পিএলও চেয়ারম্যান ইয়াসির আরাফাত তিউনিসিয়ায় নির্বাসিত জীবন ছেড়ে স্থায়ীভাবে বসবাসের উদ্দেশ্যে কবে গাজা ভূখন্ডে আসেন?
A
১১ জুলাই, ১৯৯৪
B
১২ জুলাই, ১৯৯৪
C
১৩ জুলাই, ১৯৯৪
D
১ জুলাই, ১৯৯৪
উত্তরের বিবরণ
(এটি তৎকালীন সাম্প্রতিক প্রশ্ন যার বর্তমান গ্রহণযোগ্যতা নেই। অনুগ্রহ করে সাম্প্রতিক তথ্য দেখে নিন। সাম্প্রতিক আপডেট তথ্য জানার জন্য Live MCQ ডাইনামিক ইনফো প্যানেল, সাম্প্রতিক সমাচার বা অথেনটিক সংবাদপত্র দেখুন)
ইয়াসির আরাফাত: ফিলিস্তিনি জাতির সংগ্রামী প্রতীক
ইয়াসির আরাফাত ছিলেন ফিলিস্তিনি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা এবং মুসলিম বিশ্বের এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯২৯ সালে মিসরের কায়রোতে জন্মগ্রহণ করেন। ফিলিস্তিনকে মুক্ত করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে তিনি ১৯৫০ সালে রাজনীতিতে যুক্ত হন।
১৯৫৯ সালে নির্বাসিত অবস্থায় কুয়েতে তিনি ‘ফাতাহ’ নামে একটি ফিলিস্তিনি জাতীয়তাবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (PLO)-এর মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায়।
১৯৬৭-৬৮ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে তিনি সম্মুখ সারিতে থেকে নেতৃত্ব দেন এবং ১৯৬৯ সালে নির্বাচিত হন PLO-এর চেয়ারম্যান হিসেবে। ১৯৭০-এর দশক থেকে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনি স্বার্থ তুলে ধরতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে তিনি নিজের অবস্থানে পরিবর্তন আনেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তিনি ১৯৯১ সালের মাদ্রিদ সম্মেলন, ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তি এবং ২০০০ সালের ক্যাম্প ডেভিড সম্মেলনের মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত নিরসনের চেষ্টা করেন।
১৯৯৩ সালে তিনি ইসরায়েলি সরকারের সঙ্গে শান্তি চুক্তিতে নেতৃত্ব দেন এবং এর স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৯৪ সালে তিনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইজহাক রাবিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিমন পেরেসের সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। একই বছর, ১ জুলাই তিনি নির্বাসিত জীবন ছেড়ে গাজা ভূখণ্ডে স্থায়ীভাবে ফিরে আসেন।
১৯৯৬ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ফিলিস্তিন অথরিটির (PA) প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন। তবে এই সময়েই হামাসসহ অন্যান্য সংগঠনের উত্থানে তার নেতৃত্ব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে এবং তারা ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে রাজনৈতিক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।
২০০২ সাল থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে পশ্চিম তীরের রামাল্লায় তাঁর সদর দপ্তরে অবরুদ্ধ করে রাখে। জীবনের শেষ দিনগুলো তিনি গৃহবন্দী অবস্থায় কাটান। এই অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে চিকিৎসার জন্য ফ্রান্সে নেওয়া হয়, এবং সেখানেই ২০০৪ সালের ১১ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়।
উৎস: Britannica

0
Updated: 2 months ago