কোনটি জসীম উদ্দীন রচিত নাটক?
A
মধুমালা
B
সুচয়নী
C
মাটির কান্না
D
ধানক্ষেত
উত্তরের বিবরণ
জসীম উদ্দীন রচিত নাটক
-
মধুমালা
জসীম উদ্দীন
-
জন্ম: ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রাম, মাতুলালয়।
-
কলেজ জীবনে কবর কবিতা রচনা করে বিপুল খ্যাতি অর্জন।
-
১৯৩৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে লেকচারার পদে যোগদান।
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
রাখালী
-
নক্সীকাঁথার মাঠ
-
সুচয়নী
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
এক পয়সার বাঁশি
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
রূপবতী
-
মা যে জননী কান্দে
-
মাটির কান্না
উৎস
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কত সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
Created: 2 months ago
A
১৯১৭ সালে
B
১৯০৭ সালে
C
১৯১৬ সালে
D
১৯০৫ সালে
চর্যাপদ
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিক নিদর্শন।
-
১৮৮২ সালে Sanskrit Buddhist Literature in Nepal গ্রন্থে রাজা রাজেন্দ্রলাল মিত্র নেপালের বৌদ্ধতান্ত্রিক সাহিত্যের কথা প্রথম প্রকাশ করেন।
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের কতকগুলো পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ ১৯১৬ সালে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ) চারটি পুঁথি একত্রে ‘হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশ করে।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 2 months ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের আবিষ্কারক কে?
Created: 1 month ago
A
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
B
বসন্তরঞ্জন রায়বিদ্বদ্বল্লভ
C
দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়
D
দীনেশচন্দ্র সেন
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈষ্ণব কাব্য। এর রচয়িতা ছিলেন বড়ু চণ্ডীদাস। রচনাকাল সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও এটি প্রাকচৈতন্য যুগের, অর্থাৎ খ্রিস্টীয় ১৪শ শতকের কাব্য হিসেবে বিবেচিত। ১৩১৬ বঙ্গাব্দে (খ্রিস্টাব্দ ১৯০৯) বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার বনবিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা গ্রামের অধিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এর নিকট থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন। এটি মধ্যযুগের বাংলা ভাষায় রচিত কোনো লেখকের প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ।
-
খণ্ড সংখ্যা: ১৩
-
পদ সংখ্যা: ৪১৮
এই কাব্যের প্রধান চরিত্র:
-
রাধা
-
কৃষ্ণ
-
বড়ায়ি
0
Updated: 1 month ago
নওয়াব ফয়জুন্নেসার রচিত ‘রূপজালাল’ গ্রন্থটি কী ধরনের রচনা?
Created: 2 weeks ago
A
নাটক
B
ঐতিহাসিক উপন্যাস
C
আত্মজীবনীমূলক রচনা
D
কাব্যগ্রন্থ
বাংলা সমাজে নারীশিক্ষা ও সমাজকল্যাণে অসাধারণ ভূমিকা রেখে গেছেন নওয়াব ফয়জুন্নেসা। তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম নারী যিনি ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত হন। সাহিত্য, সমাজসেবা ও নারীজাগরণে তাঁর অবদান উনবিংশ শতাব্দীর বাংলা সমাজে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছিলেন একজন জমিদার, নারীশিক্ষার প্রবর্তক, সমাজসেবক ও কবি।
-
তিনি ১৮৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার পশ্চিমগাঁও গ্রামে এক জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
-
জমিদারি লাভের আগেই তিনি সমাজকল্যাণ ও দরিদ্রজনের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
-
তাঁর জনহিতৈষণার স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৮৯ সালে মহারানী ভিক্টোরিয়া তাঁকে ‘নওয়াব’ উপাধিতে ভূষিত করেন, যা কোনো বাংলা নারীর জন্য প্রথম ঘটনা।
-
‘বান্ধব’, ‘ঢাকা প্রকাশ’, ‘মুসলমান বন্ধু’, ‘সুধাকর’ ও ‘ইসলাম প্রচারক’ প্রভৃতি বাংলা পত্রিকা তাঁর আর্থিক সহায়তা পেত।
-
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যিক নারী, যার রচনা সমাজবাস্তবতা ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।
-
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘রূপজালাল’ (১৮৭৬) — গদ্য ও পদ্য মিলিত একটি রূপকধর্মী আত্মজীবনীমূলক কাব্য, যেখানে তিনি তাঁর বিড়ম্বিত দাম্পত্য জীবনের করুণ কাহিনি তুলে ধরেছেন।
-
এছাড়া তাঁর রচিত দুটি কাব্যগ্রন্থ হলো ‘সঙ্গীতসার’ ও ‘সঙ্গীতলহরী’।
-
তিনি ১৯০৩ সালে স্বগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন এবং পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত হন।
-
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৪ সালে তাঁকে (মরণোত্তর) একুশে পদক প্রদান করা হয়।
0
Updated: 2 weeks ago