বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপেরও প্রবর্তক কে?
A
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
B
জীবনানন্দ দাশ
C
বিষ্ণু দে
D
বুদ্ধদেব বসু
উত্তরের বিবরণ
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
-
কবি, প্রাবন্ধিক ও পত্রিকা সম্পাদক।
-
জন্ম: ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর, কলকাতার হাতীবাগান।
-
ত্রৈমাসিক পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে অমর হয়ে আছেন।
-
ত্রিশের দশকের রবীন্দ্রকাব্যধারার বিরোধী খ্যাতিমান কবিদের অন্যতম।
-
বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপের প্রবর্তক।
-
মৃত্যু: ১৯৬০ সালে, কলকাতা।
রচিত কাব্যগ্রন্থ
-
তন্বী
-
অর্কেষ্ট্রা
-
ক্রন্দসী
-
উত্তর ফাল্গুনী
-
সংবর্ত
-
প্রতিদিন
-
দশমী
উৎস
বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
মুসলমান নাট্যকার রচিত প্রথম নাটক হিসেবে নির্দেশ করা হয় কোন নাটক কে?
Created: 2 weeks ago
A
বসন্তকুমারী
B
পদ্মাবতী
C
অশ্রুমতী
D
মালতী-মাধব
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে মীর মশাররফ হোসেন একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি মুসলমান সমাজের প্রথম দিকের নাট্যকারদের অন্যতম, যিনি সামাজিক ও পারিবারিক বাস্তবতাকে নাটকের আঙ্গিকে উপস্থাপন করেন। তাঁর রচিত ‘বসন্তকুমারী’ নাটকটি বাংলা নাট্যজগতে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে।
মূল তথ্যসমূহ:
-
‘বসন্তকুমারী’ নাটকটি রচনা করেন মীর মশাররফ হোসেন।
-
নাটকটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ সালে।
-
এটি মুসলমান নাট্যকার রচিত প্রথম বাংলা নাটক হিসেবে স্বীকৃত।
-
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’।
-
কাহিনিতে দেখা যায়—ইন্দ্রপুরের বিপত্নীক রাজা বৃদ্ধ বয়সে এক যুবতী স্ত্রী গ্রহণ করেন। পরে সেই যুবতী বিমাতা রাজপুত্রের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রেম নিবেদন করেন। রাজপুত্র তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে বিমাতা ষড়যন্ত্র করে রাজপরিবারকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়, যার ফলে পরিণতিতে সবাই মৃত্যুবরণ করে।
-
এই নাটকে প্রেম, নৈতিকতা ও সামাজিক বিপর্যয়—এই তিনটি দিক গভীরভাবে চিত্রিত হয়েছে।
-
মীর মশাররফ হোসেনের দ্বিতীয় নাটক ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩) সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী সাহিত্য হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে:
-
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন নাটক ‘অশ্রুমতী’ এবং অনুবাদ নাটক ‘মালতী-মাধব’।
-
মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেন নাটক ‘পদ্মাবতী’।
0
Updated: 2 weeks ago
ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতার নব্যধারার আন্দোলনের প্রধান পাঁচজন কবির অন্যতম ছিলেন -
Created: 2 months ago
A
নবীনচন্দ্র সেন
B
বিষ্ণু দে
C
অদ্বৈত মল্লবর্মণ
D
অতুলপ্রসাদ সেন
বিষ্ণু দে
-
জন্ম: ১৯০৯, ১৮ জুলাই, পটলডাঙ্গা, কলকাতা
-
মৃত্যু: ১৯৮২, ৩ ডিসেম্বর, কলকাতা
-
পেশা ও পরিচিতি: কবি, প্রাবন্ধিক, চিত্রসমালোচক, শিল্পানুরাগী
-
সাহিত্যিক প্রভাব:
-
ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতার নব্যধারার প্রধান পাঁচজন কবির মধ্যে একজন
-
মার্কসবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ
-
কবিতায় টি.এস. এলিয়টের প্রভাব প্রতিফলিত
-
-
সম্পাদনা ও প্রকাশনা:
-
‘পরিচয়’ পত্রিকা (১৯৩১–১৯৪৭)
-
‘সাহিত্যপত্র’ (১৯৪৮)
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ
-
উর্বশী ও আর্টেমিস
-
চোরাবালি
-
স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ
-
সাত ভাই চম্পা
-
সেই অন্ধকার চাই
-
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
-
রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশ
উৎস:
১) বাংলাপিডিয়া
২) বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
'কাশবনের কন্যা' উপন্যাসে বিশেষভাবে কোন অঞ্চলের গ্রামীণ জীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে?
Created: 1 month ago
A
সিলেট
B
ময়মনসিংহ
C
বরিশাল
D
চট্টগ্রাম
• 'কাশবনের কন্যা' উপন্যাস সম্পর্কিত আলোচনা:
- শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত উপন্যাস 'কাশবনের কন্যা'। উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৪ সালে।
- শামসুদ্দীন আবুল কালামের 'কাশবনের কন্যা' উপন্যাসে গ্রামকে এমনভাবে তুলে আনা হয়েছে যে, দুঃখ দারিদ্রতা থাকলেও গ্রামেই সুখের স্বর্গ, সমস্ত বিশ্বাসের আধার।
- উপন্যাসে বরিশাল অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি, লোকজীবন, গ্রামীণ দিগন্ত চিত্রায়িত হয়েছে।
উপন্যাসের চরিত্রগুলো হলো:
- সিকদার,
- হোসেন,
- জোবেদা,
- মেহেরজান ইত্যাদি।
শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত উপন্যাস:
- আলমনগরের উপকথা,
- কাশবনের কন্যা,
- কাঞ্চনমালা,
- জায়মঙ্গল ইত্যাদি।
0
Updated: 1 month ago