ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সার্ভিস মডেল কোনটি?
A
অবকাঠামোগত
B
প্লাটফর্মভিত্তিক
C
সফটওয়্যার
D
উপরের সবগুলাে
উত্তরের বিবরণ
ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস মডেল
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাগুলো মূলত ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী তিনটি প্রধান মডেলে প্রদান করা হয়। এগুলো হলো:
-
অবকাঠামোগত সেবা (Infrastructure as a Service – IaaS)
ব্যবহারকারী যদি নিজের অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার চালাতে চায়, তাহলে ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক, সার্ভার, স্টোরেজ, প্রসেসর (CPU) ও অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স সরবরাহ করে। ব্যবহারকারী এগুলো ভাড়া নিয়ে নিজের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। -
প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবা (Platform as a Service – PaaS)
এই মডেলে ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হার্ডওয়্যার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেস এবং প্রোগ্রাম চালানোর পরিবেশ (execution environment) সরবরাহ করে। সফটওয়্যার বা অ্যাপ ডেভেলপাররা তাদের তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশনগুলো এই প্ল্যাটফর্মে সহজে চালাতে ও পরীক্ষা করতে পারে। -
সফটওয়্যার সেবা (Software/Application as a Service – SaaS)
এখানে ব্যবহারকারীরা ক্লাউড প্রদানকারীর তৈরি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারে। তাদের নিজস্ব কোন ইনস্টলেশন বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
অ্যামাজন-এর ক্লাউড প্লাটফর্ম কোনটি?
Created: 1 month ago
A
Azure
B
AWS
C
Cloudera
D
উপরের সবগুলো
অ্যামাজনের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম হলো AWS, যার পূর্ণরূপ Amazon Web Services। ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার সূচনা হয় ১৯৬০-এর দশকে, তবে বাণিজ্যিকভাবে এর ব্যবহার শুরু হয় ২০০৬ সালে, যখন বিশ্ববিখ্যাত আমাজন তাদের ওয়েব সার্ভিস চালু করে।
-
AWS: Amazon Web Services, অ্যামাজনের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম
-
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের ইতিহাস: শুরু ১৯৬০-এর দশকে
-
বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার: ২০০৬ সালে আমাজনের মাধ্যমে
উৎস: aws.amazon.com
অন্যদিকে, Azure হলো মাইক্রোসফটের ক্লাউড সেবা দানকারী প্ল্যাটফর্ম এবং Cloudera একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডাটা ম্যানেজমেন্ট সেবাদানকারী কোম্পানি।
-
Azure: মাইক্রোসফটের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম
-
Cloudera: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডাটা ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি
0
Updated: 1 month ago
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী, ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানের জন্য কোন প্রযুক্তিটি Distributed Computing এর একটি দৃষ্টান্ত?
Created: 1 week ago
A
Remote Sensing
B
Cloud Computing
C
Remote Invocation
D
Private Computing
ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) হলো এমন একটি আধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি, যেখানে ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহার করে তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা করা যায়। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীকে নিজস্ব কম্পিউটার বা সার্ভারে ডেটা সংরক্ষণের পরিবর্তে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন সার্ভার ব্যবহার করে কাজ করার সুযোগ দেয় এই প্রযুক্তি। এটি বর্তমানে ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং (Distributed Computing)-এর অন্যতম বাস্তব উদাহরণ।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সংজ্ঞা (NIST অনুযায়ী):
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (NIST) অনুসারে, ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি মডেল যা ব্যবহারকারীকে তার প্রয়োজনীয় তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে সংরক্ষণ ও পরিচালনার সুযোগ দেয়। এতে তিনটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:
১. Resource Flexibility/Scalability (যত চাহিদা, তত সেবা):
-
গ্রাহক বা ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা নিতে পারে এবং প্রয়োজন বাড়লে বা কমলে সেটি সহজেই পরিবর্তন করা যায়।
-
ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভার ক্ষমতা, স্টোরেজ বা ব্যান্ডউইথ বাড়াতে বা কমাতে পারে।
-
ফলে এটি অত্যন্ত স্থিতিস্থাপক (Flexible) ও স্কেলেবল (Scalable) একটি সেবা ব্যবস্থা।
২. On Demand Service (যখন চাহিদা, তখন সেবা):
-
ব্যবহারকারী যখনই সেবা প্রয়োজন মনে করবে, তখনই সেটি ব্যবহার করতে পারবে।
-
কোনো নির্দিষ্ট সময় বা স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে এটি ২৪/৭ অনলাইন সেবা প্রদান করে।
-
ব্যবহারকারী চাইলে সহজেই তার সার্ভিসের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারে।
৩. Pay as You Go (যখন ব্যবহার, তখন মূল্যশোধ):
-
ক্লাউড কম্পিউটিং-এ আগাম কোনো রিজার্ভেশন বা স্থায়ী বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না।
-
গ্রাহক শুধুমাত্র যতটুকু সেবা ব্যবহার করবে, ততটুকুর জন্যই মূল্য প্রদান (Payment) করবে।
-
এই মডেলটি ঠিক ইউটিলিটি বিলের মতো—যেমন বিদ্যুৎ বা পানির বিল ব্যবহার অনুযায়ী প্রদান করা হয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা:
-
ডেটা স্টোরেজ ও ব্যাকআপ সহজে করা যায়, কারণ সমস্ত তথ্য অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে।
-
অ্যাক্সেসিবিলিটি: ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ডেটা অ্যাক্সেস করা সম্ভব।
-
রিসোর্স শেয়ারিং: একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে একটি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে।
-
খরচ সাশ্রয়ী: হার্ডওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমে যায়।
-
অটো আপডেট ও সিকিউরিটি ফিচার: ক্লাউড সেবাদাতারা নিয়মিত সিস্টেম আপডেট ও নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর উদাহরণ:
-
Google Drive, Dropbox, Microsoft OneDrive, Amazon Web Services (AWS), iCloud, Google Cloud Platform ইত্যাদি জনপ্রিয় ক্লাউড সেবা।
সব মিলিয়ে, ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী অন-ডিমান্ড সার্ভিস, স্কেলেবল রিসোর্স ও ব্যবহারভিত্তিক বিলিং ব্যবস্থা প্রদান করে। এটি বর্তমান বিশ্বের ডিস্ট্রিবিউটেড ও ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং মডেল-এর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
0
Updated: 1 week ago
ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম নয় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
Google Drive
B
pCloud
C
Mega
D
Slack
• ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম হলো এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবহারকারী তাদের ফাইল, ডকুমেন্ট, ছবি বা অন্যান্য ডেটা অনলাইনে সংরক্ষণ করতে পারে এবং যেকোনো সময়, যেকোনো ডিভাইস থেকে তা অ্যাক্সেস করতে পারে
• Google Drive, pCloud এবং Mega স্পষ্টভাবে ক্লাউড স্টোরেজ সেবা প্রদান করে, যেখানে ব্যবহারকারী ফাইল আপলোড, ডাউনলোড ও শেয়ার করতে পারে
• Slack মূলত একটি কমিউনিকেশন এবং দলবদ্ধ সহযোগিতা (collaboration) প্ল্যাটফর্ম, যা চ্যাট, মেসেজিং এবং প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টের জন্য ব্যবহৃত হয়; তাই Slack সরাসরি ক্লাউড স্টোরেজ প্ল্যাটফর্ম নয়
• ক্লাউড কম্পিউটিং হচ্ছে কম্পিউটার রিসোর্স যেমন- কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক ডিভাইস প্রভৃতি ব্যবহার করে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদান করা
• ২০০৬ সালে Amazon Web Services বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার শুরু করে
• উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ক্লাউড স্টোরেজ: Mega, Dropbox, OneDrive, Google Drive
• সেবার ধরন অনুসারে ক্লাউড কম্পিউটিং কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়: অবকাঠামোগত সেবা, প্ল্যাটফর্ম ভিত্তিক সেবা, সফটওয়্যার সেবা
• ক্লাউড কম্পিউটিং এর বৈশিষ্ট্য: Resource Scalability, On Demand, Pay as you go
• উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
0
Updated: 1 month ago