কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষ গ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, বোরো ধান উৎপাদনে শীর্ষ জেলা-
A
দিনাজপুর
B
রাজশাহী
C
কুমিল্লা
D
ময়মনসিংহ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে ধান উৎপাদন (২০২৪ অনুযায়ী)
-
সার্বিকভাবে বিভাগ অনুযায়ী সর্বাধিক উৎপাদন: রংপুর বিভাগ
-
সার্বিকভাবে জেলা অনুযায়ী সর্বাধিক উৎপাদন: ময়মনসিংহ জেলা
ধানভিত্তিক উৎপাদন বিভাজন:
-
বোরো ধান
-
শীর্ষ বিভাগ: রাজশাহী
-
শীর্ষ জেলা: ময়মনসিংহ
-
-
আউশ ধান
-
শীর্ষ বিভাগ: চট্টগ্রাম
-
শীর্ষ জেলা: কুমিল্লা
-
-
আমন ধান
-
শীর্ষ বিভাগ: রংপুর
-
শীর্ষ জেলা: দিনাজপুর
-
উৎস: কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪
0
Updated: 1 month ago
পাল রাজারা কোন ধর্মের অনুসারী ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
হিন্দুধর্ম
B
জৈনধর্ম
C
শাক্তধর্ম
D
বৌদ্ধধর্ম
পাল রাজারা বৌদ্ধধর্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন এবং তাদের শাসনামলে অনেক বৌদ্ধবিহার নির্মিত হয়।
পাল রাজবংশ:
-
পাল বংশ অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশত বছর বাংলা ও বিহারে শাসন করেছিল।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর বাংলায় প্রায় একশ বছর অরাজকতা বিরাজ করেছিল, যা ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
এই অরাজকতার অবসান ঘটান গোপাল, যিনি পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা হন।
-
পালবংশের রাজারা প্রায় চারশত বছর রাজত্ব করেন।
-
এই যুগে বাংলা একটি স্থিতিশীল ও ঐশ্বর্যশালী রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
-
গোপালের পর তাঁর পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন।
-
দেবপালের পরে পাল সাম্রাজ্য কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়ে, কিন্তু প্রথম মহীপালের রাজত্বকালে পালবংশের গৌরব পুনরায় ফিরে আসে।
-
দ্বিতীয় মহীপাল ও রামপালের রাজত্বকালে বরেন্দ্র অঞ্চলে কৈবর্ত বিদ্রোহ সংঘটিত হয়। রামপাল এই বিদ্রোহ দমন করে বরেন্দ্র অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেন এবং তিনি পালবংশের শেষ মুকুটমণি হন।
-
অবশেষে সেনবংশের উত্থানের মাধ্যমে পাল শাসনের অবসান ঘটে।
উল্লেখযোগ্য:
-
পাল রাজারা বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী ছিলেন।
-
পালযুগে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বত, জাভা, সুমাত্রা ও মালয়েশিয়াতে প্রসার লাভ করে।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের পথে প্রধান অন্তরায় কোনটি?
Created: 1 month ago
A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি সুশাসনের পরিপন্থী, কারণ এগুলো মেধা ও যোগ্যতার পরিবর্তে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকে উৎসাহিত করে। এর ফলে সমতা, ন্যায়পরায়ণতা ও স্বচ্ছতার নীতি লঙ্ঘিত হয়।
সুশাসন:
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা।
-
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথভাবে শাসন বা ভালোভাবে শাসন।
-
সুশাসনের পূর্বশর্ত হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা।
-
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ব্যতীত দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
-
অংশগ্রহণ ও ই-গভর্ন্যান্স সুশাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও স্বেচ্ছাচারিতা সুশাসনের অন্তরায়।
-
বাংলাদেশে উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্যতম বড় অন্তরায় হলো দুর্নীতি।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীকে নিম্নের কোনটি নেই?
Created: 1 month ago
A
তারকা
B
পান পাতা
C
শাপলা
D
ধানের শীষ
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক
-
গঠন ও উপাদান:
-
বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক গ্রহণ করা হয় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরপরই।
-
প্রতীকটি হলো ভাসমান জাতীয় ফুল শাপলা, যার দুই পাশে ধানের শীষ ও পাটপাতা রয়েছে।
-
চারটি তারকা প্রতীকের ওপর স্থাপন করা আছে।
-
পানি, ধান ও পাট বাংলাদেশের প্রকৃতি ও অর্থনীতির সঙ্গে সংযুক্ত।
-
ভাসমান শাপলা সৌন্দর্য, সুরুচি ও অঙ্গীকারের প্রতীক।
-
চারটি তারকা জাতীয় চারটি মূলনীতি: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা নির্দেশ করে।
-
-
ডিজাইনার ও ইতিহাস:
-
জাতীয় প্রতীকের ডিজাইন করেন পটুয়া কামরুল হাসান।
-
শাপলা এঁকেছেন মোহাম্মদ ইদ্রিস, ধানের শীষ ও পাটপাতা ও চারটি তারকা যুক্ত করেছেন শামসুল আলম।
-
এটি অনুমোদিত হয় ১৯৭২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি।
-
সংবিধানের প্রথম ভাগ, অনুচ্ছেদ ৪(৩)-এ প্রতীক সম্পর্কে বর্ণনা আছে।
-
-
ব্যবহার:
-
এই প্রতীক সাধারণ জনগণ ব্যবহার করতে পারে না।
-
কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার ব্যবহারের অনুমতি রাখেন।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) জাতীয় তথ্য বাতায়ন
0
Updated: 1 month ago