প্রােটিন তৈরি হয়-
A
ফ্যাটি অ্যাসিড দিয়ে
B
নিউক্লিক অ্যাসিড দিয়ে
C
অ্যামিনাে অ্যাসিড দিয়ে
D
উপরের কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
আমিষ বা প্রোটিন
-
প্রোটিন মূলত অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি হয়।
-
এগুলোতে কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন থাকে।
-
প্রোটিনের মৌলিক একক হলো অ্যামিনো অ্যাসিড।
-
যখন আমাদের শরীরে প্রোটিন হজম হয়, তখন তা ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিডে রূপ নেয়।
-
এখন পর্যন্ত মানুষের শরীরে মোট ২০ ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড অপরিহার্য বা অত্যাবশ্যকীয়, কারণ এগুলো শরীর নিজে তৈরি করতে পারে না, তাই খাবার থেকেই পেতে হয়।
মানবদেহের জন্য এ ৮টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড হলো:
১. লাইসিন
২. লিউসিন
৩. আইসোলিউসিন
৪. মিথিওনিন
৫. ট্রিপটোফ্যান
৬. ভ্যালিন
৭. ফেনাইল অ্যালানিন
৮. থ্রিওনিন
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
উদ্ভিদের পাতা হলদে হয়ে যায় কিসের অভাবে?
Created: 3 months ago
A
নাইট্রোজেনের
B
ফসফরাসের
C
ইউরিয়ার
D
পটাসিয়ামের
🔹 নাইট্রোজেনের অভাব
-
নাইট্রোজেন পাতায় সবুজ রঙ (ক্লোরোফিল) তৈরি করতে সাহায্য করে।
-
এর ঘাটতি হলে পাতার সবুজ রঙ ফিকে হতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে পাতাগুলো হলুদ হয়ে যায়।
-
এই হলুদ হওয়াকে বলা হয় ক্লোরোসিস।
🔹 ফসফরাসের অভাব
-
ফসফরাসের অভাবে পাতায় বেগুনি রঙ দেখা যায়।
-
পাতায় শুকিয়ে যাওয়া অংশ বা মৃত দাগ তৈরি হয়।
-
ফল, ফুল এমনকি পাতাও ঝরে পড়তে পারে।
-
গাছের বৃদ্ধি থেমে যেতে পারে।
🔹 পটাশিয়ামের অভাব
-
পটাশিয়ামের অভাবে পাতার মাথা ও ধারে হলুদ ছোপ দেখা দেয়।
-
পরে সেসব জায়গায় পোড়া দাগের মতো বাদামি রঙ হয় এবং পাতা কুঁকড়ে যায়।
-
গাছের বৃদ্ধি কমে যায় এবং ফুল বা ফলের কুঁড়ি শুকিয়ে যেতে পারে।
বুঝে রাখার মতো বিষয়:
-
নাইট্রোজেনের অভাবে সাধারণত পুরনো পাতা পুরোপুরি হলুদ হয়।
-
আর পটাশিয়ামের অভাবে পাতার ধারে পোড়া দাগের মতো চিহ্ন দেখা যায়, পুরো পাতা না।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির জীববিজ্ঞান বই।
0
Updated: 3 months ago
ভারী পানি (Heavy water) এর সংকেত হচ্ছে -
Created: 2 months ago
A
2H2O2
B
H2O
C
D2O
D
HD2O2
পানি
-
পানির রাসায়নিক সংকেত H₂O।
-
পানির একটি বিশেষ রূপ হলো ভারী পানি, যার সংকেত D₂O।
-
ভারী পানির রাসায়নিক নাম হলো ডিউটেরিয়াম অক্সাইড।
-
সাধারণ পানিতে থাকে প্রোটিয়াম (হাইড্রোজেনের এক আইসোটোপ) ও অক্সিজেন।
-
আর ভারী পানিতে থাকে ডিউটেরিয়াম (হাইড্রোজেনের আরেক আইসোটোপ) ও অক্সিজেন।
-
হাইড্রোজেনের মোট তিনটি আইসোটোপ আছে— প্রোটিয়াম, ডিউটেরিয়াম ও ট্রিটিয়াম।
-
সাধারণভাবে যখন আমরা হাইড্রোজেন বলি, তখন মূলত প্রোটিয়ামকেই বোঝানো হয়।
উৎস: মাধ্যমিক রসায়ন, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ।
0
Updated: 2 months ago
কোনটি মৌলিক পদার্থ?
Created: 2 months ago
A
লোহা
B
ব্রোঞ্জ
C
পানি
D
ইস্পাত
মৌলিক পদার্থ
মৌলিক পদার্থ হলো সেই পদার্থ যা ভেঙে বা বিশ্লেষণ করলে আর কোনো নতুন ধরনের পদার্থ পাওয়া যায় না। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি “অটুট” পদার্থ।
উদাহরণ: হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, হিলিয়াম, কার্বন, গন্ধক, তামা, দস্তা, পারদ, সোনা, রূপা, লৌহ ইত্যাদি।
যৌগিক পদার্থ
যৌগিক পদার্থ হলো সেই পদার্থ যা একাধিক মৌলিক পদার্থের রাসায়নিকভাবে নির্দিষ্ট অনুপাতে মিলিত হয়ে তৈরি হয়। এই পদার্থকে ভাঙলে এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থ পাওয়া যায়।
উদাহরণ: পানি (H₂O), কার্বন-ডাই-অক্সাইড (CO₂), খাদ্য লবণ, বিভিন্ন এসিড ও ক্ষার।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago