আবহাওয়ায় ৯০% আদ্রতা মানে-
A
বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা ৯০%
B
১০০ ভাগ বাতাসে ৯০ ভাগ জলীয় বাষ্প
C
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান সম্পৃক্ত অবস্থায় ৯০%
D
বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বৃষ্টিপাতের সময়ের ৯০%
উত্তরের বিবরণ
আর্দ্রতা
-
যখন বলা হয় আর্দ্রতা ৯০%, তখন বুঝায় যে বায়ু যতটা জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে তার ৯০% ইতোমধ্যেই বায়ুতে বিদ্যমান। একে বলে আপেক্ষিক আর্দ্রতা।
-
আপেক্ষিক আর্দ্রতা হলো—বায়ুমণ্ডলে বাস্তবিকভাবে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প আছে, তার সাথে বায়ু সর্বোচ্চ যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে, তার শতকরা অনুপাত।
-
বায়ুতে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিকেই আর্দ্রতা বলা হয়।
-
কোনো অঞ্চলের আর্দ্রতা সেখানে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে।
-
বেশি আর্দ্রতা থাকলে সেই বায়ু জলবায়ুর ওপর বেশি প্রভাব ফেলে। ফলে, এমন এলাকায় দিনে প্রচণ্ড গরম এবং রাতে প্রবল ঠান্ডা অনুভূত হয়।
-
কারণ, আর্দ্র বায়ু সূর্যের তাপ ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে।
-
বর্ষাকালে অধিক আর্দ্রতার ফলে ফসল সহজেই রোগবালাই ও পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত হয়।
-
শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকে, অর্থাৎ বাতাস হয় শুষ্ক।
-
শীতকালে গড় আপেক্ষিক আর্দ্রতা থাকে প্রায় ৭২% থেকে ৮৫%।
-
আর গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এটি বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৮৩% থেকে ৯০%-এ।
উৎস: কৃষি শিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 3 months ago
নিম্নের কোনটি বাংলাদেশের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 3 weeks ago
A
শীতকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত
B
উষ্ণ ও আর্দ্র গ্রীষ্মকাল
C
গ্রীষ্মে কালবৈশাখী ও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত
D
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বায়ুর গতির পরিবর্তন
আবহাওয়া ও জলবায়ু
-
সংজ্ঞা:
-
আবহাওয়া: কোন স্থানের দৈনন্দিন বায়ুমণ্ডলের অবস্থা, যেমন—দৈনিক বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বায়ুর গতি ও চাপ, সূর্যালোক প্রভৃতি।
-
জলবায়ু: কোন স্থানের ২৫–৩০ বছরের আবহাওয়ার গড়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ু:
-
বাংলাদেশের জলবায়ু প্রায় সমভাবাপন্ন। সারা বছরের জলবায়ুতে বড় পরিবর্তন হয় না।
-
কৃষি উৎপাদন মূলত মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে নির্ভরশীল।
-
-
মৌসুমি বায়ু ও ফসল:
-
দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু (গ্রীষ্মকাল):
-
আর্দ্র ও বৃষ্টিপূর্ণ।
-
প্রধান ফসল: ধান, পাট, আখ, চা ইত্যাদি।
-
-
উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ু (শীতকাল):
-
শুষ্ক ও কম বৃষ্টিপাত।
-
প্রধান ফসল: ডাল, তৈলবীজ, আলু, পেঁয়াজ, শীতকালীন সবজি।
-
-
পাহাড়ি অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি, ফলে চা, রাবার ইত্যাদির চাষ হয়।
-
-
জলবায়ুর প্রভাব:
-
বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও বায়ুপ্রবাহের পার্থক্য বিভিন্ন অঞ্চলের ফসল ও উদ্ভিদজগতকে প্রভাবিত করে।
-
উদ্ভিদ ও কৃষি উৎপাদন দেখে সেই অঞ্চলের কৃষি জলবায়ু বোঝা যায়।
-
-
বাংলাদেশের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য:
১. ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে বায়ুর গতি পরিবর্তিত হয়, ফলে জলবায়ুতে পরিবর্তন ঘটে।
২. গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও আর্দ্র, শীতকাল শুষ্ক ও নাতিশীতোষ্ণ।
৩. মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে:-
গ্রীষ্মকাল: বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত, যেমন কাল বৈশাখী।
-
বর্ষাকাল: প্রচুর বৃষ্টিপাত।
-
শীতকাল: বৃষ্টিপাত খুবই কম।
-
উৎস: কৃষিশিক্ষা প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago
নিচের কোনটি আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক?
Created: 2 days ago
A
ভূ-প্রকৃতি
B
সমুদ্রস্রোত
C
অক্ষাংশ
D
বর্ণিত সবগুলো
আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামক
-
আবহাওয়া ও জলবায়ুর নিয়ামকসমূহ সর্বত্র সমানভাবে কাজ করে না।
-
প্রধান নিয়ামকসমূহ:
১. অক্ষাংশ
২. উচ্চতা
৩. সমুদ্র থেকে দূরত্ব
৪. স্থলভাগ ও জলভাগের অবস্থান
৫. সমুদ্রস্রোত
৬. ভূমির ঢাল
৭. ভূ-প্রকৃতি
৮. বায়ুপ্রবাহ
৯. বায়ুর চাপ১০. বনভূমির অবস্থান

0
Updated: 2 days ago
উচ্চতা বাড়লে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা কী হয়?
Created: 2 weeks ago
A
হ্রাস পায়
B
বৃদ্ধি পায়
C
অপরিবর্তিত থাকে
D
কোনোটিই নয়
জলবায়ু ও উচ্চতা:
জলবায়ু:
-
জলবায়ু হলো কোনো স্থানের ৩০–৪০ বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান: বায়ুর তাপমাত্রা, বায়ুচাপ, বৃষ্টিপাত, আর্দ্রতা, বায়ুপ্রবাহ।
-
প্রধান নিয়ামক:
-
অক্ষাংশ
-
উচ্চতা
-
সমুদ্র থেকে দূরত্ব
-
বায়ুপ্রবাহ
-
বনভূমি
-
সমুদ্রস্রোত
-
পর্বতের অবস্থান
-
ভূমির ঢাল ও মৃত্তিকা
-
উচ্চতা এবং জলবায়ু:
-
উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা হ্রাস পায়।
-
সাধারণত প্রতি ১০০০ মিটার উচ্চতায় ৬° সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমে।
-
একই অক্ষাংশের মধ্যে দুই স্থানের উচ্চতার পার্থক্যের কারণে জলবায়ু ভিন্ন হয়।
-
উদাহরণ: দিনাজপুর ও শিলং – একই অক্ষাংশে হলেও শিলং-এর উচ্চতা বেশি হওয়ায় তাপমাত্রা অনেক কম।
-
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago