A
কামরুল হাসান
B
জয়নুল আবেদিন
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
কামরুল হাসান
-
পরিচিতি:
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামে পরিচিত ছিলেন।
-
প্রকৃত নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
-
জন্ম: ২ ডিসেম্বর ১৯২১, কলকাতায় (পিতার কর্মস্থল)।
-
অবদান:
-
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশা প্রণয়নে যুক্ত ছিলেন।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারি মনোগ্রাম তৈরি করেন।
-
তাঁর ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ চিত্রকর্ম অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকেট প্রকাশ করে।
-
মুক্তিযুদ্ধ ও বিখ্যাত পোস্টার
-
প্রসিদ্ধ পোস্টার: ১৯৭১ সালে তিনি আঁকেন "ANNIHILATE THESE DEMONS (এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে)" শিরোনামের ঐতিহাসিক পোস্টার।
-
প্রেক্ষাপট:
-
২৫ মার্চ থেকে পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশের সর্বত্র গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নারীর উপর নৃশংস নির্যাতন চালায়।
-
এর মূল নির্দেশদাতা ছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান।
-
-
প্রতীকী প্রকাশ:
-
কামরুল হাসান ব্যঙ্গচিত্রে ইয়াহিয়ার মুখাবয়বকে অমানবিকতা, নিষ্ঠুরতা ও ধ্বংসের প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করেন।
-
এই শিল্পকর্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রতিরোধ সংগ্রামে শক্তিশালী প্রচারমাধ্যমে পরিণত হয়।
-
-
প্রকাশ ও প্রচার:
-
প্রথম প্রকাশ: ১৯৭১ সালের মে মাসে কলকাতা থেকে প্রকাশিত জয় বাংলা পত্রিকায়।
-
পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রবাসী সরকার এক রঙে এর লক্ষাধিক কপি ছাপিয়ে মুক্তাঞ্চলে বিতরণ করে।
-
বিদেশি প্রচারের জন্য ইংরেজি ভাষ্যে এর শিরোনাম ছিল: Annihilate the Demons।
-
উৎস:
i) বাংলাপিডিয়া
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 19 hours ago
আইনের প্রাচীনতম উৎস কোনটি?
Created: 2 days ago
A
ধর্ম
B
আইনসভা
C
প্রথা
D
বিচারকের রায়
-
রাষ্ট্র ও আইনসভা প্রতিষ্ঠার বহু আগে থেকেই সমাজে প্রথা বিদ্যমান ছিল। মানুষের আচার-আচরণ ও রীতিনীতি দীর্ঘদিন ধরে পালিত হতে হতে প্রথাভিত্তিক আইনে পরিণত হয়। তাই প্রথাই আইনের প্রাচীনতম উৎস।
আইন:
-
ফার্সি ভাষায় "আইন" শব্দের অর্থ সুনির্দিষ্ট নীতি বা নিয়ম।
-
সমাজ জীবনে প্রচলিত বিধি-বিধানকেই আইন বলা হয়।
-
মানবজাতির বৃহত্তর কল্যাণে মানুষের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্র যে বিধিনিষেধ প্রণয়ন করে, সাধারণভাবে সেগুলোকেই আইন বলা হয়।
-
আইন বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
-
আইনের উৎসসমূহ হলো: প্রথা বা রীতিনীতি, ধর্ম, বিচারকের রায়, ন্যায়বিচার, বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা ও আইনসভা।
-
আইনের অন্যতম প্রাচীন উৎস হলো প্রথা।
-
প্রাচীনকাল থেকে সমাজে অধিকাংশ মানুষের দ্বারা সমর্থিত, স্বীকৃত ও পালিত আচার-ব্যবহার, রীতি-নীতি ও অভ্যাসকেই প্রথা বলা হয়।
-
প্রাচীনকালে কোনো লিখিত আইনের অস্তিত্ব ছিল না।
-
তখন মানুষের আচরণ প্রথা, অভ্যাস ও রীতি-নীতির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো।
-
কালক্রমে অনেক প্রথা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত হয়ে আইনের মর্যাদা লাভ করে।
উৎস: পৌরনীতি, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশে কবে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয়?
Created: 18 hours ago
A
১৯৮২ সালে
B
১৯৮৩ সালে
C
১৯৮৪ সালে
D
১৯৮৫ সালে
জাতীয় ঔষধনীতি
-
প্রাথমিক প্রণয়ন:
-
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয় ১৯৮২ সালে।
-
নীতি গ্রহণের ফলে ওষুধের নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত হয়, দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, আমদানি নির্ভরতা কমে এবং দেশীয় ঔষধ শিল্পে স্বনির্ভরতা আসে।
-
নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয় এবং বাংলাদেশ ঔষধ সেক্টরের ভাবমূর্তি উন্নত হয়।
-
-
সর্বশেষ সংস্কার:
-
২০১৬ সালে জাতীয় ঔষধনীতি সংস্কার করা হয়।
-
সংবিধানের ১৫(ক), ১৫(ঘ) ও ১৮(১) ধারার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকার জনগণকে নিশ্চয়তা দেয়।
-
এক সময় যেখানে প্রায় ৮০% ঔষধ আমদানি করা হত, বর্তমানে ৯৭% ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।
-
দেশীয় মানসম্মত ঔষধ ১১৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
-
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন।
-
-
জাতীয় ঔষধনীতির লক্ষ্যসমূহ:
১. জনগণকে নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন ঔষধ সহজলভ্য মূল্যে নিশ্চিত করা।
২. ঔষধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার এবং সুষ্ঠু বিতরণ (Dispensing) ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. দেশীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়।
৪. দেশের উৎপাদিত ঔষধের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
৫. ঔষধের কার্যকর নজরদারি (Surveillance) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: জাতীয় ঔষধনীতি-২০১৬

0
Updated: 18 hours ago
দেশের একমাত্র কৃষিভিত্তিক ইপিজেড কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 1 day ago
A
গাইবান্ধা
B
পাবনা
C
নীলফামারী
D
কুড়িগ্রাম
উত্তরা ইপিজেড
-
দেশের একমাত্র কৃষিভিত্তিক ইপিজেড।
-
অবস্থান: নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়ন।
-
প্রতিষ্ঠা: জুলাই, ১৯৯৯।
-
উদ্বোধন: জুলাই, ২০০১।
-
মোট আয়তন: ২১৩.৬৬ একর।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 day ago