A
১৯টি
B
২০টি
C
২১টি
D
২২টি
উত্তরের বিবরণ
আসছে

0
Updated: 2 months ago
বাংলা অব্যয়ীভাব সমাসের উদাহরণ ব্যাকরণের কোন অংশের অন্তর্ভুক্ত করা যায়?
Created: 4 days ago
A
সন্ধি
B
উপসর্গ
C
কারক
D
প্রত্যয়
সঠিক উত্তর: খ) উপসর্গ।
অব্যয়ীভাব সমাস
যখন অব্যয় (যেমন: উপ, প্রতি, নির্, অনু) ধরনের শব্দ বিশেষ্য বা অন্য কোনো পদের আগে বসে এবং সেইভাবে গঠিত শব্দের মানে সেই অব্যয়ের অর্থেই প্রকাশ পায়—তখন তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
এখানে মনে রাখতে হবে:
উপসর্গ হলো এক ধরনের অব্যয়।
তাই উপসর্গ যোগে গঠিত শব্দগুলোকে অব্যয়ীভাব সমাস ধরা হয়।
এই সমাসে ব্যাসবাক্য (পূর্ণ বাক্য) গঠনের সময় আলাদা করে অব্যয়ের নাম বলা হয় না, কেবল তার অর্থ বোঝানো হয়।
উদাহরণসহ ব্যাখ্যা
১. উপকূল = উপ + কূল → কূলের কাছে
২. প্রতিদিন = প্রতি + দিন → প্রতিটি দিন
৩. নির্ভয় = নির্ + ভয় → ভয় নেই এমন
৪. অনুকূল = অনু + কূল → কূলের অনুগত
এই শব্দগুলোর বৈশিষ্ট্য
-
এগুলো উপসর্গ + বিশেষ্য পদের মিলনে গঠিত।
-
নতুন অর্থ তৈরি করে।
-
বাংলা ব্যাকরণে এদের উপসর্গ হিসেবেও ধরা হয়।
অন্যান্য অপশন কেন নয়
-
ক) সন্ধি: ধ্বনির মিলন সংক্রান্ত।
-
গ) কারক: বিভক্তি ও পদের সম্পর্ক বোঝায়।
-
ঘ) প্রত্যয়: শব্দ বা ধাতুর শেষে যুক্ত হয়।
উৎস: ভাষাশিক্ষা – ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 4 days ago
কোন শব্দে বিদেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
নিখুঁত
B
আনমনা
C
অবহেলা
D
নিমরাজী
• ফারসি উপসর্গ ‘নিম’ যোগে গঠিত শব্দ- নিমরাজী।
বাংলা ভাষায় "উপসর্গ" হলো এমন কিছু শব্দাংশ, যেগুলো ধাতুর বা মূল শব্দের আগে যুক্ত হয়ে নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠন করে। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গগুলো তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
৩. বিদেশি উপসর্গ
🔹 ১. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষার নিজস্ব উপসর্গগুলোকেই খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। মোট ২১টি খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে। উদাহরণ:
অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
(বি.দ্র.: ‘আ’, ‘বি’, ‘নি’, ‘সু’ এই উপসর্গগুলো তৎসম উপসর্গ হিসেবেও দেখা যায়।)
✔ উদাহরণ:
-
আনমনা – ‘আন’ (খাঁটি বাংলা উপসর্গ) + ‘মনা’
-
নিখুঁত – ‘নি’ (খাঁটি বাংলা উপসর্গ) + ‘খুঁত’
🔹 ২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ
সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত উপসর্গগুলোকে তৎসম উপসর্গ বলা হয়। এগুলোর সংখ্যা প্রায় ২০টি।
উপসর্গগুলো হলো: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
✔ উদাহরণ:
-
অবহেলা – ‘অব’ (তৎসম উপসর্গ) + ‘হেলা’
🔹 ৩. বিদেশি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় বহু বিদেশি শব্দের পাশাপাশি কিছু বিদেশি উপসর্গও গৃহীত হয়েছে। এই উপসর্গগুলোর নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই।
বিদেশি উপসর্গের উৎসভেদে উদাহরণ দেওয়া হলো:
▣ ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম
▣ আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের
▣ উর্দু উপসর্গ: হর
▣ ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ
✔ উদাহরণ:
-
নিমরাজী – ‘নিম’ (ফারসি উপসর্গ) + ‘রাজী’
🔸 উপসংহার:
বাংলা ভাষায় উপসর্গের ব্যবহার শব্দগঠনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপসর্গের উৎস ও প্রকৃতি অনুযায়ী তাদের শ্রেণিবিন্যাস ভাষা শিক্ষার্থীদের নির্মিতিবিদ্যার গভীরতা অনুধাবনে সহায়ক হয়।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ
মাধ্যমিক বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 2 months ago
কোন শব্দে বিদেশি উপসর্গ ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
নিখুঁত
B
আনমনা
C
অবহেলা
D
নিমরাজী
• ‘নিম’ ফারসি উপসর্গযোগে গঠিত শব্দ ‘নিমরাজি’।
• ‘নিমরাজি’ শব্দে নিম উপসর্গটি অর্ধেক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
অন্যদিকে,
- 'অবহেলা' শব্দে 'অব' একটি সংস্কৃত উপসর্গ।
- 'আনমনা' শব্দে 'আন' একটি বাংলা উপসর্গ।
- 'নিখুঁত' শব্দে ''নি' একটি বাংলা উপসর্গ।
-------------------
• উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে সকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ।

0
Updated: 2 months ago