মানবদেহে লােহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কত দিন?
A
৭ দিন
B
৩০ দিন
C
১৮০ দিন
D
উপরের কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
লোহিত রক্তকণিকার আয়ু ও বৈশিষ্ট্য
মানবদেহের লোহিত রক্তকণিকা বা Red Blood Cell (RBC) বিশেষভাবে দ্বি-অবতল চাকতি আকৃতির হয়। এগুলোতে কোনো নিউক্লিয়াস থাকে না। এর ভেতরে থাকে হিমোগ্লোবিন, যার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
লোহিত কণিকাগুলোকে আসলে হিমোগ্লোবিনে পূর্ণ একেকটি ভাসমান থলের মতো মনে করা যায়। এদের চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে স্বাভাবিক আকারের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে অক্সিজেন পরিবহন করা সম্ভব হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, লোহিত কণিকা বিভাজিত হতে পারে না। এগুলো সার্বক্ষণিকভাবে অস্থিমজ্জায় তৈরি হয় এবং সেখান থেকে রক্তে প্রবেশ করে।
প্রতিটি লোহিত রক্তকণিকার গড় আয়ুষ্কাল প্রায় ৪ মাস বা ১২০ দিন।
উৎস: বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
পেরিস্কোপ তৈরিতে কতটি দর্পণ ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
একটি
B
দুইটি
C
তিনটি
D
চারটি
পেরিস্কোপ হলো এমন একটি অপটিক্যাল যন্ত্র যা আলোর প্রতিফলনের সাহায্যে তৈরি করা হয়। এটি ব্যবহার করে এমন বস্তুও দেখা সম্ভব হয় যা সরাসরি চোখে দেখা যায় না।
-
পেরিস্কোপ তৈরিতে দুটি সমতল দর্পণ ব্যবহার করা হয়।
-
আলো প্রথম দর্পণে প্রতিফলিত হয়ে দ্বিতীয় দর্পণে পড়ে এবং দ্বিতীয় দর্পণ থেকে প্রতিফলিত হয়ে চোখে পৌঁছায়।
-
এর ফলে সরাসরি দেখা না গেলেও বস্তু স্পষ্টভাবে দেখা যায়।
-
পেরিস্কোপ একটি লম্বা সরু টিউবের দুই প্রান্তে সমতল দর্পণের দুটি ফালি বসিয়ে তৈরি করা হয়।
-
দর্পণ দুটি টিউবের দেয়ালের সাথে ৪৫° কোণে স্থাপন করা হয় এবং এরা পরস্পরের সাথে সমান্তরাল থাকে।
-
এভাবে দর্পণ দুটি আলোকে ৯০° কোণে বাঁকিয়ে দেয়।
-
পেরিস্কোপ ব্যবহার করা হয় স্টেডিয়ামে ভিড়ের মধ্যে খেলা দেখার জন্য।
-
এটি বাঙ্কারে লুকিয়ে থাকা সৈন্যদের আশপাশ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।
-
ডুবোজাহাজ থেকেও সমুদ্রপৃষ্ঠের পরিস্থিতি দেখার জন্য পেরিস্কোপ ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
চকচকে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী মৌলকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
উপধাতু
B
ধাতু
C
অধাতু
D
খনিজ
ধাতু হলো এমন একটি পদার্থ যা চকচকে এবং তাপ ও বিদ্যুৎ সুপরিবাহী।
পদার্থের শ্রেণীবিভাগ:
-
সকল পদার্থ দুই প্রকার মৌলিক পদার্থ দিয়ে গঠিত: ধাতু ও অধাতু।
-
ধাতু উদাহরণ: ক্যালসিয়াম, আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, সিলভার, গোল্ড, কপার, জিংক ইত্যাদি।
-
অধাতু উদাহরণ: কয়লা (কার্বন), সালফার, ক্লোরিন, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন ইত্যাদি।
-
প্রকৃতিতে প্রায় সকল ধাতু ও অধাতু যৌগিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়।
-
কয়লা, সালফার ও কিছু পরিমাণ গোল্ড মৌলিক পদার্থ হিসেবে পাওয়া যায়।
-
যে ধাতু ও অধাতু অধিক সক্রিয়, তাদের যৌগ বেশি পরিমাণে, এবং কম সক্রিয় পদার্থের যৌগ কম পরিমাণে প্রকৃতিতে পাওয়া যায়।
ধাতুর বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
ঘাতসহনীয়তা: ধাতুকে পিটিয়ে বিভিন্ন আকারে আনা যায়।
-
নমনীয়তা: ধাতুকে বাঁকানো যায়।
-
উজ্জ্বলতা: আলোক প্রতিফলনের কারণে ধাতু চকচকে দেখায়।
-
পরিবাহিতা: ধাতু তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবাহী।
-
ধাতব শব্দ: আঘাত করলে ধাতু টুন-টুন শব্দ করে।
-
গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক: ধাতুসমূহের গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক অত্যন্ত বেশি (তবে পারদ সাধারণ তাপমাত্রায় তরল)।
-
ঘনত্ব: ধাতুসমূহের ঘনত্ব অধাতুর তুলনায় বেশি।
0
Updated: 3 weeks ago
মানব দেহের মৌলিক ইউনিটের নাম কি?
Created: 5 days ago
A
কোষ
B
নিউক্লিয়াস
C
মাইটোকন্ড্রিয়া
D
নিউক্লিওলাস
0
Updated: 5 days ago