কোনটি নিত্য পুরুষবাচক শব্দ?
A
কুলটা
B
অধ্যাপক
C
মহৎ
D
ঢাকী
উত্তরের বিবরণ
• নিত্য পুরুষবাচক শব্দ:
-
নিত্য পুরুষবাচক শব্দ হলো এমন কিছু শব্দ যা কেবল পুরুষকে নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: ঢাকী, কবিরাজ, কৃতদার, অকৃতদার ইত্যাদি।
• নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ:
-
নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ হলো এমন কিছু শব্দ যা কেবল নারীকে নির্দেশ করে।
-
উদাহরণ: এয়ো, সতীন, সৎমা, সধবা, কুলটা, বিধবা, অরক্ষণীয়া, সপত্নী ইত্যাদি।
অন্য উদাহরণ:
-
কুলটা – নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দ
-
অধ্যাপক – অধ্যাপিকা
-
মহৎ – মহতী
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ নির্মিত, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি তৎসম শব্দ?
Created: 1 month ago
A
চাঁদ
B
খোকা
C
কাঠ
D
সন্ধ্যা
যেসব শব্দ সংস্কৃত ভাষা থেকে সরাসরি বাংলায় এসেছে এবং যাদের রূপ অপরিবর্তিত রয়েছে, সেসব শব্দকে বলা হয় তৎসম শব্দ। তৎসম একটি পারিভাষিক শব্দ। এর অর্থ [তৎ (তার)+ সম (সমান)] = তার সমান অর্থাৎ সংস্কৃত। তৎসম শব্দ খুব গুরুগম্ভীর হয়ে থাকে। তৎসম শব্দের উদাহরণ: চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্র, সন্ধ্যা, হস্ত, ভবন, ধর্ম, পাত্র, মনুষ্য ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago
"ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান" কোন ধরনের শব্দে প্রযোজ্য?
Created: 1 month ago
A
দেশি শব্দে
B
তদ্ভব শব্দে
C
তৎসম শব্দে
D
বিদেশি শব্দে
• ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান:
-
ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান হলো তৎসম শব্দের বানান সংক্রান্ত নিয়ম।
-
বানানে 'ণ' ও 'ষ' ব্যবহারের নিয়মকেই ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান বলা হয়।
-
এই বিধান তৎসম শব্দে প্রযোজ্য।
-
বাংলা (দেশি), তদ্ভব ও বিদেশি শব্দের বানানে ণ-ত্ব ও ষ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয়।
-
সমাসবদ্ধ শব্দের বানানেও এই বিধান প্রযোজ্য নয়।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম ও দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 1 month ago
প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত যেসব শব্দ বাংলা ভাষায় একেবারেই স্বতন্ত্র, সেগুলো হলো -
Created: 1 month ago
A
তৎসম শব্দ
B
তদ্ভব শব্দ
C
দেশি শব্দ
D
বিদেশি শব্দ
বাংলা
তদ্ভব শব্দ
তৎসম শব্দ
দেশি শব্দ
বাংলা উপন্যাস
বাংলা ব্যকরণ
বাংলা ভাষা (ব্যাকরণ)
শক্তির উৎস ও ব্যবহার
উৎস বিবেচনায় বাংলা শব্দের শ্রেণিবিভাগ
বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডারকে উৎসের ভিত্তিতে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়— তৎসম, তদ্ভব, দেশি ও বিদেশি।
এর মধ্যে তৎসম ও তদ্ভব শব্দকে নিজস্ব উৎসের এবং দেশি ও বিদেশি শব্দকে আগত উৎসের শব্দ ধরা হয়।
১. তৎসম শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত এমন সব শব্দ, যেগুলোর রূপ প্রায় অবিকৃত থেকে গেছে এবং সংস্কৃত শব্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সাদৃশ্য বজায় রেখেছে।
-
উদাহরণ: পৃথিবী, আকাশ, গ্রহ, বৃক্ষ।
২. তদ্ভব শব্দ
-
সংজ্ঞা: প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা থেকে বিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় স্বতন্ত্র রূপ নিয়েছে যে সব শব্দ।
-
উদাহরণ: হাত, পা, কান, নাক, দাঁত, জিভ; হাতি, ঘোড়া, সাপ, পাখি, কুমির ইত্যাদি।
৩. দেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: বাংলার স্থানীয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে আগত শব্দ।
-
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি।
৪. বিদেশি শব্দ
-
সংজ্ঞা: ঐতিহাসিক যোগাযোগের ফলে আরবি, ফারসি, ইংরেজি, পর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, হিন্দি প্রভৃতি ভাষা থেকে গৃহীত শব্দ।
-
উদাহরণ: আলু (পর্তুগিজ), কাগজ (আরবি), দপ্তর (ফারসি), স্কুল (ইংরেজি)।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)
0
Updated: 1 month ago