মীর শওকত আলী মুক্তিযুদ্ধের কত নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন?
A
২ নং
B
৪ নং
C
৫ নং
D
৯ নং
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরসমূহ
১. ৫ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) ও জেলার পূর্বসীমা পর্যন্ত
-
সদরদপ্তর: বাঁশতলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
২. ১ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, নোয়াখালী জেলার পূর্বাঞ্চল (বেলোনিয়া বুলগের মুহুরী নদীর তীরে)
-
সদরদপ্তর: হরিণা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মুন্সী আব্দুর রব
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউর রহমান (পরবর্তীতে মেজর রফিকুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত)
৩. ২ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: ঢাকা, কুমিল্লা ও ফরিদপুর জেলা, নোয়াখালী জেলার অংশ
-
সদরদপ্তর: মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর খালেদ মোশাররফ (পরবর্তীতে মেজর এটিএম হায়দার)
৪. ৩ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: উত্তরে চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গল) থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল
-
সদরদপ্তর: হেজামারা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে এম শফিউল্লাহ (পরবর্তীতে মেজর এএনএম নুরুজ্জামান)
৫. ৪ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা (১০০ মাইল সীমান্ত এলাকা)
-
সদরদপ্তর: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে আসামের মাসিমপুর
-
বীরশ্রেষ্ঠ: হামিদুর রহমান
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরাজন দত্ত (পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন এ রব)
৬. ৬ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা
-
সদরদপ্তর: বুড়ি মাড়ি (বাংলাদেশের একমাত্র অভ্যন্তরীণ সদরদপ্তর)
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার
৭. ৭ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর
-
সদরদপ্তর: তরঙ্গপুর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নজরুল হক (পরবর্তীতে সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান)
৮. ৮ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: কুষ্টিয়া, যশোর থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মোস্তফা কামাল, নূর মোহাম্মদ শেখ
-
সদরদপ্তর: কল্যাণী
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী (পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুর)
৯. ৯ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা, খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ
-
সদরদপ্তর: বশিরহাট
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম জলিল (পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন)
১০. ১০ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: রুহুল আমিন
১১. ১১ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: টাঙ্গাইল জেলা ও কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা
-
সদরদপ্তর: মহেন্দ্রগঞ্জ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম আবু তাহের
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত বিশেষায়িত ব্যাংক?
Created: 1 month ago
A
জনতা ব্যাংক
B
রুপালী ব্যাংক
C
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
D
অগ্রণী ব্যাংক
বাংলাদেশে ব্যাংক খাতকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক এবং অতালিকাভুক্ত ব্যাংক উল্লেখযোগ্য।
-
তালিকাভুক্ত (Scheduled) ব্যাংক:
-
বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ অনুযায়ী ব্যাংকগুলো তালিকাভুক্ত থাকে।
-
মোট তালিকাভুক্ত ব্যাংক: ৬২টি (মে, ২০২৫ অনুযায়ী)।
-
-
বিশেষায়িত ব্যাংক (SDBs): মোট ৩টি
-
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক
-
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক
-
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
-
-
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক:
-
উদাহরণ: রুপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক
-
-
ব্যক্তিমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক (PCBs): মোট ৪৩টি
-
প্রচলিত পদ্ধতির ব্যাংক: ৩৩টি (সুদ ভিত্তিক)
-
ইসলামি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক: ১০টি (লাভ-লোকসান ভাগাভাগির ভিত্তিতে পরিচালিত)
-
ডিজিটাল বাণিজ্যিক ব্যাংক: ১টি, যা এখনও বাণিজ্যিক কার্যক্রমের অনুমতি পাননি
-
-
বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংক (FCBs): মোট ৯টি
-
অতালিকাভুক্ত ব্যাংক: বাংলাদেশে বর্তমানে ৫টি
-
আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক
-
কর্মসংস্থান ব্যাংক
-
গ্রামীণ ব্যাংক
-
জুবিলি ব্যাংক
-
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক
-
0
Updated: 4 weeks ago
নিচের কোন এলাকা নাব্য বঙ্গের অন্তর্ভুক্ত ছিল?
