A
১৯৮১ সালে
B
১৯৮২ সালে
C
১৯৮৩ সালে
D
১৯৮৪ সালে
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে সামরিক আইন জারি
-
পটভূমি:
-
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহতের পর, উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
-
-
সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখল:
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ, নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি সাত্তার পদে আসার মাত্র চার মাসের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এরশাদ নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করে।
-
রাষ্ট্রপতি সাত্তার অপসারিত হন।
-
এরশাদ নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
-
সামরিক আইন কার্যক্রম:
-
সংবিধান স্থগিত, জাতীয় সংসদ বাতিল, এবং মন্ত্রিপরিষদ ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
-
সামরিক সরকার দেশে সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
-
-
পরিণতি:
-
টানা ৯ বছর আন্দোলনের পর, বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠা সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের আন্দোলনের কারণে এরশাদ পতিত হন।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তিনি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
-
উৎস:
i) ইতিহাস ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
ii) বিবিসি বাংলা

0
Updated: 18 hours ago
তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠা করেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
অধ্যাপক আবদুল মতিন
B
অধ্যাপক আবুল কাসেম
C
অধ্যাপক আবদুস সালাম
D
অধ্যাপক কামরুদ্দিন মতিন
ভাষা আন্দোলন
-
১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
একই বছর, ১৫ সেপ্টেম্বর, সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রকাশিত পুস্তিকার নাম ছিল: ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’।
-
তমদ্দুন মজলিশ ছাত্র ও শিক্ষক মহলে বাংলাভাষার গুরুত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।
-
১৯৪৭ সালের মধ্যেই বহু লেখক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন জানান।
-
পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলাকে বাদ দেওয়া হয়।
-
গণপরিষদের সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হওয়ায় বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
আইনের প্রাচীনতম উৎস কোনটি?
Created: 2 days ago
A
ধর্ম
B
আইনসভা
C
প্রথা
D
বিচারকের রায়
-
রাষ্ট্র ও আইনসভা প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই সমাজে প্রথা বিদ্যমান ছিল। মানুষের আচার-আচরণ ও রীতিনীতি দীর্ঘদিন ধরে পালিত হতে হতে প্রথাভিত্তিক আইনে পরিণত হয়। তাই প্রথাই আইনের প্রাচীনতম উৎস।
আইন:
-
ফার্সি ভাষায় "আইন" শব্দের অর্থ সুনির্দিষ্ট নীতি বা নিয়ম।
-
সমাজ জীবনে প্রচলিত বিধি-বিধানকেই আইন বলা হয়।
-
মানবজাতির বৃহত্তর কল্যাণে মানুষের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র যে বিধিনিষেধ প্রণয়ন করে, সাধারণভাবে সেগুলোকেই আইন বলা হয়।
-
আইন বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
-
আইনের উৎসসমূহ হলো: প্রথা বা রীতিনীতি, ধর্ম, বিচারকের রায়, ন্যায়বিচার, বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও আইনসভা।
-
আইনের অন্যতম প্রাচীন উৎস হলো প্রথা।
-
প্রাচীনকাল থেকে সমাজে অধিকাংশ মানুষের দ্বারা সমর্থিত, স্বীকৃত ও পালিত আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি ও অভ্যাসকেই প্রথা বলা হয়।
-
প্রাচীনকালে কোনো লিখিত আইনের অস্তিত্ব ছিল না।
-
তখন মানুষের আচরণ প্রথা, অভ্যাস ও রীতি-নীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো।
-
কালক্রমে অনেক প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে আইনের মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: পৌরনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 days ago
কোন দার্শনিকদের মতে মানুষ শুধুমাত্র 'শাস্তির ভয়ে' আইন মেনে চলে?
Created: 2 days ago
A
লক, রুশো ও গ্রীন
B
প্লেটো, অ্যারিস্টটল ও মন্টেস্কু
C
হবস, বেন্থাম ও অস্টিন
D
মার্ক্স, এঙ্গেলস ও লেনিন
-
হবস, বেন্থাম এবং অস্টিন মনে করতেন যে, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের আরোপিত শাস্তির ভয়ই হলো আইন মেনে চলার প্রধান প্রেরণা। তারা আইনের নৈতিক বা যৌক্তিক দিকের চেয়ে এর শাস্তিমূলক বৈশিষ্ট্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
আইন মান্য করার কারণ:
-
আইন শাসন নিশ্চিত করতে আইন মেনে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রত্যেক আইনেই কিছু নির্দেশনা থাকে এবং তা অমান্য করলে শাস্তির ব্যবস্থা থাকে।
-
আইন মান্য করার বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হলো আইন কার্যকর ও উপযোগী হওয়া।
লর্ড ব্রাইস আইন মান্য করার কারণগুলোকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করেছেন:
১. যৌক্তিকতার উপলব্ধি
২. অপরের প্রতি শ্রদ্ধা
৩. নির্লিপ্ততা
৪. সহানুভূতি
৫. শাস্তির ভয়
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র, এইচ এস সি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 days ago