কোনটি জসীম উদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ?
A
নক্সী কাঁথার মাঠ
B
সোজন বাদিয়ার ঘাট
C
রাখালী
D
বালুচর
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 1 month ago
'দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই।
রাতি ভইলে কামরু জাই।' - পদটি রচনা করেন কে?
Created: 1 month ago
A
বীণাপা
B
কুক্কুরীপা
C
ঢেণ্ডণপা
D
ভুসুকুপা
কুক্কুরীপা চর্যাপদের অন্যতম কবি, যিনি ধারণা অনুযায়ী খ্রিষ্টীয় অষ্টম শতকে বর্তমান ছিলেন এবং সম্ভবত তিব্বতের নিকটবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দা ছিলেন। তিনি চর্যাপদের ২, ২০ ও ৪৮ নং পদের রচয়িতা, যদিও ৪৮ নং পদটি এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি।
কুক্কুরীপা রচিত একটি উল্লেখযোগ্য পঙক্তি:
“দিবসহি বহূড়ী কাউহি ডর ভাই।
রাতি ভইলে কামরু জাই।”
0
Updated: 1 month ago
হুমায়ূন আহমেদের “অনিল বাগচীর একদিন” কিসের পটভূমিতে রচিত?
Created: 1 month ago
A
মুক্তিযুদ্ধ
B
সামাজিক সমস্যা
C
গ্রামীণ জীবন
D
সায়েন্স ফিকশন
হুমায়ূন আহমেদ এবং “অনিল বাগচীর একদিন”
-
কবিতা/উপন্যাসের পটভূমি: মুক্তিযুদ্ধ
-
লেখক: হুমায়ূন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২)
-
জন্মস্থান: নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ, মাতামহের বাড়ি
-
পেশা ও অবদান: কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা, গীতিকার, শিক্ষক
-
প্রাথমিক সাহিত্যকর্ম: ‘নন্দিত নরকে’ (১৯৭২), নাতিদীর্ঘ উপন্যাস যা পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগায়
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
আগুনের পরশমণি
-
অনিল বাগচীর একদিন
উপন্যাসসমূহ:
-
নন্দিত নরকে
-
শঙ্খনীল কারাগার
-
আগুনের পরশমণি
-
কে কথা কয়
-
জোছনা ও জননীর গল্প
-
বিশেষত্ব: “অনিল বাগচীর একদিন” উপন্যাসে মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিতে সাধারণ মানুষের জীবন, সংগ্রাম ও মানসিক প্রতিকূলতার চিত্রায়ন করা হয়েছে।
0
Updated: 1 month ago
'চর্যাগীতিকোষবৃত্তি' নামে মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী
B
রাজেন্দ্রলাল মিত্র
C
কীর্তিচন্দ্র
D
বিজয়চন্দ্র মজুমদার
চর্যাপদ ও প্রাচীন বাংলার পদসংগ্রহ
-
মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে তৃতীয় নেপাল সফরে নেপালের রাজগ্রন্থাগার থেকে প্রাচীন কিছু সাহিত্য পদ আবিষ্কার করেন।
-
তাঁর সম্পাদনায় এগুলো বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে ১৯১৬ সালে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়:
-
চর্যাচর্যবিনিশ্চয়
-
সরহপাদ ও কৃষ্ণপাদের দোহা
-
ডাকার্ণব-এর চারটি পুঁথি
-
গ্রন্থের নাম: ‘হাজার বছরের পুরাণ: বাংলা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’
-
-
এগুলোর মধ্যে একমাত্র চর্যাচর্যবিনিশ্চয়ই প্রাচীন বাংলায় লেখা, বাকিগুলো অপভ্রংশ ভাষায় রচিত।
ভাষাতাত্ত্বিক ও ধর্মমত বিশ্লেষণ
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় Origin and Development of the Bengali Language (ODBL) গ্রন্থে এসব পদসংগ্রহের ভাষাতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৭ সালে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ চর্যাপদের ধর্মমত সম্পর্কে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যার তিব্বতি অনুবাদ প্রকাশ করেন।
পদসংগ্রহের নাম সম্পর্কিত তথ্য
-
মুনিদত্তের সংস্কৃত টীকানুসারে পদসংগ্রহের নাম ছিল ‘আশ্চর্যচর্যাচয়’।
-
নেপালে প্রাপ্ত পুঁথিতে নাম দেওয়া হয়েছিল ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
-
ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী দুটি নাম মিলিয়ে ‘চর্যাশ্চর্যবিনিশ্চয়’ নামকরণ করেন।
-
কীর্তিচন্দ্র মুনিদত্তের টীকার তিব্বতি অনুবাদ ছিল ‘চর্যাগীতিকোষবৃত্তি’।
-
আধুনিক পণ্ডিতদের অনুমান: মূল সংকলনের নাম ছিল ‘চর্যাগীতিকোষ’, সংস্কৃত টীকার নাম ‘চর্যাচর্যবিনিশ্চয়’।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago