কোনটি পানিতে দ্রবীভূত হয় না?
A
গ্লিসারিন
B
ফিটকিরি
C
সােডিয়াম ক্লোরাইড
D
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট
উত্তরের বিবরণ
লবণ (Salt)
-
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO3) পানিতে দ্রবীভূত হয় না।
-
খাবারের স্বাদ বাড়াতে যেসব লবণ ব্যবহৃত হয় সেগুলো হলো –
সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) এবং সোডিয়াম গ্লুটামেট (C5H8NO4Na)। -
মাটির অম্লতা বা এসিডিটি কমানোর জন্য চুনাপাথর (CaCO3) ব্যবহার করা হয়। এটি একটি লবণ।
-
মাটির উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য যে সার ব্যবহার করা হয় তার বেশিরভাগই আসলে লবণ জাতীয় যৌগ।
যেমন –-
অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট (NH4NO3)
-
অ্যামোনিয়াম ফসফেট ((NH4)3PO4)
-
পটাসিয়াম নাইট্রেট (KNO3) ইত্যাদি।
-
-
কৃষিকাজে রোগ প্রতিরোধের জন্য কপার সালফেট (CuSO4) বা তুঁতে বহুল ব্যবহৃত একটি লবণ। এটি ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকর।
-
অধিকাংশ লবণ পানিতে সহজে দ্রবীভূত হলেও কিছু কিছু লবণ দ্রবীভূত হয় না এবং এরা বিশেষ কাজে ব্যবহৃত হয়, যেমন শৈবালের বৃদ্ধি রোধে।
এর উদাহরণ –-
ক্যালসিয়াম কার্বোনেট (CaCO3)
-
সিলভার সালফেট (Ag2SO4)
-
সিলভার ক্লোরাইড (AgCl)
-
উৎস: বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
লোহিত কণিকা কোথায় উৎপন্ন হয়?
Created: 3 weeks ago
A
অস্থিমজ্জায়
B
লিভারে
C
প্লীহায়
D
হৃৎপিণ্ডে
রক্ত কণিকা তিন ধরনের হয়, যা রক্তের বিভিন্ন কার্যাবলীর সঙ্গে জড়িত।
ক. লোহিত কণিকা:
-
রক্তে লোহিত কণিকার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকে।
-
এক ঘন মিলিলিটার রক্তে পুরুষদের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ, এবং মহিলাদের জন্য প্রায় ৪৫ লক্ষ লোহিত কণিকা থাকে।
-
এটি অস্থিমজ্জায় উৎপন্ন হয় এবং ১২০ দিন পর প্লীহায় বিনষ্ট হয়।
-
ব্যায়াম করলে লোহিত কণিকার সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং এগুলো দীর্ঘদিন বাঁচে।
-
লোহিত কণিকা হিমোগ্লোবিনের সহায়তায় দেহের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।
খ. শ্বেত কণিকা:
-
শরীরে রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম থাকে।
-
এক মিলিলিটার রক্তে প্রায় ৬–৮ হাজার শ্বেত কণিকা থাকে।
-
এরা বর্ণহীন এবং নিউক্লিয়াসযুক্ত।
-
সাধারণত এরা ১২–১৩ দিন বাঁচে।
-
ব্যায়াম করলে এদের বেঁচে থাকার সময় ও সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
-
শ্বেত কণিকা রক্তে প্রবেশকারী জীবাণুকে ঘিরে ধরে বিনষ্ট করে এবং দেহকে রক্ষা করে, ফলে শরীরের ক্ষমতা ও শক্তিশালীতা বৃদ্ধি পায়।
গ. অণুচক্রিকা:
-
অণুচক্রিকা দেখতে ডিম্বাকার বা ডিস্কের মতো।
-
দেহের বৃহদাকার কোষ ভেঙ্গে অণুচক্রিকা সৃষ্টি হয়।
-
দেহের কোনো স্থানে ক্ষত হলে সেখানে ৩ মিনিটের মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
0
Updated: 3 weeks ago
ফুসফুস আবৃত থাকে কোন পর্দা দ্বারা?
Created: 1 month ago
A
ডায়াফ্রাম
B
প্লুরা
C
পেরিকার্ডিয়াম
D
আলভিওলাস
ফুসফুস (Lung):
- ফুসফুস শ্বসনতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ।
- বক্ষগহ্বরের ভিতর হৃৎপিণ্ডের দুই পাশে দুটি ফুসফুস অবস্থিত।
- এটি স্পঞ্জের মতো নরম, কোমল ও হালকা লালচে রঙের।
- ডান ফুসফুস তিন খণ্ডে এবং বাম ফুসফুস দুই খণ্ডে বিভক্ত।
- ফুসফুস দুই ভাঁজবিশিষ্ট প্লুরা নামক পর্দা দিয়ে আবৃত।
- দুই ভাঁজের মধ্যে এক প্রকার রস নির্গত হয়। ফলে শ্বাসক্রিয়া চলার সময় ফুসফুসের সাথে বক্ষগাত্রের কোনো ঘর্ষণ হয় না।
- ফুসফুসে অসংখ্য বায়ুথলি বা বায়ুকোষ, সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম শ্বাসনালি ও রক্তনালি থাকে।
- বায়ুথলিগুলোকে বলে অ্যালভিওলাস (Alveolus)।
- বায়ুথলিগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুক্লোম শাখাপ্রান্তে মৌচাকের মতো অবস্থিত।
- নাসাপথ দিয়ে বায়ু সরাসরি বায়ুথলিতে যাতায়াত করতে পারে।
- বায়ুথলি পাতলা আবরণী দিয়ে আবৃত এবং প্রতিটি বায়ুথলি কৈশিকনালিকা দিয়ে পরিবেষ্টিত।
- বায়ু প্রবেশ করলে এগুলো বেলুনের মতো ফুলে ওঠে এবং পরে আপনা-আপনি সংকুচিত হয়।
- বায়ুথলি ও কৈশিক নালিকার গাত্র এত পাতলা যে এর ভিতর দিয়ে গ্যাসীয় আদানপ্রদান ঘটে।

উৎস: জীববিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 1 month ago
খনিজ পদার্থের মধ্যে ধাতব পদার্থের উদাহরণ কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
মাইকা
B
লোহা
C
কোয়ার্টজ
D
খনিজ লবণ
খনিজ পদার্থ হলো প্রকৃতিতে প্রাকৃতিকভাবে পাওয়া এমন পদার্থ যা নির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন ও ভৌত ধর্ম বহন করে।
খনিজ পদার্থ সম্পর্কিত তথ্য
-
এখন পর্যন্ত প্রকৃতিতে প্রায় ২৫০০ রকমের খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে।
-
খনিজ পদার্থ হতে পারে ধাতব বা অধাতব।
-
ধাতব খনিজ পদার্থ: লোহা (Fe), তামা (Cu), সোনা (Au), রূপা (Ag) ইত্যাদি।
-
অধাতব খনিজ পদার্থ: কোয়ার্টজ (Quartz), মাইকা (Mica), খনিজ লবণ ইত্যাদি।
-
কয়লা, প্রাকৃতিক গ্যাস, পেট্রোল ইত্যাদি জৈব খনিজ পদার্থ হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 4 weeks ago