গ্রাফিন (graphene) কার বহুরূপী?
A
কার্বন
B
কার্বন ও অক্সিজেন
C
কার্বন ও হাইড্রোজেন
D
কার্বন ও নাইট্রোজেন
উত্তরের বিবরণ
গ্রাফিন হলো কার্বনের একটি বিশেষ রূপ।
-
এটি আসলে কার্বনের একটি ষড়ভুজ জালের মতো স্ফটিক স্তর, যেখানে প্রতিটি স্তরের পুরুত্ব মাত্র একটি পরমাণুর সমান।
-
এই অসাধারণ পদার্থ আবিষ্কারের জন্য আন্দ্রেঁ গেইম ও কনস্টানটিন নভোসেলভ ২০১০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।
-
কোনো মৌল প্রকৃতিতে ভিন্ন ভিন্ন ভৌত রূপে থাকতে পারলে তাকে বলা হয় বহুরূপতা (Allotropy)।
-
যেমন: কার্বন, ফসফরাস, সিলিকন, সালফার, জার্মেনিয়াম, বোরন, টিন প্রভৃতি মৌল বহুরূপতা প্রদর্শন করে।
-
কার্বনের রূপভেদ দুটি ভাগে বিভক্ত:
- দানাদার রূপভেদ → গ্রাফাইট, হীরা।
-
অদানাদার রূপভেদ → কোক কার্বন, চারকোল, কয়লা, কার্বন ব্ল্যাক।
উৎস: রসায়ন বিজ্ঞান, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 1 month ago

Created: 1 month ago
A
৮
B
১৭
C
৯
D
২৫
আইসোটোপ হলো এমন পরমাণু, যাদের প্রোটন সংখ্যা সমান হলেও ভর সংখ্যা ভিন্ন হয়ে থাকে। এ ধরনের পরমাণু একে অপরের থেকে সামান্য ভৌত বৈশিষ্ট্যে ভিন্নতা প্রদর্শন করে। নিচে বিষয়গুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরা হলো।
-
আইসোটোপ: যেসব পরমাণুর প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন, তাদেরকে আইসোটোপ বলা হয়।
-
ভারী আইসোটোপের স্ফুটনাঙ্ক ও গলনাঙ্ক সাধারণত কিছুটা বেশি হয়, তবে এ পার্থক্য অনেকক্ষেত্রে উপেক্ষাযোগ্য।
-
বর্তমানে মোট আইসোটোপের সংখ্যা প্রায় ১৩০০।
ভর সংখ্যা সম্পর্কিত তথ্য:
-
কোনো পরমাণুর ভর সংখ্যা (A) = প্রোটন সংখ্যা (Z) + নিউট্রন সংখ্যা (n)।
-
ভর সংখ্যা থেকে প্রোটন সংখ্যা বাদ দিলে নিউট্রন সংখ্যা পাওয়া যায়।
উদাহরণ:
-
অক্সিজেন (O)-এর ভর সংখ্যা = ১৭, প্রোটন সংখ্যা = ৮
-
নিউট্রন সংখ্যা = ১৭ – ৮ = ৯
0
Updated: 1 month ago
পারমাণবিক চুল্লীতে তাপ পরিবাহক হিসেবে কোন ধাতু ব্যবহৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
সোডিয়াম
B
পটাসিয়াম
C
ম্যাগনেসিয়াম
D
জিংক
পারমাণবিক চুল্লি:
- নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর (Nuclear Reactor) বা পারমাণবিক চুল্লি মূলত এক প্রকার তাপীয় যন্ত্র।
- পারমাণবিক চুল্লিতে শক্তি উৎপাদনের জন্য নিউক্লিয়ার ফিশন বা নিউক্লিয়ার চেইন বিক্রিয়া ব্যবহার করা হয়।
- পারমাণবিক চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি (ইউরেনিয়াম-২৩৫)-এর শৃঙ্খল বিক্রিয়া (chain reaction) ঘটিয়ে অত্যধিক তাপ শক্তি উৎপাদন করা হয়।
- মূলত ইউরেনিয়াম-২৩৫ (U-235) কে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে নিউক্লিয়ার বিভাজনের (Nuclear Fission) মাধ্যমে পারমাণবিক চুল্লির মধ্যে প্রচুর পরিমাণ তাপ শক্তি উৎপন্ন হয়।
- পারমাণবিক চুল্লি বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরীসহ অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য,
- পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ পরিবাহকরূপে হিসাবে সোডিয়াম ধাতু ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে,
- জ্বালানি হিসাবে ইউরেনিয়াম ও মডারেটর হিসাবে হাইড্রোজেন ব্যবহৃত হয়।
- হাইড্রোজেন পরমাণু খুবই হালকা হওয়ায় মডারেটর হিসেবে রিয়্যাক্টরে হাইড্রোজেন পরমাণুকেই বেশি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মডারেটর হিসেবে পরিষ্কার গ্রাফাইট, সাধারণ হালকা পানি, ভারী পানি ইত্যাদিও ব্যবহার করা হয়।
উৎস: রসায়ন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং IAEA ওয়েবসাইট।
0
Updated: 2 months ago
টেলিভিশনে রঙিন ছবি উৎপাদনের জন্যে কয়টি মৌলিক রং- এর ছবি ব্যবহার করা হয়?
Created: 3 months ago
A
১ টি
B
২ টি
C
৩ টি
D
৪ টি
রঙিন টেলিভিশন
রঙিন টেলিভিশন এবং সাদাকালো টেলিভিশনের মধ্যে অনেক যন্ত্রপাতি এক হলেও, রঙিন টেলিভিশনে বাড়তি কিছু যন্ত্র লাগে রঙ দেখানোর জন্য।
রঙিন টেলিভিশনের ক্যামেরা রঙিন ছবি তোলার জন্য তিনটি মূল রঙ — লাল, সবুজ ও নীল — আলাদাভাবে ধরতে পারে। এজন্য ক্যামেরায় থাকে তিনটি আলাদা ইলেকট্রন টিউব।
একইভাবে, রঙিন টেলিভিশনের ভিতরে (যেটা আমরা দেখি) তিনটি ইলেকট্রন গান থাকে — প্রতিটি গান একটি নির্দিষ্ট রঙ (লাল, সবুজ, নীল) তৈরি করে।
পর্দার পেছনে থাকে তিন ধরনের ফসফর দানা। ইলেকট্রন গান থেকে আসা রশ্মি যখন নির্দিষ্ট ফসফর দানায় লাগে, তখন সেই দানাটি আলোকিত হয় এবং নির্দিষ্ট একটি রঙ তৈরি হয়।
এইভাবে, পর্দায় একসাথে ছোট ছোট লাল, সবুজ আর নীল রঙের বিন্দু তৈরি হয়। এদের মিলিয়ে নানা রকম রঙ তৈরি হয়, আর আমাদের চোখে তা রঙিন ছবি হিসেবে দেখা যায়।
0
Updated: 3 months ago