'ণ-ত্ব বিধান' খাটে না কোন শব্দে?
A
ভূষণ
B
উত্তরায়ণ
C
ত্রিনয়ণ
D
পরিণয়
উত্তরের বিবরণ
• ‘ত্রিনয়ণ’ শব্দে ণ-ত্ব বিধান খাটে না
-
সঠিক শব্দ: ত্রিনয়ন
ণ-ত্ব বিধান:
বাংলা ভাষায় বহু তৎসম বা সংস্কৃত শব্দে মূর্ধন্য-ণ এবং দন্ত্য-ন ব্যবহৃত হয়। এগুলো বাংলা বানানেও মূল রূপে রক্ষিত হয়।
তৎসম শব্দের বানানে ণ-এর সঠিক ব্যবহারই ণ-ত্ব বিধান।
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় 'ণ' ব্যবহৃত হয়।
-
ঋ, র, ষ-এর পরে 'ণ' বসে।
-
বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ণ’ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।
যেসকল ক্ষেত্রে ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়:
ক. সমাসবদ্ধ শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য হয় না; এই ক্ষেত্রে ‘ন’ ব্যবহৃত হয়।
-
উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক
খ. ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ন কখনো ণ হয় না; সবসময় ‘ন’ হয়।
-
উদাহরণ: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন
গ. বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে মূর্ধন্য-ণ লেখার প্রয়োজন নেই।
উদাহরণ:
-
‘ভূষণ’, ‘উত্তরায়ণ’, ‘পরিণয়’ – ণ-ত্ব বিধান অনুসারে সঠিক
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago
নিত্যস্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
যোগিনী
B
সধবা
C
জেনানা
D
গুণবতী
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ: সধবা
নিত্য পুরুষবাচক শব্দ:
কিছু শব্দ যা কেবল পুরুষকে নির্দেশ করে, এদেরকে নিত্য পুরুষবাচক শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ: কবিরাজ, কৃতদার, অকৃতদার, ঢাকী ইত্যাদি
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ:
কিছু শব্দ যা কেবল স্ত্রীকে নির্দেশ করে, এদেরকে নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ: এয়ো, সতীন, সৎমা, সধবা ইত্যাদি
অন্যান্য স্ত্রীবাচক রূপ:
-
যোগী → যোগিনী
-
মরদ → জেনানা
-
গুণবান → গুণবতী
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান; প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago
গ্রিক শব্দ কোনটি?
Created: 3 months ago
A
তুফান
B
লুঙ্গী
C
কুশন
D
দাম
• দাম,
- গ্রিক শব্দ।
অর্থ: মূল্য, দর, মর্যাদা, গুরুত্ব।
অন্যদিকে,
লুঙ্গি - ফারসি শব্দ।
তুফান - আরবি শব্দ।
কুপন - ফরাসি শব্দ।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান
0
Updated: 3 months ago
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বেঙ্গমী
B
অভিসারিণী
C
সপত্নী
D
মানবী
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ হলো সেই ধরনের শব্দ যা কেবল স্ত্রীকে নির্দেশ করে। এই ধরনের শব্দ কখনও পুরুষের জন্য ব্যবহার করা হয় না। উদাহরণস্বরূপ:
-
এয়ো, সতীন, সৎমা, সধবা, কুলটা, বিধবা, অরক্ষণীয়া, সপত্নী ইত্যাদি।
এর বিপরীতে, নিত্য পুরুষবাচক শব্দ হলো সেই ধরনের শব্দ যা কেবল পুরুষকে নির্দেশ করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
কবিরাজ, কৃতদার, অকৃতদার, ঢাকী ইত্যাদি।
অন্যদিকে, কিছু শব্দের জন্য নারী এবং পুরুষকে আলাদা আকারে প্রকাশ করা হয়। যেমন:
-
বেঙ্গমা → বেঙ্গমী
-
অভিসারী → অভিসারিণী
-
মানব → মানবী
0
Updated: 1 month ago