বর্তমানে দেশের কোন রপ্তানি পণ্যের উপর সর্বোচ্চ মার্কিন শুল্ক দিতে হয়? [আগস্ট,২০২৫]
A
তামাকজাত পণ্য
B
চামড়াবিহীন বিশেষ জুতা
C
রাবারের জুতা
D
শিশুদের কৃত্রিম তন্তুর সোয়েটার
উত্তরের বিবরণ
মার্কিন বাণিজ্য কমিশনের তথ্য অনুযায়ী:
-
বর্তমানে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যে সবচেয়ে বেশি শুল্ক প্রক্রিয়াজাত তামাক পণ্যে দিতে হয়।
-
যুক্তরাষ্ট্র এই পণ্য থেকে ৩৫০% শুল্ক আদায় করে।
-
নতুনভাবে ২০% পাল্টা শুল্ক যুক্ত হলে শুল্ক হার দাঁড়াবে ৩৭০%, অর্থাৎ প্রতি ১০০ মার্কিন ডলার মূল্যের তামাক পণ্যে শুল্ক দিতে হবে ৩৭০ ডলার।
-
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে ৭৪ হাজার ডলারের তামাকজাত পণ্য রপ্তানি করেছে।
উৎস: প্রথম আলো [লিঙ্ক]
0
Updated: 1 month ago
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ দলিলে যৌথবাহিনীর পক্ষ থেকে কার স্বাক্ষর ছিল?
Created: 1 month ago
A
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল্লাহ নিয়াজী
B
জেনারেল স্যাম মানেকশ
C
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা
D
এয়ার ভাইস মার্শাল এ. কে. খন্দকার
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর, ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি সেনারা আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল্লাহ নিয়াজী, আর যৌথবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, যিনি ভারতীয় পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান ছিলেন।
পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণ:
-
বিকেলে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে।
-
এ আত্মসমর্পণের মাধ্যমে ২৬ মার্চ থেকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তি ঘটে।
পটভূমি ও প্রাসঙ্গিক তথ্য:
-
বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার সামনে বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।”
-
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার জেনারেল এ কে নিয়াজী-কে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ ও সশস্ত্র বাহিনীর জীবন রক্ষার নির্দেশ দেন।
-
১৫ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল স্যাম মানেকশ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে অস্ত্র সংবরণ করে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান।
-
১৬ ডিসেম্বর সকাল সোয়া নয়টার সময় মানেকশ, ভারতের পূর্বাঞ্চল বাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ মেজর জেনারেল জে এফ আর জেকব-কে ঢাকায় পাঠান আত্মসমর্পণের দলিল চূড়ান্ত করার জন্য।
-
বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণের দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
-
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল্লাহ নিয়াজী সেই স্থানে স্বাক্ষর করেন, যেখানে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, উপস্থিত ছিলেন ৯৩ হাজার সৈন্য ও অফিসার।
-
যৌথবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা, যিনি পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় বাহিনী ও বাংলাদেশ বাহিনীর সর্বাধিনায়ক ছিলেন।
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে 'হেমায়েত বাহিনী' কোন অঞ্চলে যুদ্ধ করে?
Created: 2 months ago
A
টাঙ্গাইল
B
মাগুরা
C
পাবনা
D
বরিশাল
আঞ্চলিক বাহিনী (মুক্তিযুদ্ধের সময়)
সেক্টর এলাকার বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিবাহিনী ও গেরিলা দলসমূহ:
| বাহিনীর নাম | স্থান/অঞ্চল |
|---|---|
| কাদেরিয়া বাহিনী | টাঙ্গাইল |
| আফসার ব্যাটালিয়ন | ভালুকা, ময়মনসিংহ |
| বাতেন বাহিনী | টাঙ্গাইল |
| হেমায়েত বাহিনী | গোপালগঞ্জ, বরিশাল |
| হালিম বাহিনী | মানিকগঞ্জ |
| আকবর বাহিনী | মাগুরা |
| লতিফ মীর্জা বাহিনী | সিরাজগঞ্জ, পাবনা |
| জিয়া বাহিনী | সুন্দরবন |
| ঢাকার গেরিলা দল (‘ক্র্যাক প্লাটুন’) | ঢাকা শহর |
-
ঢাকার গেরিলা দল প্রধানত শহরের বড় বড় স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাত।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, অষ্টম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে কতজন সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন?
Created: 1 month ago
A
২৫০ জন
B
৩০০ জন
C
৩৫০ জন
D
৩৩০ জন
বাংলাদেশের আইনসভা (জাতীয় সংসদ)
-
আইনসভা: বাংলাদেশের তিনটি সরকারের বিভাগের মধ্যে অন্যতম।
-
রূপ: এককক্ষবিশিষ্ট।
-
মোট সদস্য সংখ্যা: ৩৫০
-
৩০০ জন সদস্য নাগরিকদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত
-
৫০ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত
-
-
নির্বাচনী ব্যবস্থা:
-
দেশকে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা।
-
প্রতিটি এলাকা থেকে একজন সংসদ-সদস্য নির্বাচিত।
-
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যরা সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে সরাসরি সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
-
-
সংসদীয় নেতৃত্ব:
-
একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাদের নির্বাচন সংসদ সদস্যদের ভোটে হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা।
-
দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
-
কার্যকাল: পাঁচ বছর।
-
সংসদ অধিবেশন:
-
একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ হয়।
-
-
সংসদ ভাঙার ক্ষমতা: প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভাঙতে পারেন।
0
Updated: 1 month ago