নিচের কোনটি ভাইরাসজনিত রোগ নয়?
A
ইনফ্লুয়েঞ্জা
B
জলাতঙ্ক
C
ডেঙ্গু
D
যক্ষ্মা
উত্তরের বিবরণ
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সম্পর্কিত তথ্য
ব্যাকটেরিয়া
-
যক্ষ্মা (Tuberculosis) হলো ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ।
-
অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ উদাহরণ: টাইফয়েড, হাট, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট সংক্রমণ ইত্যাদি।
-
ব্যাকটেরিয়া এককোষী প্রাণী, যা সরাসরি সংক্রমণ ঘটাতে পারে।
ভাইরাস
-
ভাইরাস হলো সংক্রমণকারী ক্ষুদ্র অণুজীব, যা কেবল জীবন্ত কোষের ভিতরে প্রজনন করতে পারে।
-
সাধারণ ভাইরাসজনিত রোগ:
-
সর্দি, ইনফ্লুয়েঞ্জা (ফ্লু)
-
ডেঙ্গু, জলাতঙ্ক, গুটিবসন্ত, জলবসন্ত
-
বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু
-
ভাইরাল হেপাটাইটিস ইত্যাদি
-
-
অন্যান্য জীবেও ভাইরাসজনিত রোগ হতে পারে – যেমন গাছপালা ও অন্যান্য প্রাণী।
-
উৎপত্তি: ল্যাটিন শব্দ Virus, যার অর্থ “বিষ”।
-
গঠন: নিউক্লিক অ্যাসিড (কেন্দ্রে) + প্রোটিন কোট (আবরণ)।
উৎস: উদ্ভিদ বিজ্ঞান, এইচএসসি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৮৩ সালে
B
১৯৮৫ সালে
C
১৯৮৮ সালে
D
১৯৯০ সালে
বাংলাদেশে প্রথম উপজেলা পরিষদ ১৯৮২ সালে গঠিত হয় এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, যা ৪৬০টি উপজেলায় পরিচালিত হয়। যদিও ১৯৯১ সালে উপজেলা পরিষদ বিলুপ্ত করা হয়, ১৯৯৮ সালে পুনরায় উপজেলা গঠনের জন্য আইন প্রণয়ন করা হয়।
উপজেলা পরিষদ একটি স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থা, যা প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, দুইজন ভাইস চেয়ারম্যান (যাদের মধ্যে একজন মহিলা) এবং কিছু সংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত। সংশ্লিষ্ট উপজেলার অন্তর্গত প্রতিটি পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা দায়িত্ব পালনকারী ব্যক্তি এই পরিষদের সদস্য হন। এছাড়া, উপজেলা পরিষদে সংরক্ষিত পদে তিনজন নারী সদস্য মনোনীত থাকেন।
২০০৯ সালের উপজেলা পরিষদ আইনের প্রেক্ষিতে, সংসদ সদস্যগণ পরিষদের পরামর্শকের ভূমিকা পালন করেন। পরিষদের কার্যকাল ৫ বছর, এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ.এন.ও.) পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। উপজেলা পরিষদের প্রধান কাজ হল ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করা।
0
Updated: 1 month ago
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রী পরিষদ বাতিল করেন কে?
Created: 2 months ago
A
গোলাম মোহাম্মদ
B
আইয়ুব খান
C
ইস্কান্দার মির্জা
D
ইয়াহিয়া খান
যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভা (১৯৫৪)
-
গঠনের তারিখ: ৩ এপ্রিল ১৯৫৪
-
মুখ্যমন্ত্রী: শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক
-
মন্ত্রিসভার সদস্যরা:
| পদের নাম | মন্ত্রী |
|---|---|
| অর্থ, রাজস্ব ও স্বরাষ্ট্র | এ কে ফজলুল হক |
| বিচার, স্বাস্থ্য ও স্থানীয় সরকার | আবু হোসেন সরকার |
| বেসামরিক সরবরাহ ও যোগাযোগ | আশরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী |
| শিক্ষা, বাণিজ্য, শ্রম ও শিল্প | সৈয়দ আজিজুল হক |
-
মন্ত্রীসভা কার্যকাল: মোট ৫৬ দিন, যার মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রীসভা দায়িত্বে ছিল মাত্র ১৫ দিন।
-
বাতিলের কারণ: রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং ফজলুল হক মন্ত্রীসভা বাংলাকে স্বাধীন করতে চাইছে এমন অজুহাতে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ ৩০ মে ১৯৫৪ মন্ত্রীসভা বাতিল করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া; পৌরনীতি ও সুশাসন (২য় পত্র), প্রফেসর মো: মোজাম্মেল হক
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশে বসবাসরত কোন নৃগোষ্ঠীর মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা রয়েছে?
Created: 1 month ago
A
চাকমা
B
মারমা
C
গারো
D
সাঁওতাল
গারো নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। এরা মূলত উত্তর-মধ্য এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় বসবাস করে, পাশাপাশি ভারতের মেঘালয় রাজ্যেও তাদের বসতি রয়েছে। নৃ-বৈজ্ঞানিক দিক থেকে তারা মঙ্গোলীয় জাতির তিব্বতি-বর্মী শাখার অন্তর্ভুক্ত।
-
বসবাস: টাঙ্গাইল, জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও গাজীপুর।
-
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা; শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতী; টাঙ্গাইলের মধুপুর।
-
নৃ-বিজ্ঞান অনুযায়ী: মঙ্গোলীয় জাতির তিব্বতি-বর্মী শাখার বোড়ো উপশাখা।
-
সমাজব্যবস্থা: মাতৃতান্ত্রিক।
-
উত্তরাধিকারী কন্যা: নক্না।
-
আত্মপরিচয়: আচিক্ মান্দে।
-
প্রধান গোত্র: সাংমা, মারাক, মোমিন, শিরা ও আরেং।
-
প্রধান ধর্ম: খ্রিস্টধর্ম (ব্যাপ্টিস্ট ও ক্যাথলিক সম্প্রদায়)।
-
প্রধান উৎসব: ওয়ানগালা (ধান কাটার উৎসব, ফসল উৎসব)।
-
তুলনামূলকভাবে: চাকমা, মারমা ও সাঁওতাল সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।
আদি ইতিহাস
-
আদি বাসভূমি ছিল চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সিনকিয়াং প্রদেশ।
-
পরবর্তীতে তারা তিব্বত, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং বাংলাদেশে বিস্তার লাভ করে।
-
প্রায় ৪ থেকে ৪.৫ হাজার বছর আগে গারো পাহাড়ে বসতি স্থাপন করে।
-
সর্বশেষ তারা ময়মনসিংহ অঞ্চলে এসে আশ্রয় নেয় এবং সেখানে ক্ষুদ্র সামন্তরাজ্য প্রতিষ্ঠা করে।
0
Updated: 1 month ago