Created: 1 month ago
A
কুমিল্লা
B
ফরিদপুর
C
সিলেট
D
চট্টগ্রাম
বঙ্গ:
- বঙ্গ একটি প্রাচীন জনপদ।
- ঐতরেয় আরণ্যক গ্রন্থে একটি উপজাতির নাম হিসেবে বঙ্গের প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায়।
- ভাগীরথী ও পদ্মার স্রোত মধ্যবর্তী এলাকায় যে ত্রিভুজাকৃতি ব-দ্বীপ সৃষ্টি হয়েছে তাকেই বঙ্গদের অঞ্চল বলা হয়।
- প্রাচীন শিলালিপিতে বঙ্গের দুটি অঞ্চলের নাম পাওয়া যায়।
- একটি বিক্রমপুর বঙ্গ অন্যটি নাব্য বঙ্গ।
- ঢাকা-ফরিদপুর-বরিশাল এলাকা নাব্য বঙ্গের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
- বাংলায় মুসলমান শাসনামলের প্রাথমিক পর্যায়ে 'বঙ্গ' বলে বাংলার দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব অংশকেই বুঝানো হতো।
- মধ্যযুগের বিখ্যাত মুঘল ঐতিহাসিক আবুল ফজল রচিত আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে পাওয়া যায় যে, বঙ্গদেশের উত্তরকালীন নাম বঙ্গাল ।
তথ্যসূত্র - বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলার কোন সুবাদার মগ দস্যুদের বিতাড়িত করে চট্টগ্রাম জয় করেন?
Created: 1 month ago
A
ইব্রাহিম খান
B
কাসিম খান
C
শায়েস্তা খান
D
ইসলাম খান মাসহাদী
শায়েস্তা খান ছিলেন ইরানি বংশোদ্ভূত একজন প্রখ্যাত মোগল সুবাদার। তাঁর প্রকৃত নাম আবু তালিব, এবং মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর তাঁকে শায়েস্তা খান উপাধি প্রদান করেন। শায়েস্তা খান সম্রাট আওরঙ্গজেবের মামা ছিলেন।
-
১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলার সুবাদার মীর জুমলার মৃত্যু এর পর ১৬৬৪ খ্রিস্টাব্দে আওরঙ্গজেব তাঁকে বাংলার সুবাদার হিসেবে নিযুক্ত করেন।
-
শায়েস্তা খান প্রথমবার বাংলায় আসার সময় ৬৩ বছর বয়সী ছিলেন এবং দুই দফায় মোট ২২ বছর বাংলায় শাসন করেন।
বিজয়াভিযান:
-
শায়েস্তা খানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিজয়াভিযান ছিল চট্টগ্রাম পুনর্দখল।
-
১৪৫৯ সালে আরাকান রাজ চট্টগ্রামকে বাংলার সুলতানদের নিকট থেকে দখল করেছিল। শায়েস্তা খান এই অঞ্চল পুনর্দখলের জন্য সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
-
তাঁর সেনাবাহিনী সন্দ্বীপ দখল করে চট্টগ্রামের দিকে এগিয়ে যায়। চট্টগ্রামের মগ-রাজা ও স্থানীয় পর্তুগিজদের মধ্যে বিবাদ বাঁধে, এবং পর্তুগিজরা নোয়াখালিতে আশ্রয় নেয়।
-
শায়েস্তা খান ফিরিঙ্গী নেতাকে নিজের বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন।
-
১৬৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে, ফিরিঙ্গীদের ৪০টি রণতরীসহ ইবনে হুসাইনের নেতৃত্বে বিশাল নৌবাহিনী চট্টগ্রামে আক্রমণ করে এবং আরাকান বাহিনী পরাজিত হয়।
-
২৬ জানুয়ারি ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দে বুজুর্গ উমেদ খান বিজয়ীর বেশে চট্টগ্রামে প্রবেশ করেন। দীর্ঘদিন এখানকার শাসন শেষে তিনি দিল্লিতে ফিরে যাওয়ার জন্য সম্রাটের অনুমতি প্রার্থনা করেন, যা মঞ্জুর হয়।
শাসনকাল ও অবদান:
-
শায়েস্তা খানের শাসনামলে টাকায় আট মণ চাল পাওয়া যেত।
-
তিনি নির্মাণ করেন লালবাগ কেল্লা, শায়েস্তা খান মসজিদ, ছোট কাটরা, সাত গম্বুজ মসজিদ প্রভৃতি স্থাপনা।
-
১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে, ৯৪ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago