একটি চেকের বৈধতার মেয়াদ কত দিন?
A
৩ মাস
B
৬ মাস
C
১ বছর
D
২ বছর
উত্তরের বিবরণ
চেক (Cheque) ও চেক বুক
-
সংজ্ঞা:
-
চেক হলো বিশেষভাবে মুদ্রিত একটি কাগজপত্র, যা ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ইস্যু করা হয়।
-
এটি একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল।
-
ব্যবহার:
-
ব্যাংক সাধারণত গ্রাহককে চেক প্রদান করে।
-
গ্রাহক ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে চেক ইস্যু করতে পারেন।
-
চেকের বৈধতা:
-
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, চেকের বৈধতা ইস্যু করার তারিখ থেকে ৬ মাস (১৮০ দিন) পর্যন্ত।
-
বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা যাবে না।
-
প্রয়োজনে তারিখ পরিবর্তন ও প্রস্তুতকারকের স্বাক্ষরের মাধ্যমে পুনরায় টাকা উত্তোলন করা সম্ভব।
সংজ্ঞা:
-
চেক হলো বিশেষভাবে মুদ্রিত একটি কাগজপত্র, যা ব্যাংক কর্তৃক গ্রাহকের হিসাবের বিপরীতে ইস্যু করা হয়।
-
এটি একটি হস্তান্তরযোগ্য দলিল।
ব্যবহার:
-
ব্যাংক সাধারণত গ্রাহককে চেক প্রদান করে।
-
গ্রাহক ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক প্রয়োজনে চেক ইস্যু করতে পারেন।
চেকের বৈধতা:
-
বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী, চেকের বৈধতা ইস্যু করার তারিখ থেকে ৬ মাস (১৮০ দিন) পর্যন্ত।
-
বৈধতার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা যাবে না।
-
প্রয়োজনে তারিখ পরিবর্তন ও প্রস্তুতকারকের স্বাক্ষরের মাধ্যমে পুনরায় টাকা উত্তোলন করা সম্ভব।
উৎস:
i) জাতীয় তথ্য বাতায়ন
ii) ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
বাংলার কোন সুবাদার মগ দস্যুদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রাম জয় করেন?
Created: 1 month ago
A
ইব্রাহিম খান
B
কাসিম খান
C
শায়েস্তা খান
D
ইসলাম খান মাসহাদী
শায়েস্তা খান ছিলেন ইরানি বংশোদ্ভূত একজন প্রখ্যাত মোগল সুবাদার। তাঁর প্রকৃত নাম আবু তালিব, এবং মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে শায়েস্তা খান উপাধি প্রদান করেন। শায়েস্তা খান সম্রাট আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন।
-
১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার মীর জুমলার মৃত্যু এর পর ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গজেব তাঁকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
-
শায়েস্তা খান প্রথমবার বাংলায় আসার সময় ৬৩ বছর বয়সী ছিলেন এবং দুই দফায় মোট ২২ বছর বাংলায় শাসন করেন।
বিজয়াভিযান:
-
শায়েস্তা খানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিজয়াভিযান ছিল চট্টগ্রাম পুনর্দখল।
-
১৪৫৯ সালে আরাকান রাজ চট্টগ্রামকে বাংলার সুলতানদের নিকট থেকে দখল করেছিল। শায়েস্তা খান এই অঞ্চল পুনর্দখলের জন্য সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
তাঁর সেনাবাহিনী সন্দ্বীপ দখল করে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়। চট্টগ্রামের মগ-রাজা ও স্থানীয় পর্তুগিজদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে, এবং পর্তুগিজরা নোয়াখালিতে আশ্রয় নেয়।
-
শায়েস্তা খান ফিরিঙ্গী নেতাকে নিজের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
১৬৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, ফিরিঙ্গীদের ৪০টি রণতরীসহ ইবনে হুসাইনের নেতৃত্বে বিশাল নৌবাহিনী চট্টগ্রামে আক্রমণ করে এবং আরাকান বাহিনী পরাজিত হয়।
-
২৬ জানুয়ারি ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে বুজুর্গ উমেদ খান বিজয়ীর বেশে চট্টগ্রামে প্রবেশ করেন। দীর্ঘদিন এখানকার শাসন শেষে তিনি দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্রাটের অনুমতি প্রার্থনা করেন, যা মঞ্জুর হয়।
শাসনকাল ও অবদান:
-
শায়েস্তা খানের শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত।
-
তিনি নির্মাণ করেন লালবাগ কেল্লা, শায়েস্তা খান মসজিদ, ছোট কাটরা, সাত গম্বুজ মসজিদ প্রভৃতি স্থাপনা।
-
১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে, ৯৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
পাকিস্তানের কোন প্রেসিডেন্ট 'মৌলিক গণতন্ত্র অধ্যাদেশ' জারি করেন?
Created: 1 month ago
A
ইস্কান্দার মির্জা
B
আইয়ুব খান
C
জুলফিকার আলী ভুট্টো
D
লিয়াকত আলী খান
১৯৬০-এর দশকে জেনারেল আইয়ুব খানের শাসনামলে প্রবর্তিত মৌলিক গণতন্ত্র ছিল পাকিস্তানের স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা, যা কেন্দ্রীয় ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ও স্থানীয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার চেষ্টা করে।
-
মৌলিক গণতন্ত্র ১৯৫৯ সালে জেনারেল আইয়ুব খান কর্তৃক জারি করা আদেশের মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়।
-
প্রারম্ভিক পর্যায়ে এটি পাঁচ স্তরবিশিষ্ট ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করত।
-
নিম্ন থেকে উচ্চ স্তর পর্যন্ত এই স্তরগুলো ছিল:
-
ইউনিয়ন পরিষদ (পল্লী এলাকায়) এবং শহর ও ইউনিয়ন কমিটি (পৌর এলাকায়)
-
থানা পরিষদ (পূর্ব পাকিস্তানে), তহশিল পরিষদ (পশ্চিম পাকিস্তানে)
-
জেলা পরিষদ
-
বিভাগীয় পরিষদ
-
প্রাদেশিক উন্নয়ন উপদেষ্টা পরিষদ
-
0
Updated: 4 weeks ago
তমদ্দুন মজলিশের প্রতিষ্ঠাকালে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন —
Created: 1 month ago
A
অধ্যাপক এ.এস.এম. নূরুল হক ভূঁইয়া
B
অধ্যাপক আবুল কাশেম
C
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ
D
হাসান ইকবাল
তমদ্দুন মজলিশ হলো একটি ইসলামী আদর্শাশ্রয়ী সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা দেশে ইসলামী আদর্শ ও ভাবধারা সমুন্নত করার উদ্দেশ্যে গঠিত হয়।
-
সংগঠনটি ভারত বিভাগের অব্যবহিত পরেই ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম-এর উদ্যোগে
-
প্রারম্ভিক নাম: পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ
-
প্রতিষ্ঠায় অধ্যাপক আবুল কাশেমের অগ্রণী সহযোগীদের মধ্যে ছিলেন: দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ, অধ্যাপক এ.এস.এম নূরুল হক ভূঁইয়া, শাহেদ আলী, আবদুল গফুর, বদরুদ্দীন উমর, হাসান ইকবাল এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় সিনিয়র ছাত্র।
-
প্রফেসর আবুল কাশেম ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।
-
দেওয়ান মোহাম্মদ আজরফ ১৯৪৯ সালে মজলিশের সভাপতি নির্বাচিত হন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago