বাংলাদেশে কবে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয়?
A
১৯৮২ সালে
B
১৯৮৩ সালে
C
১৯৮৪ সালে
D
১৯৮৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
জাতীয় ঔষধনীতি
-
প্রাথমিক প্রণয়ন:
-
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয় ১৯৮২ সালে।
-
নীতি গ্রহণের ফলে ওষুধের নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত হয়, দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, আমদানি নির্ভরতা কমে এবং দেশীয় ঔষধ শিল্পে স্বনির্ভরতা আসে।
-
নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয় এবং বাংলাদেশ ঔষধ সেক্টরের ভাবমূর্তি উন্নত হয়।
-
-
সর্বশেষ সংস্কার:
-
২০১৬ সালে জাতীয় ঔষধনীতি সংস্কার করা হয়।
-
সংবিধানের ১৫(ক), ১৫(ঘ) ও ১৮(১) ধারার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকার জনগণকে নিশ্চয়তা দেয়।
-
এক সময় যেখানে প্রায় ৮০% ঔষধ আমদানি করা হত, বর্তমানে ৯৭% ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।
-
দেশীয় মানসম্মত ঔষধ ১১৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
-
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন।
-
-
জাতীয় ঔষধনীতির লক্ষ্যসমূহ:
১. জনগণকে নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন ঔষধ সহজলভ্য মূল্যে নিশ্চিত করা।
২. ঔষধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার এবং সুষ্ঠু বিতরণ (Dispensing) ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. দেশীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়।
৪. দেশের উৎপাদিত ঔষধের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
৫. ঔষধের কার্যকর নজরদারি (Surveillance) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: জাতীয় ঔষধনীতি-২০১৬
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল নয়?
Created: 1 month ago
A
তুলা
B
আখ
C
পাট
D
ভুট্টা
ভুট্টা হলো দানাদার ফসল, যা ধান ও গমের তুলনায় পুষ্টিগুণে অনেক বেশি। এতে প্রায় ১১% প্রোটিনজাতীয় উপাদান থাকে এবং প্রোটিনে প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, ট্রিপটোফ্যান ও লাইসিন প্রচুর পরিমাণে রয়েছে।
-
অর্থকরী ফসল: তুলা, পান, পাট, আখ, চা।
-
আঁশ ফসলের জন্য ব্যবহৃত পাটের ধরন: দেশী পাট, তোষা পাট, কেনাফ, মেস্তা পাট।
0
Updated: 4 weeks ago
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
ধর্মপাল
B
দেবপাল
C
গোপাল
D
মহীপাল
বাংলায় ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত অরাজক পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে জনগণ গোপালকে রাজা হিসেবে নির্বাচিত করে।
পাল বংশ:
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করছিল।
-
বাংলার ইতিহাসে এই সময়কালকে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে খ্যাত।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ একটি সংস্কৃত শব্দ, যার অর্থ অরাজক পরিস্থিতি।
-
অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটিয়ে বাংলায় পাল বংশের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে লর্ড ডালহৌসি কোন রাজ্যটি অধিকার করেন?
Created: 1 month ago
A
অযোধ্যা
B
পাঞ্জাব
C
হায়দ্রাবাদ
D
নাগপুর
স্বত্ববিলোপ নীতি ছিল একটি সাম্রাজ্যবাদী নীতি, যার মূল কথা হলো: ব্রিটিশ শাসনাধীন কোনো আশ্রিত রাজ্যের রাজা যদি অপুত্রক অবস্থায় মারা যান এবং তার রাজবংশে কোনো উত্তরাধিকার না থাকে, তাহলে সেই রাজ্য সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হবে। এই নীতির মাধ্যমে সাঁতারা, নাগপুর, ঝাঁসি ও সম্বলপুর রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম সাঁতারা রাজ্যের উপর এই নীতি প্রয়োগ করেন। সাঁতারার রাজা ইংরেজদের অনুমতি ছাড়াই দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৮ সালে রাজা মারা গেলে ডালহৌসি দত্তক পুত্রের দাবি অগ্রাহ্য করে সাঁতারা রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
সম্বলপুর রাজ্যও অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যুর পর ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
-
১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ভোঁসলে বংশের শেষ রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে, নাগপুর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। এটি ইংরেজদের জন্য কলকাতা থেকে বোম্বাই (মুম্বাই) যাতায়াতের পথ সরল করতে সহায়ক হয়।
-
একই বছরের মধ্যে ঝাঁসির রাজা মৃত্যুর পর দত্তক পুত্রের দাবি অস্বীকার করে ডালহৌসি ঝাঁসীকেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
এভাবে শতদ্রু নদীর নিকট ভগৎ রাজ্য, মধ্যপ্রদেশে উদয়পুর, রাজস্থানে করৌলি প্রভৃতি রাজ্যও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago