গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ [Representation of the People's Order (RPO)] প্রথম কত সালে প্রণয়ন করা হয়?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
RPO (Representation of People Order)
-
সংজ্ঞা ও গুরুত্ব:
-
RPO বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ হলো বাংলাদেশে নির্বাচন পরিচালনার মূল আইন।
-
স্বাধীনতা পরবর্তী সংবিধান প্রণয়নের পরে, প্রথমবারের মতো ১৯৭২ সালে RPO প্রণয়ন করা হয়, যা নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও বিধি নির্ধারণ করে।
-
-
ইতিহাস:
-
১৯৭২ সালের ২৬ ডিসেম্বর, সংসদ কার্যকর না থাকায় রাষ্ট্রপতি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ জারি করেন (রাষ্ট্রপতির ১৫৫ নম্বর আদেশ)।
-
১৯৭৩ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদ এই আদেশটি অনুমোদন করে।
-
পরে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদ RPO সংশোধন করেছে।
-
সমস্ত নির্বাচনের ভিত্তি হিসেবে RPO, ১৯৭২ ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
সর্বশেষ সংশোধন:
-
২০২৩ সালে সংসদে গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩ পাশ হয়।
-
-
প্রধান শর্তাবলী:
-
যে কোনো নিবন্ধিত দলের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ জেলা (২১ জেলা) এবং ১০০ উপজেলা অফিস থাকতে হবে।
-
অন্তত ১০০টি উপজেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকার থানায় অফিস, যেখানে প্রতিটিতে কমপক্ষে ২০০ জন ভোটার সদস্য হিসেবে থাকতে হবে।
-
কোনো দল যদি পরপর তিন বছর তথ্য সরবরাহে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার নিবন্ধন বাতিল হবে।
-
উৎস:
i) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওয়েবসাইট
ii) বিবিসি
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?
Created: 1 month ago
A
শিল্প মন্ত্রণালয়
B
অর্থ মন্ত্রণালয়
C
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
D
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনতা উত্তর ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময়ে এ মন্ত্রণালয়কে বিভিন্ন পর্যায়ে পুনর্গঠন করা হয়।
-
১৯৮১ খ্রিস্টাব্দে: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দুটি বিভাগে বিভক্ত করা হয় – বাণিজ্য বিভাগ এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগ
-
১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে: শিল্পের সঙ্গে একীভূত হয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে; এ সময় বাণিজ্য বিভাগ, শিল্প বিভাগ এবং পাট বিভাগ মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত হয়
-
১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে: পুনরায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপর অর্পিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিম্নলিখিত অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থা রয়েছে:
-
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো
-
বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন
-
আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর
-
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
-
যৌথমূলধন কোম্পানী
0
Updated: 4 weeks ago
সংবিধানের কোন ভাগে নির্বাচনের কথা উল্লেখ আছে?
Created: 1 month ago
A
চতুর্থ
B
অষ্টম
C
সপ্তম
D
নবম
বাংলাদেশের সংবিধানের ভাগসমূহ
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১১টি ভাগ রয়েছে। প্রতিটি ভাগের বিষয়বস্তু নিম্নরূপ:
-
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
-
ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
-
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
-
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
নবম-ক ভাগ: জরুরি বিধানাবলী
-
-
দশম ভাগ: সংবিধান সংশোধন
-
একাদশ ভাগ: বিবিধ
0
Updated: 3 days ago
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ড. কামাল হোসেন
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
তাজউদ্দিন আহমদ
D
আবু সাঈদ চৌধুরী
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য গঠিত ৩৪ সদস্যের কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন, যিনি তখন আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
-
হস্তলিখিত সংবিধানটির মূল লেখক ছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ।
-
সংবিধানের অঙ্গসজ্জা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
-
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’।
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন; বাংলা ও ইংরেজী লিপিতে স্বাক্ষর করা হয় ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।
0
Updated: 1 month ago