউটিং কোনো নির্দিষ্ট টেকনোলজি নয়, বেশ কয়েকটি টেকনোলজিকে কাজে লাগিয়ে তৈরি করা একটি ব্যবসায়িক মডেল বা বিশেষ পরিসেবা।
-
অ্যামাজন বাণিজ্যিকভাবে ২০০৬ সালে এর ব্যবহার শুরু করে।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের প্রধান সার্ভিস মডেল
সেবার ধরণ অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিংকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১. Infrastructure-as-a-Service (IaaS)
-
ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার চালানোর জন্য ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, স্টোরেজ ও অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দেয়।
-
উদাহরণ: Amazon Elastic Compute Cloud (EC2)।
২. Platform-as-a-Service (PaaS)
-
ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেজ ইত্যাদি থাকে।
-
অ্যাপলিকেশন ডেভেলপারগণ তাদের তৈরি করা সফ্টওয়্যার এই প্ল্যাটফর্মে ভাড়ায় চালাতে পারেন।
-
উদাহরণ: Google App Engine, Microsoft Azure।
৩. Software-as-a-Service (SaaS)
-
ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত অ্যাপলিকেশন সফটওয়্যার ব্যবহারকারীগণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে চালাতে পারেন।
-
উদাহরণ: Google Docs।
NIST (National Institute of Standards and Technology) অনুযায়ী ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বৈশিষ্ট্য
১. রিসোর্স স্কেলেবিলিটি: ছোট বা বড় যাই হোক, ক্রেতার সব ধরনের চাহিদাই মেটানো হবে। সেবা দাতা চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে পারবে।
২. অন-ডিমান্ড: ক্রেতা যখন চাইবে তখনই সেবা দিতে পারবে। ইচ্ছা অনুযায়ী চাহিদা বাড়াতে বা কমাতে পারবে।
৩. Pay-As-You-Go: এটি একটি পেমেন্ট মডেল। ক্রেতাকে আগে থেকে কোনো সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না। ব্যবহার অনুযায়ী কেবলমাত্র তার জন্যই অর্থ প্রদান করতে হবে।
উৎস
১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান।
২. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 22 hours ago