সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর যৌথ মহড়ার নাম কী? [আগস্ট, ২০২৫]
A
রোয়ারিং টাইগার ২০২৫
B
টাইগার লাইটনিং ২০২৫
C
প্যাসিফিক ব্লু অ্যাঞ্জেল ২০২৫
D
রোয়ার লাইটনিং ২০২৫
উত্তরের বিবরণ
টাইগার লাইটনিং-২০২৫
-
পরিচিতি:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের ছয় দিনব্যাপী যৌথ সামরিক মহড়ার নাম ‘টাইগার লাইটনিং-২০২৫’। -
সময় ও স্থান:
এই মহড়া অনুষ্ঠিত হয় ২৫–৩০ জুলাই ২০২৫। -
তত্ত্বাবধান:
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড ও যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড যৌথভাবে তত্ত্বাবধান করে। -
অংশগ্রহণকারী:
-
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী: ১০০ জন সদস্য (প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড)।
-
যুক্তরাষ্ট্র: ৬৬ জন সদস্য (নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড)।
-
উদ্দেশ্য ও গুরুত্ব
-
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা রক্ষা, সন্ত্রাস দমন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক সহায়তা বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করা।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যেকোনো বৈশ্বিক হুমকি মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত।
-
পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, কৌশলগত যৌথ আভিযানিক সক্ষমতা উন্নয়ন এবং সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করাই এই মহড়ার মূল লক্ষ্য।
উৎস: প্রথম আলো
0
Updated: 1 month ago
ভারত ছাড় আন্দোলন কবে শুরু হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
১৯৩৯ সালে
B
১৯৪০ সালে
C
১৯৪১ সালে
D
১৯৪২ সালে
ভারত ছাড় আন্দোলন মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে সংগঠিত হয় এবং ১৯৪২ সালে এটি শুরু হয়। এটি ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে শ্বেতাঙ্গ-বিরোধী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ এবং প্রথম স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপক আন্দোলন হিসেবে পরিচিত। আন্দোলন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
ইংরেজ সরকার কোনোভাবেই ভারতীয়দের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না।
-
সরকার এই আন্দোলন দমনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা রাখে।
-
আন্দোলনের শুরুতে মধ্যরাতে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ, যেমন গান্ধীজি, আবুল কালাম আজাদ, জওহরলাল নেহরু, গ্রেফতার হন।
-
কংগ্রেসকে বেআইনি ঘোষণা করা হয় এবং এক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সব নেতা কারাগারে বন্দি হন।
-
নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের কারণে অহিংস আন্দোলন ভয়াবহ সহিংস আন্দোলনে পরিণত হয়।
-
১৯৪২ সালের ৮ আগস্ট, নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটির (বোম্বাই) অধিবেশনে বিখ্যাত ভারত ছাড় আন্দোলনের প্রস্তাব পাস হয়।
-
পরপরই যতদূর সম্ভব ব্যাপকভাবে অহিংস পথে গান্ধীর নেতৃত্বে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানে কয়টি তফসিল সংযোজন করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৭টি
বাংলাদেশের সংবিধানের তফসিল
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ৭টি তফসিল সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি তফসিলের উদ্দেশ্য ও বিষয়বস্তু নিম্নরূপ:
-
প্রথম তফসিল:
-
অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন।
-
-
দ্বিতীয় তফসিল:
-
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নিয়ম ও প্রক্রিয়া।
-
-
তৃতীয় তফসিল:
-
শপথ ও ঘোষণা।
-
-
চতুর্থ তফসিল:
-
ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানবলী।
-
-
পঞ্চম তফসিল:
-
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ঐতিহাসিক ভাষণ।
-
-
ষষ্ঠ তফসিল:
-
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা।
-
-
সপ্তম তফসিল:
-
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
-
0
Updated: 1 month ago
জেনারেল এরশাদের আমলে কোন সংসদে অষ্টম সংশোধনী পাস হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
তৃতীয় সংসদ
B
চতুর্থ সংসদ
C
পঞ্চম সংসদ
D
ষষ্ঠ সংসদ
বাংলাদেশের সংবিধানের অষ্টম সংশোধনী (১৯৮৮)
-
সংসদে উত্থাপন: ১১ মে, ১৯৮৮
-
উত্থাপনকারী: সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ
-
সংসদে গৃহীত: ৭ জুন, ১৯৮৮
-
রাষ্ট্রপতির সম্মতি: ৯ জুন, ১৯৮৮
মূল বিষয়বস্তু:
-
ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা: বাংলাদেশে ইসলামকে সরকারি ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
হাইকোর্টের আঞ্চলিক বেঞ্চ স্থাপন: বরিশাল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর ও সিলেটে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন।
-
বিদেশি উপাধি গ্রহণে নিয়ন্ত্রণ: কোনো নাগরিক রাষ্ট্রপতির অনুমতি ব্যতীত বিদেশ থেকে উপাধি গ্রহণ করতে পারবে না।
-
রাজধানী ও ভাষার বানান সংশোধন:
-
রাজধানী Dacca → Dhaka
-
বাংলা ভাষা English: Bengali → Bangla
-
সংক্ষেপে, অষ্টম সংশোধনী ধর্মীয় স্বীকৃতি, বিচারিক কাঠামো, বিদেশি উপাধি নিয়ন্ত্রণ এবং সাংস্কৃতিক-ভাষাগত বানান সংশোধনের জন্য গৃহীত হয়।
0
Updated: 1 month ago