বাংলাদেশের সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়?
A
দশম
B
দ্বাদশ
C
পঞ্চদশ
D
সপ্তদশ
উত্তরের বিবরণ
সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী
-
পাসের তারিখ: ৬ আগস্ট ১৯৯১
-
ভোটের ফলাফল: ৩০৭–০ ভোটে গৃহীত
-
মূল উদ্দেশ্য: রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে মন্ত্রিপরিষদ শাসিত (সংসদীয়) সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন।
দ্বাদশ সংশোধনীর বৈশিষ্ট্য
-
সংসদীয় সরকার:
-
বাংলাদেশের সরকার পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়।
-
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থার পরিবর্তে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত।
-
-
নামমাত্র রাষ্ট্রপতি:
-
রাষ্ট্রপতি আইনানুসারে সংসদ সদস্য দ্বারা নির্বাচিত হবেন।
-
যাবতীয় কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে পরিচালনা করবেন।
-
-
রাষ্ট্রপতির মেয়াদ:
-
রাষ্ট্রপতি ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
-
একাধিক্রমে ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকবেন না।
-
-
উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ:
-
দ্বাদশ সংশোধনী উপ-রাষ্ট্রপতির পদ বিলোপ করে।
-
রাষ্ট্রপতির পদ শূন্য হলে জাতীয় সংসদের স্পীকার অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
-
-
মন্ত্রিসভা গঠন:
-
মন্ত্রিসভা গঠন ও কার্যক্রম সংবিধানে নির্ধারিত।
-
রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের আস্থাভাজনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করবেন।
-
প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার নেতা হবেন।
-
-
গণভোট পদ্ধতি:
-
সংশোধনী বিল কেবল সংবিধানের প্রস্তাবনা বা নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ (৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২) সংক্রান্ত হলে গণভোট আকারে পেশ করা যাবে।
-
উৎস:
i) BBC
ii) বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
B
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ
C
ড. কামাল হোসেন
D
আবুল ফজল
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান ছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন।
সংবিধান প্রণয়ন কমিটি:
-
১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল সংবিধান প্রণয়নের জন্য ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
-
কমিটির সভাপতি: তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন
-
একমাত্র মহিলা সদস্য: বেগম রাজিয়া বানু
-
একমাত্র বিরোধীদলীয় সদস্য: সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
১৭ এপ্রিল ১৯৭২: খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত।
-
১১ অক্টোবর ১৯৭২: সংবিধানের পূর্ণাঙ্গ খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদিত।
-
৪ নভেম্বর ১৯৭২: গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত।
-
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২: বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়।
0
Updated: 1 month ago
’আমান’ কোন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা?
Created: 1 month ago
A
ইরান
B
মিশর
C
ইসরায়েল
D
ইরাক
বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থা
-
মিশর – মুখবরাত
-
ইসরায়েল – মোসাদ, আমান
-
জাপান – নাইচো
-
ইরান – ভিভাক
-
সৌদি আরব – এস পি এ (SPA)
-
চীন – এম এস এস (MSS)
-
পাকিস্তান – আইএসআই (ISI)
-
যুক্তরাষ্ট্র – সিআইএ (CIA), ফেয়ারফ্যাক্স, এনএসএ (NSA), এফবিআই (FBI)
-
যুক্তরাজ্য – এসআইএস (SIS), এমআই৬, স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, ব্রিটিশ সিক্রেট সার্ভিস
-
ফ্রান্স – ডিজিএসআই (DGSI)
-
ভারত – RAW, CBI
উৎস: ব্রিটানিকা
0
Updated: 1 month ago
কোন পর্যটক বাংলাকে 'প্রাচুর্যপূর্ণ নরক' বলে অভিহিত করেন?
Created: 1 month ago
A
ফ্রাঁসোয়া বার্নিয়ার
B
ইবনে বতুতা
C
ফা হিয়েন
D
হিউয়েন সাং
ইবনে বতুতা ছিলেন মরক্কোর বিখ্যাত পর্যটক। তাঁর পুরো নাম শেখ আবু আবদুল্লাহ মুহম্মদ। বাংলায় সফরের উদ্দেশ্য তিনি নিজেই তাঁর ভ্রমণকাহিনীতে উল্লেখ করেছেন; এটি ছিল কামরূপের পার্বত্য অঞ্চলে বিখ্যাত সুফিসাধক হযরত শাহজালাল মুজার্রদ-ই-ইয়েমেনীর দর্শন লাভ।
-
ইবনে বতুতা ১৩২৫ খ্রিস্টাব্দে ২১ বছর বয়সে বিশ্ব সফরে বের হন এবং আট বছরের মধ্যে সমগ্র উত্তর আফ্রিকা, আরব, পারস্য, ভূমধ্যসাগরের পূর্ব তীরবর্তী অঞ্চল ও কনস্টান্টিনোপল পরিভ্রমণ করেন।
-
এরপর তিনি ভারতে আসেন এবং ১৩৩৪ খ্রিস্টাব্দে দিল্লিতে পৌঁছে সুলতান মুহম্মদ বিন তুঘলকের অধীনে দীর্ঘ প্রায় আট বছর কাজীর পদে নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলায় সফর:
-
ইবনে বতুতা ১৩৪৬ খ্রিস্টাব্দে ফখরুদ্দিন মুবারক শাহের শাসনকালে বাংলায় আসেন।
-
বাংলার যে শহরে প্রথম পৌঁছান (৯ জুলাই ১৩৪৬) তার নাম সাদকাঁও (চাটগাঁও)। সেখান থেকে তিনি সরাসরি কামরূপ পার্বত্য অঞ্চল অভিমুখে রওনা হন।
-
তিনি বাংলায় ভ্রমণের এক মূল্যবান বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন, যা বাংলার প্রাকৃতিক দৃশ্য, অধিবাসীদের জীবনযাপন ও দেশের সমৃদ্ধি বর্ণনা করে।
-
তার গ্রন্থ **‘আর রিহলা’**তে বাংলাকে তিনি ‘দোজখ-ই-পুর নিয়ামত’ (A Hell Full Of Good Things) অর্থাৎ প্রাচুর্যপূর্ণ নরক হিসেবে অভিহিত করেছেন।
-
ইবনে বতুতা সিলেটের প্রখ্যাত সাধক হযরত শাহজালালের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং পরে চীনের রাজদরবার গমনের উদ্দেশ্যে বাংলা ত্যাগ করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago