কোনটি সাংবিধানিক পদ নয়?
A
চেয়ারম্যান, পাবলিক সার্ভিস কমিশন
B
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
C
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
D
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন
উত্তরের বিবরণ
সাংবিধানিক পদ ও সংজ্ঞা
-
সংজ্ঞা:
-
সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন।
-
সাংবিধানিক উপায়ে যে সকল প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়, সেগুলোকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বলা হয়।
-
সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা, পদ, মেয়াদ, পদমর্যাদা, পদত্যাগ, অপসারণ পদ্ধতি এবং দায়িত্ব সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের তৃতীয় তফসিল সাংবিধানিক পদের তালিকা প্রকাশ করে।
-
সাংবিধানিক পদসমূহ
-
রাষ্ট্রপতি
-
প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতি-মন্ত্রী ও উপমন্ত্রী
-
স্পীকার
-
ডেপুটি স্পীকার
-
সংসদ সদস্য
-
প্রধান বিচারপতি
-
প্রধান নির্বাচন কমিশনার
-
মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
সরকারী কর্ম কমিশনের সদস্য
উল্লেখ্য:
-
চেয়ারম্যান, মানবাধিকার কমিশন সাংবিধানিক পদ নয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান
0
Updated: 1 month ago
ট্যারিফ কমিশন কয়টি শাখায় বিভক্ত?
Created: 3 weeks ago
A
২টি
B
৩টি
C
৪টি
D
৫টি
ট্যারিফ কমিশন
ট্যারিফ কমিশন বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান, যা দেশীয় শিল্পসমূহকে অসম প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা ও যথাযথ সংরক্ষণের জন্য কাজ করে।
-
প্রতিষ্ঠা ও আইনগত ভিত্তি:
-
২৮ জুলাই ১৯৭৩ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি অধিদপ্তর হিসেবে কার্যক্রম শুরু
-
১৯৯২ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন আইন ১৯৯২ (আইন নং ৪৩) এর অধীনে পূর্ণগঠিত
-
-
সংগঠন ও নেতৃত্ব:
-
সরকারী সচিব পর্যায়ের মর্যাদাসম্পন্ন চেয়ারম্যান প্রধান
-
কমিশন তিনটি মূল শাখায় বিভক্ত:
-
বাণিজ্য নীতিমালা
-
বাণিজ্য প্রতিকার
-
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
-
-
প্রতিটি শাখা একজন সদস্য দ্বারা পরিচালিত
-
একটি প্রশাসনিক শাখা আছে, যা কমিশনের সচিব দ্বারা পরিচালিত
-
-
সম্পর্ক: বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট
0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলো-
Created: 1 month ago
A
সচিবালয়
B
বিভাগীয় প্রশাসন
C
জেলা প্রশাসন
D
উপজেলা প্রশাসন
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো
বাংলাদেশের প্রশাসন দুটি স্তরে বিভক্ত:
১. কেন্দ্রীয় প্রশাসন (সচিবালয়)
-
দেশের সব প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়।
-
কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে পুরো দেশে বাস্তবায়িত হয়।
২. মাঠ প্রশাসন
-
কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নীতি বাস্তবায়নের জন্য মাঠ প্রশাসনের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
-
মাঠ প্রশাসনের ধাপসমূহ:
-
বিভাগীয় প্রশাসন – প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্থানীয় স্তর।
-
জেলা প্রশাসন – প্রতিটি জেলার প্রশাসন পরিচালনা করে।
-
উপজেলা প্রশাসন – জেলা প্রশাসনের অধীনে উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসন।
-
-
উপজেলা প্রশাসন তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের নিকটবর্তী প্রশাসনিক কার্য সম্পাদন করে।
-
মাঠ প্রশাসন মূলত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট কোন ধরনের রাজ্য ছিল?
Created: 1 month ago
A
করদ
B
পরাধীন
C
বিচ্ছিন্ন
D
পূর্ণাঙ্গ
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট একটি করদ রাজ্য হিসেবে বিদ্যমান ছিল। করদ রাজ্য বলতে সাধারণত সেই সামন্ত রাজ্যকে বোঝানো হয়, যা অন্য কোনো রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হলে জয়ী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। পরাজিত রাজা সামন্ত রাজা হিসেবে জয়ী রাজার অধীনে ক্ষমতায় থাকে, এবং সাধারণত এক চুক্তির মাধ্যমে তার শাসনধারা বজায় থাকে।
-
করদ রাজ্য: ইতিহাসে করদ রাজ্য বলতে সামন্ত রাজ্য বোঝানো হয়। যুদ্ধে হেরে যাওয়া রাজাকে জয়ী রাজার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় রাখা হত। পরাজিত রাজাকে সামন্ত রাজা বলা হত।
-
সমুদ্রগুপ্ত: গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট, যিনি চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ান বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট করদ রাজ্য হিসেবে রয়ে যায়। এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি অনুযায়ী, তিনি সমতট ব্যতীত বাংলার অন্যান্য জনপদকে সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। তাঁর বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের পূর্বতন রাজ্য ছিল নেপাল, কর্তৃপুর (পরিচয় বিতর্কিত), কামরূপ, ডবাক (আসাম বা ঢাকা), এবং সমতট। কালক্রমে সমতটও গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
সমতট: দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার প্রাচীন জনপদ। বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশ, এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল সমতট নামে পরিচিত ছিল।
-
সমতটের অবস্থান ছিল মেঘনা পূর্ববর্তী কুমিল্লা-নোয়াখালীর সমতল অঞ্চলে, এবং ত্রিপুরাকে এর প্রধান কেন্দ্র বলা হতো।
-
৭ম শতকে রাজা রাজভট্টের অন্যতম রাজধানী ছিল বড়োকামতা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago