বাংলা সনেটের আদি গ্রন্থ কোনটি ?
A
বীরাঙ্গনা কাব্য
B
মেঘনাদবধ কাব্য
C
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
D
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
উত্তরের বিবরণ
‘চতুর্দশপদী কবিতাবলি’
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত ১০২টি সনেটের সংকলন।
-
মধুসূদনের আগে বাংলা সনেট বা সনেটগ্রন্থ রচিত হয়নি; সে বিচারে এটি বাংলা সনেটের আদি গ্রন্থ।
-
প্রকাশকাল: ১লা অগস্ট ১৮৬৬ (গ্রন্থাকারে)।
-
কবিতাগুলি প্রবাসে রচিত।
-
সনেটগুলির কয়েকটি পেত্রার্কের আদর্শে এবং অধিকাংশ শেক্সপিয়রীয় আদর্শে রচিত।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত কাব্য
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য (পত্রকাব্য)
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলি
উৎস
১) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
২) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
৩) বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্যের কবি ছিলেন-
Created: 1 month ago
A
বসন্তরঞ্জন রায়
B
বড়ু চণ্ডীদাস
C
কানাহরি দত্ত
D
জ্ঞানদাস
• 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য:
- বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন স্বীকৃত।
- ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি আবিষ্কার করেন।
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন আবিষ্কারের সময় গ্রন্থের প্রথম পৃষ্ঠায় এর কোনো নাম পাওয়া যায়নি। সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় এর নাম দেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভও বলা হয়।
- ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় পুথিটি 'শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
- পুথির প্রথম দুটি এবং শেষপৃষ্ঠা পাওয়া যায়নি বলে এর নাম ও কবির নাম স্পষ্ট করে জানা যায়নি।
- কবির ভণিতায় 'চণ্ডীদাস' এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে 'বড়ু চণ্ডীদাস' পাওয়া যাওয়ায় এই গ্রন্থের কবি হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাসকে গ্রহণ করা হয়।
- শ্রীকৃষ্ণকীর্তন গীতি-আলেখ্য। রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলা এর বিষয়বস্তু। মোট ১৩ খণ্ডে ৪১৮টি পদে এটি বিন্যস্ত।
এ কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র:
- কৃষ্ণ,
- রাধা,
- বড়ায়ি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, ড. মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 1 month ago
কোন গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নয়?
Created: 2 months ago
A
চতুষ্কোণ
B
মহুয়া
C
ক্ষণিকা
D
উৎসর্গ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১, কলকাতা (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ)
-
পিতা: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
-
পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর
-
পেশা: কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, সমাজ-সংস্কারক
-
অর্জন:
-
১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার (সাহিত্য)
-
১৯১৫ সালে ইংরেজদের ‘নাইট’ উপাধি পান; ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ফিরিয়ে দেন
-
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকোর নিজ বাড়িতে
কাব্যগ্রন্থ
-
রবীন্দ্রনাথের: উৎসর্গ, ক্ষণিকা, মহুয়া
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস: চতুষ্কোণ
0
Updated: 2 months ago
বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্বের গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সেক শুভোদয়া
B
শূণ্যপুরাণ
C
গীতগোবিন্দম্
D
কোনোটিই নয়
অন্ধকার যুগ বলতে বাংলা সাহিত্যে ১২০০ থেকে ১৩৫০ সাল পর্যন্ত প্রায় দেড়'শ বছরকে বোঝায়। কেউ কেউ এই সময়কালকে তামস যুগ বা অন্ধকার যুগ বলে অভিহিত করেছেন। যদিও এই সময়ের সাহিত্য নিদর্শন খুব সীমিত, তা সম্পূর্ণ অনুপস্থিত ছিল বলে ধারণা সত্য নয়।
-
অন্ধকার যুগে প্রাপ্ত কিছু সাহিত্য নিদর্শন:
-
শ্রীহর্ষ: প্রাকৃত পৈঙ্গল কাব্যের রচয়িতা
-
রামাই পণ্ডিত:
-
বৌদ্ধ ধর্মীয় তত্ত্বের গ্রন্থ শূণ্যপুরাণ
-
নিরঞ্জনের রুম্মা (শূণ্যপুরাণের অন্তর্গত কবিতা)
-
কলিমা জালাল
-
-
হলায়ুধ মিশ্র: সেক শুভোদয়া (পীর মাহাত্ম্য-ব্যঞ্জক কাব্য)
-
-
এ সময়ের পাশাপাশি আদি বৈষ্ণব পদাবলিও উদ্ভূত হয়, যেমন জয়দেব রচিত গীতগোবিন্দম্, যা রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা অবলম্বনে রচিত।
0
Updated: 1 month ago