‘মোহামেডান লিটারারি সোসাইটি' কে প্রতিষ্ঠা করেন?
A
নওয়াব আবদুল লতিফ
B
সৈয়দ আমির আলী
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
রামমোহন রায়
উত্তরের বিবরণ
নওয়াব আবদুল লতিফ
-
জীবন ও পটভূমি:
-
জন্ম: ১৮২৮, ফরিদপুর জেলার রাজাপুর গ্রাম, সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।
-
১৮৬০ সালে নীল কমিশন গঠনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
-
মৃত্যু: ১৮৯৩ সালের ১০ জুলাই।
-
-
শিক্ষা ও সরকারি চাকরি:
-
১৮৪৯ সালে ‘ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট’ পদে যোগ দেন।
-
১৮৭৭ সালে ‘প্রেসিডেন্সী ম্যাজিস্ট্রেট’ হিসেবে পদোন্নতি পান।
-
১৮৮৪ সালে সরকারি চাকরি থেকে বিশেষ পেনশনসহ অবসর নেন।
-
-
অফিস ও স্বীকৃতি:
-
১৮৬২ সালে বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য মনোনীত হন; মুসলমানদের মধ্যে প্রথম।
-
ইংরেজদের প্রতি আনুগত্য এবং মুসলিম সমাজের প্রতি অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন:
-
১৮৭৭: ‘খান বাহাদুর’
-
১৮৮০: ‘নওয়াব’
-
১৮৮৩: C.I.E.
-
১৮৮৭: ‘নওয়াব বাহাদুর’
-
-
-
সামাজিক ও শিক্ষাজাগরণমূলক অবদান:
-
১৮৬৩ সালে কলকাতায় ‘মোহামেডান লিটারারি সোসাইটি’ বা ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
উদ্দেশ্য: মুসলমানদের মধ্যে আধুনিক শিক্ষার বিষয়ে জনমত তৈরি ও পরিবর্তিত পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন করা।
-
এটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না হলেও, মুসলমানদের ন্যায্য দাবি ও আশা-আকাঙ্ক্ষা সরকারের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা হতো।
-
এর ফলে মুসলিম সমাজে শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণী গড়ে ওঠে।
-
নওয়াব আবদুল লতিফ মুসলমানদের জাগরণের অন্যতম স্থপতি হিসেবে পরিচিত।
-
উৎস: ইতিহাস, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে ন্যূনতম কত বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?
Created: 1 month ago
A
৮ বছর
B
১০ বছর
C
৯ বছর
D
১২ বছর
সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত, যা দেশের বিচার ব্যবস্থা পরিচালনার শীর্ষ সংস্থা হিসেবে কাজ করে।
-
সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ আছে— আপিল বিভাগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ।
-
সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি থাকেন, যাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বলা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতিকে নিযুক্ত করেন এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়োজন, ততজন বিচারক নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত হয়।
-
প্রধান বিচারপতির পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের অন্যান্য বিচারক নিযুক্ত করেন।
-
প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারক বিচার কার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন।
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
-
এছাড়া, বিচারক হিসেবে যোগ্যতার জন্য প্রয়োজন—
-
বাংলাদেশের আদালতে কমপক্ষে ১০ বছর অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা, অথবা
-
বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা।
-
-
সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাদের পদে কর্মরত থাকতে পারেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ সংবিধানের প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল বিষয়টি কত নং অনুচ্ছেদে সন্নিবেশ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১১১ নং
B
১১৩ নং
C
১১৭ নং
D
১১৯ নং
প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ষষ্ঠ ভাগের তৃতীয় পরিচ্ছেদে ১১৭ নং অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের বিষয়বস্তু উল্লেখ রয়েছে।
১১৭ (১) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনাল গঠনের উদ্দেশ্য:
সংসদ আইনের মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা যেতে পারে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে:
-
সরকারি চাকরির শর্ত ও শাস্তি: সংবিধানের নবম ভাগে বর্ণিত বিষয় এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ব্যক্তিদের চাকরির শর্ত, যেমন জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি।
-
রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ বা সরকারি কর্তৃপক্ষ: এ ধরনের উদ্যোগ বা কর্তৃপক্ষের পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, চাকরি বিষয়ক বিষয় এবং সরকারের মালিকানাধীন বা পরিচালিত সম্পত্তির ক্রয়, প্রশাসন, ব্যবস্থাপনা ও বণ্টন।
-
আইনের বিষয়: সংবিধানের ১০২(৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখিত কোনো আইনের বিষয়।
১১৭ (২) অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের ক্ষমতা:
-
যদি কোনো প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়, তবে তার এখতিয়ারের আওতাভুক্ত বিষয়ে অন্য কোনো আদালত মামলা গ্রহণ বা আদেশ দিতে পারবে না।
-
তবে সংসদ আইনের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা বা আপিলের ব্যবস্থা করতে পারে।
উল্লেখযোগ্য:
-
ষষ্ঠ ভাগে মোট ৩টি পরিচ্ছদ রয়েছে:
-
১ম পরিচ্ছদ: সুপ্রীম কোর্ট (অনুচ্ছেদ ৯৪–১১৩)
-
২য় পরিচ্ছদ: অধস্তন আদালত (অনুচ্ছেদ ১১৪–১১৬)
-
৩য় পরিচ্ছদ: প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (অনুচ্ছেদ ১১৭)
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত কোনটি? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
পাট ও পাটজাত পণ্য
B
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য
C
হিমায়িত পণ্য
D
কৃষি পণ্য
বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত:
- রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুসারে, বাংলাদেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত হলো তৈরি পোশাক।
- এবং দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত হলো চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য।
⇒ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
- ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে মোট রপ্তানির মধ্যে তৈরি পোশাকের হিস্যা ৮৩ শতাংশ। এই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৩৯৬ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক।
- তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে ১২ কোটি ৭৪ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে।
- ৩য় শীর্ষ রপ্তানি খাত কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাসে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি ৯ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
উৎস: i) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
ii) প্রথম আলো।
0
Updated: 1 month ago