কোন পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশি?
A
পুকুরের পানিতে
B
লেকের পানিতে
C
নদীর পানিতে
D
সাগরের পানিতে
উত্তরের বিবরণ
নদীর পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ সাধারণত বেশি থাকে। কারণ নদীর পানি সবসময় প্রবাহিত হয় এবং এতে ঢেউ ও স্রোতের মাধ্যমে পানি বারবার বাতাসের সংস্পর্শে আসে। ফলে বাতাস থেকে অক্সিজেন পানিতে সহজে মিশে যায়।
অন্যদিকে, স্থির জলাশয় যেমন পুকুর বা লেকের পানি নড়াচড়া করে না বললেই চলে, তাই সেখানে বাতাস থেকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন শোষিত হতে পারে না। এ কারণেই স্থির পানিতে মাছ প্রায়ই শ্বাসকষ্টে ভোগে।
অন্যদিকে সাগরের পানিতে অক্সিজেনের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। এর মূল কারণ হলো সাগরের গভীরতা ও অতিরিক্ত লবণাক্ততা, যা অক্সিজেন মিশ্রণ প্রক্রিয়াকে সীমিত করে।
উৎসঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জীববিজ্ঞান পাঠ্যপুস্তক (বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড - NCTB)
0
Updated: 1 month ago
জারণ বিক্রিয়ায় কী ঘটে?
Created: 2 months ago
A
ইলেক্ট্রন গ্রহণ
B
ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান
C
ইলেক্ট্রন বর্জন
D
শুধু তাপ উৎপন্ন হয়
রেডক্স বিক্রিয়া
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যায়।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
'রেডক্স' শব্দটি এসেছে দুইটি শব্দ থেকে—'রেডাকশন' (বিজারণ) ও 'অক্সিডেশন' (জারণ)।
-
বিজারণ অর্থ হলো ইলেকট্রন গ্রহণ করা, আর জারণ অর্থ ইলেকট্রন হারানো বা ছেড়ে দেওয়া।
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় পরমাণুর জারণ সংখ্যা পরিবর্তিত হয়।
-
সব রেডক্স বিক্রিয়াই ইলেকট্রনের আদান-প্রদানের মাধ্যমে ঘটে।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
পর্যায় সারণির একই গ্রুপে উপর থেকে নিচে গেলে পরমাণুর আকার-
Created: 1 month ago
A
বৃদ্ধি পায়
B
হ্রাস পায়
C
হঠাৎ কমে যায়
D
অপরিবর্তিত থাকে
পরমাণুর আকার বা পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (Atomic Radius)
-
সংজ্ঞা: পরমাণুর আকার বা পারমাণবিক ব্যাসার্ধ হলো পরমাণুর কেন্দ্র (নিউক্লিয়াস) থেকে সবচেয়ে বাইরের ইলেকট্রন পর্যন্ত দূরত্ব। এটি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম অনুসরণ করে।
1️⃣ একই পর্যায়ে (Period) পরিবর্তন
-
বাম থেকে ডান দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমে যায়।
-
কারণ, একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লেও প্রধান শক্তিস্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না।
-
পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লে নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ইলেকট্রনও বৃদ্ধি পায়।
-
নিউক্লিয়াসের অধিক প্রোটন ও বাইরের ইলেকট্রনের মধ্যে আকর্ষণ বৃদ্ধি পেলে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের দিকে টানে, ফলে পরমাণুর আকার ছোট হয়।
2️⃣ একই গ্রুপে (Group) পরিবর্তন
-
উপরের দিক থেকে নিচের দিকে গেলে নতুন শক্তিস্তর যুক্ত হয়, তাই পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পায়।
-
যদিও নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা ও বাইরের ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়ার কারণে আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়, নতুন শক্তিস্তরের যোগ পারমাণুর আকারকে বড় করে।
-
ফলস্বরূপ, গ্রুপের নিচের মৌলের আকার উপরের মৌলের চেয়ে বড় হয়।
সংক্ষেপে:
-
Period: বাম → ডান = আকার ↓
-
Group: উপরে → নিচে = আকার ↑
উৎস: রসায়ন, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago
পারমাণবিক চুল্লীতে তাপ পরিবাহক হিসেবে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
সোডিয়াম
B
পটাসিয়াম
C
ম্যাগনেসিয়াম
D
জিংক
পারমাণবিক চুল্লি:
- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর (Nuclear Reactor) বা পারমাণবিক চুল্লি মূলত এক প্রকার তাপীয় যন্ত্র।
- পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
- পারমাণবিক চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম-২৩৫)-এর শৃঙ্খল বিক্রিয়া (chain reaction) ঘটিয়ে অত্যধিক তাপ শক্তি উৎপাদন করা হয়।
- মূলত ইউরেনিয়াম-২৩৫ (U-235) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়ার বিভাজনের (Nuclear Fission) মাধ্যমে পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়।
- পারমাণবিক চুল্লি বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য,
- পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ পরিবাহকরূপে হিসাবে সোডিয়াম ধাতু ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে,
- জ্বালানি হিসাবে ইউরেনিয়াম ও মডারেটর হিসাবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
- হাইড্রোজেন পরমাণু খুবই হালকা হওয়ায় মডারেটর হিসেবে রিয়্যাক্টরে হাইড্রোজেন পরমাণুকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মডারেটর হিসেবে পরিষ্কার গ্রাফাইট, সাধারণ হালকা পানি, ভারী পানি ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়।
উৎস: রসায়ন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং IAEA ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago