A
কুলটা
B
অধ্যাপক
C
মহৎ
D
ঢাকী
উত্তরের বিবরণ
• নিত্য পুরুষবাচক শব্দ:
-
নিত্য পুরুষবাচক শব্দ হলো এমন কিছু শব্দ যা কেবল পুরুষকে নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: ঢাকী, কবিরাজ, কৃতদার, অকৃতদার ইত্যাদি।
• নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ:
-
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ হলো এমন কিছু শব্দ যা কেবল নারীকে নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: এয়ো, সতীন, সৎমা, সধবা, কুলটা, বিধবা, অরক্ষণীয়া, সপত্নী ইত্যাদি।
অন্য উদাহরণ:
-
কুলটা – নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ
-
অধ্যাপক – অধ্যাপিকা
-
মহৎ – মহতী
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ নির্মিত, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 16 hours ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 1 week ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
No subjects available.
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
কোনটি তৎসম শব্দ?
Created: 3 weeks ago
A
কিংবদন্তি
B
হাতি
C
চাঁদ
D
তেঁতুল
যেসব শব্দের সংস্কৃত ভাষা থেকে কোন রূপ পরিবর্তন ছাড়া বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সেসব শব্দকে তৎসম শব্দ বলে। যেমন - চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, ভবন, ধর্ম, পত্র, মনুষ্য, মস্তক, গ্রহ, কর্ণ ইত্যাদি।

0
Updated: 3 weeks ago
তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় শব্দের প্রয়োগে কোন দোষে দুষ্ট হয়?
Created: 2 days ago
A
গুরুচণ্ডালী দোষে
B
দুর্বোধ্যতা-দোষে
C
বাহুল্য-দোষে
D
উপমার ভুল প্রয়োগ-দোষে
ভাষাগত দোষ ও উদাহরণ
-
গুরুচণ্ডালী দোষ
-
তৎসম + দেশীয় শব্দের ভুল সংযোগে সৃষ্টি হয়।
-
উদাহরণ:
-
গরুর গাড়ি → গরুর শকট
-
শবদাহ → শবপোড়া
-
মড়াপোড়া → মড়াদাহ
-
-
-
দুর্বোধ্যতা
-
অপ্রচলিত বা অজানা শব্দ ব্যবহারে বাক্যের যোগ্যতা হারায়।
-
উদাহরণ: তুমি আমার সঙ্গে প্রপঞ্চ করেছো। (প্রপঞ্চ অপ্রচলিত)
-
-
উপমার ভুল প্রয়োগ
-
উপমা অলংকার ঠিকভাবে ব্যবহার না করলে অর্থহানি ঘটে।
-
উদাহরণ: আমার হৃদয়-মন্দিরে আশার বীজ উপ্ত হলো → সঠিক: আমার হৃদয়-ক্ষেত্রে আশার বীজ উপ্ত হলো।
-
-
বাহুল্য-দোষ
-
প্রয়োজনের অতিরিক্ত শব্দ ব্যবহারে শব্দের যোগ্যতা কমে।
-
উদাহরণ: দেশের সব আলেমগণই এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন → সঠিক: দেশের আলেমগণ এ ব্যাপারে আমাদের সমর্থন দান করেন।
-

0
Updated: 2 days ago