A
গোলকনাথ শর্মা
B
চণ্ডীচরণ মুনশী
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
রামরাম বসু
উত্তরের বিবরণ
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
-
বাংলা গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
-
তিনি বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্নের প্রবর্তন করেন।
-
বাংলা গদ্য প্রবাহ সমৃদ্ধির জন্য তিনি ‘উচ্চবচন ধ্বনিতরঙ্গ’ ও ‘অনতিলক্ষ্য ছন্দঃস্রোত’ সৃষ্টি করেন।
-
তিনি বাংলা গদ্যকে গতিশীল করে প্রাণদান করেছেন।
-
বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যে সুললিত শব্দবিন্যাস, পদবিভাগ ও যতিসন্নিবেশে সুবোধ্য ও শিল্প গুণান্বিত করে তোলেন।
-
বাংলা গদ্যকে তিনি সাহিত্যগুণসম্পন্ন ও সর্বভাব প্রকাশক্ষম করেছিলেন বলেই তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক বলা হয়।
-
তিনি ১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দের ২৯শে ডিসেম্বর ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের হেড পণ্ডিত পদে নিযুক্তি হন।
উল্লেখ্য,
-
চণ্ডীচরণ মুনশী ফোর্ট উইলিয়ম কলেজের বাংলা বিভাগের অন্যতম অধ্যাপক।
-
তিনি ১৮০৫ খ্রিষ্টাব্দে কাদির বখশ রচিত ফারসী গ্রন্থ ‘তুতীনামা’ বাংলায় অনুবাদ করেন।
অন্যদিকে,
ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতগণ হলেন:
-
উইলিয়াম কেরী
-
রামরাম বসু
-
গোলকনাথ শর্মা
-
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
-
তারিণীচরণ মিত্র
-
রাজীবলোচন
-
চণ্ডীচরণ মুনশী
-
হরপ্রসাদ রায় ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; লাল নীল দীপাবলি – হুমায়ুন আজাদ; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস – মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 21 hours ago
বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন কে
Created: 1 month ago
A
প্রমথ চৌধুরী
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
D
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
• ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর: - তিনি ছিলেন সংস্কৃত পন্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক, জনহিতৈষী। - তিনি ১৮২০ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার বীরসিংহ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। - ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ ঈশ্বরচন্দ্রকে 'বিদ্যাসাগর' উপাধি প্রদান করে। - তিনি বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে খ্যাত। - তিনি বাংলা গদ্যে প্রথম যতি বা বিরামচিহ্ন স্থাপন করেন। - তাঁর প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ 'বেতাল পঞ্চবিংশতি'। - তাঁর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থের নাম 'ব্যাকরণ কৌমুদী'। - তিনি ২৯ জুলাই, ১৮৯১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। • তাঁর রচিত বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থ: - শকুন্তলা, - সীতার বনবাস, - ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি। • তাঁর রচিত মৌলিক রচনা: - অতি অল্প হইল, - আবার অতি অল্প হইল, - ব্রজবিলাস, - বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা, - রত্ন পরীক্ষা। • তাঁর রচিত শিক্ষামূলক গ্রন্থ: - আখ্যান মঞ্জরী, - বোধোদয়, - বর্ণপরিচয়, - কথামালা ইত্যাদি। উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অনুবাদ গ্রন্থ 'শকুন্তলা' কোন কবির রচনা অবলম্বনে অনুবাদ করা হয়েছিল?
Created: 1 week ago
A
বাল্মীকি
B
কালিদাস
C
মার্শম্যান
D
মৈনাসত
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০–১৮৯১)
-
পূর্ণ নাম: ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
-
তিনি অনেক সময় “ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা” নামেও স্বাক্ষর করতেন।
-
সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে অসাধারণ পাণ্ডিত্যের জন্য ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাঁকে “বিদ্যাসাগর” উপাধি প্রদান করে।
-
১৮৪১ সালের ২৯ ডিসেম্বর, মাত্র একুশ বছর বয়সে তিনি ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান পণ্ডিত হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
-
তাঁর আত্মজীবনীমূলক অসমাপ্ত রচনা: ‘আত্মচরিত’।
অনুবাদ গ্রন্থসমূহ
-
ভ্রান্তিবিলাস – শেক্সপিয়রের Comedy of Errors অবলম্বনে।
-
বেতালপঞ্চবিংশতি – হিন্দি বৈতালপচ্চিসি এর বঙ্গানুবাদ।
-
শকুন্তলা – কালিদাসের অভিজ্ঞান শকুন্তলাম অনুসারে।
-
সীতার বনবাস – রামায়ণ অনুসারে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা; উচ্চমাধ্যমিক সাহিত্যপাঠ; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
কোনটি বিদ্যাসাগরের আত্মজীবনীমূলক লেখা?
Created: 1 week ago
A
আত্মচরিত
B
আত্মকথা
C
আত্মজিজ্ঞাসা
D
আমার কথা
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
পূর্ণ নাম: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
-
জন্ম: ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০, বীরসিংহ, মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ
-
পদবি: ১৮৩৯ সালে সংস্কৃত কলেজ তাকে ‘বিদ্যাসাগর’ উপাধি দিয়েছিল
-
পেশা ও পরিচয়: সংস্কৃত পণ্ডিত, লেখক, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক, জনহিতৈষী
-
প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ: বেতালপঞ্চবিংশতি
-
আত্মজীবনী: বিদ্যাসাগর চরিত (অথবা আত্মচরিত)
বিখ্যাত গ্রন্থসমূহ
-
শকুন্তলা
-
সীতার বনবাস
-
ভ্রান্তিবিলাস
শিক্ষামূলক গ্রন্থসমূহ
-
আখ্যান মঞ্জরী
-
বোধোদয়
-
বর্ণপরিচয়
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago