পিআর নির্বাচন পদ্ধতিতে আসন বণ্টন কিসের ভিত্তিতে হয়?
A
এলাকার জনসংখ্যার ভিত্তিতে
B
রাজনৈতিক দলের বয়সের ভিত্তিতে
C
সর্বাধিক ভোট পাওয়া প্রার্থীর ভিত্তিতে
D
প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে
উত্তরের বিবরণ
পিআর (Proportional Representation) নির্বাচন পদ্ধতি
-
সংজ্ঞা:
-
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR) এমন একটি নির্বাচন পদ্ধতি যেখানে আসন বণ্টন হয় প্রতিটি দলের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে।
-
এতে প্রতিটি ভোট কাজে লাগে এবং সংসদে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, কোনো দল যদি ১০% ভোট পায়, তাদের আসনও হবে প্রায় ১০% হারে।
-
-
প্রক্রিয়া:
-
ভোটের আগে প্রতিটি দল ক্রম ভিত্তিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে।
-
প্রাপ্ত ভোটের হার অনুযায়ী সংসদে আসন বণ্টন হয়।
-
-
ধরণসমূহ:
১. মুক্ত তালিকা পদ্ধতি: ভোটের ভিত্তিতে তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে থেকে আসন বরাদ্দ।
২. বদ্ধ তালিকা পদ্ধতি: দল নির্ধারণ করে কে হবেন সংসদ সদস্য।
৩. মিশ্র পদ্ধতি: কিছু আসন প্রতীকভিত্তিক, কিছু পিআর ভিত্তিক। -
বাংলাদেশে প্রেক্ষাপট:
-
দেশে বর্তমান সংসদীয় নির্বাচন ব্যবস্থায় ৩০০টি আসনে আলাদা প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন হয়।
-
‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’ (FPTP) পদ্ধতিতে যে দল বেশি আসনে জয় পায়, তারা সরকার গঠন করে, ভোটের মোট শতাংশ নয়।
-
উৎস: BBC
0
Updated: 1 month ago
স্বাধীন বঙ্গ রাজ্যের পতন ঘটে কীভাবে?
Created: 1 month ago
A
বিজয় সেনের হাতে
B
সম্রাট অশোকের হাতে
C
মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের হাতে
D
চালুক্য বংশের রাজা কীর্তিবর্মণের হাতে
গুপ্ত সাম্রাজ্যের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে সমগ্র দক্ষিণ ও পূর্ব বঙ্গে একটি স্বাধীন রাজ্যের উত্থান ঘটে, যাকে ঐতিহাসিকরা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এই রাজ্যের রাজারা তামার পাতে খোদাই করা রাজ নির্দেশ জারি করতেন, যেগুলোকে তাম্রশাসন বলা হতো। এখন পর্যন্ত মোট ৭টি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে, যা প্রমাণ করে যে গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচার দেব নামে তিনজন রাজা স্বাধীন বঙ্গরাজ্য শাসন করেছেন। তারা ৫২৫-৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেছেন এবং ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ধারণ করতেন, যা তাদের সার্বভৌম ক্ষমতার পরিচয় বহন করে।
-
স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের রাজারা তাম্রশাসন জারি করতেন।
-
গোপচন্দ্র, ধর্মাদিত্য ও সমাচার দেব এই রাজ্য শাসন করেছিলেন।
-
৫২৫-৬০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে তারা মোট ৭৫ বছর রাজত্ব করেছেন।
-
তাদের ‘মহাধিরাজ’ উপাধি ছিল, যা সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতীক।
-
ধারণা করা হয়, দক্ষিণ ভারতের চালুক্য বংশের রাজা কীর্তি বর্মণের হাতে স্বাধীন বঙ্গরাজ্যের পতন ঘটে।
-
অন্য মত অনুযায়ী, স্বাধীন গৌড় রাজ্যের উত্থান বঙ্গরাজ্যের পতনের কারণ হয়।
-
কিছু ইতিহাসবিদের মতে, সপ্তম শতকের পূর্বে দক্ষিণ বাংলার সমতট রাজ্যে ভদ্র, খড়গ, রাঢ় প্রভৃতি স্বাধীন সামন্ত রাজার উত্থানও বঙ্গরাজ্যের পতনের পেছনে দায়ী।
-
সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে গৌড়ের রাজা শশাঙ্কের নেতৃত্বে বাংলার পুন্ড্রবর্ধন, গৌড় ও বঙ্গ একত্রিত হয়ে একটি বিশাল গৌড় রাজ্য স্থাপিত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন- ২০২৫ অনুসারে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা কত? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
১৬ কোটি ৫৭ লাখ
B
১৭ কোটি ৫৭ লাখ
C
১৭ কোটি ৮৭ লাখ
D
১৮ কোটি ৫৭ লাখ
বিশ্ব জনসংখ্যা প্রতিবেদন – ২০২৫
প্রতিবেদনের শিরোনাম: The pursuit of reproductive agency in a changing world
প্রকাশকাল: জুন ২০২৫
প্রকাশক: জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA)
প্রতিবেদনের মূল তথ্যসমূহ:
-
বাংলাদেশের জনসংখ্যা: ১৭ কোটি ৫৭ লাখ (বিশ্বে ৮ম)
-
প্রজনন হার: ২.১
-
গড় আয়ু: পুরুষ – ৭৪ বছর, নারী – ৭৭ বছর
0
Updated: 1 month ago
পালপূর্ব যুগে বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কী নামে পরিচিত ছিল?
Created: 1 month ago
A
কৈবর্ত বিদ্রোহ
B
মাৎস্যন্যায়
C
বর্গী হানা
D
শতবর্ষের যুদ্ধ
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর পালপূর্ব যুগে বাংলায় অরাজক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেখানে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে এবং শক্তিশালীরা দুর্বলদের উপর অত্যাচার চালাত। এই অবস্থাকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়।
পাল বংশ:
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করত, যা বাংলার ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল, একজন উচ্চবর্গীয় ব্যক্তি।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ শব্দটির অর্থ হলো অরাজক পরিস্থিতি।
-
পাল বংশের শাসনের মাধ্যমে বাংলায় অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটে।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago