A
ভূমিপুত্র
B
মাটির জাহাজ
C
কাঁটাতারে প্রজাপতি
D
চিলেকোঠার সেপাই
উত্তরের বিবরণ
‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাস
-
লেখক: আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
-
ধরণ: মহাকাব্যোচিত উপন্যাস
-
প্রেক্ষাপট: ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা আন্দোলনের পূর্ববর্তী সময়, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
-
প্রধান চরিত্র: ওসমান
-
মূল বিষয়: উপন্যাসে ওসমানের চরিত্রের মাধ্যমে দেখা যায়, কীভাবে স্বাধীনতার লক্ষ্যে একটি বড় আন্দোলনের সঙ্গে সাধারণ মানুষও যুক্ত হয়েছিল। এখানে ইতিবাচক রাজনীতির প্রভাব ও বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রাথমিক রূপ ফুটে উঠেছে।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
-
জন্ম: ১৯৪৩, গাইবান্ধা জেলা
-
উপন্যাস:
-
চিলেকোঠার সেপাই
-
খোয়াবনামা
-
-
ছোটগল্প:
-
অন্য ঘরে অন্য স্বর
-
খোয়ারি
-
দুধেভাতে উৎপাত
-
দোজখের ওম
-
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 21 hours ago
চর্যাপদের টীকাকারের নাম কি?
Created: 21 hours ago
A
মীননাথ
B
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
মুনিদত্ত
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ হলো বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন এবং এটি গানের সংকলন।
-
এটিকে চর্যাগীতি, চর্যাপদ বা চর্যাচর্যবিনিশ্চয় নামেও ডাকা হয়।
-
চর্যাপদের বিষয়বস্তু মূলত বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে সাধনভজন ও আধ্যাত্মিক তত্ত্ব প্রকাশ করে।
-
চর্যাগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছিলেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন, যা বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ চর্যাপদকে আধুনিক লিপিতে প্রকাশ করে।
-
চর্যাপদের টীকা করেন মুনিদত্ত।
-
চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র, আর ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী সেই তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 21 hours ago
কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মৃত্যুক্ষুধা
B
আলেয়া
C
ঝিলিমিলি
D
মধুমালা
‘মৃত্যুক্ষুধা’ উপন্যাস
- ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল কাজী নজরুল ইসলামের রাজনৈতিক উপন্যাস মৃত্যুক্ষুধা।
- কাজী নজরুল ইসলাম 'মৃত্যুক্ষুধা' উপন্যাসটি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন।
- ১৯২৭ সাল থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত সময়কালে তিনি মৃৎশিল্পের কেন্দ্রভূমি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরের ছিলেন।
- এ কৃষ্ণনগরের চাঁদসড়কের দরিদ্র হিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের দারিদ্র ও দুঃখ ভরা জীবন নিয়ে উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে।
----------------------------
• কাজী নজরুল ইসলাম:
- কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি এবং অবিভক্ত বাংলার সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
- কাজী নজরুল ইসলাম ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- নজরুলের ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’।
- বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ‘বিদ্রোহী কবি’।
- কাজী নজরুল ইসলাম আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত।
কাজী নজরুল ইসলাম রচনাসমগ্র:
• উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা (বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপান্যাস),
- মৃত্যুক্ষুধা,
- কুহেলিকা।
• গল্পগ্রন্থ:
- ব্যথার দান,
- রিক্তের বেদন,
- শিউলিমালা।
• নাটক:
- ঝিলিমিলি,
- আলেয়া
- মধুমালা (গীতিনাট্য)
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
- দুর্দিনের যাত্রী,
- যুগবাণী,
- রুদ্র মঙ্গল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, মৃত্যুক্ষুধা উপন্যাস ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে 'গ্রাম থিয়েটার'-এর প্রবর্তক কে?
Created: 1 week ago
A
মমতাজউদদীন আহমদ
B
আব্দুল্লাহ আল মামুন
C
সেলিম আল দীন
D
রামেন্দু মজুমদার
বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার এর প্রবর্তক : 'সেলিম আল দীন'।
----------------------
সেলিম আল দীন
- তিনি ছিলেন বাংলা ভাষার আধুনিককাল পর্বের অন্যতম নাট্যকার।
- তিনি ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট সীমান্তবর্তী ফেনী জেলার অন্তর্গত সোনাগাজী উপজেলার সেনেরখিল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
- নাট্যকার সেলিম আল দীনের প্রকৃত নাম মইনুদ্দিন আহমেদ ।
- ১৯৬৮ সালে কবি আহসান হাবিব সম্পাদিত ‘দৈনিক পাকিস্তান’ পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকীতে আমেরিকার কালো মানুষদের নিয়ে তাঁর প্রথম বাংলা প্রবন্ধ 'নিগ্রো সাহিত্য' প্রকাশিত হয়।
- তাঁর প্রথম রেডিও নাটক 'বিপরীত তমসায়' ১৯৬৯ সালে এবং প্রথম টেলিভিশন নাটক আতিকুল হক চৌধুরীর প্রযোজনায় 'লিব্রিয়াম' (পরিবর্তিত নাম ঘুম নেই) প্রচারিত হয় ১৯৭০ সালে।
- ১৯৮৬ সালে তিনি নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে যোগদান এবং উক্ত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- ১৯৮১-৮২ সালে নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন নাট্য নির্দেশক নাসির উদ্দীন ইউসুফকে নিয়ে সারাদেশে গড়ে তোলেন ‘বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার’।
- বাংলাদেশের বিচিত্র শ্রমজীবী, পেশাজীবী, বাঙালি ও বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সমাজজীবন ও তাদের আবহমান কালের সংস্কৃতিকে তিনি তাঁর নাটকে মহাকাব্যিক ব্যাপ্তিদান করেছেন।
- ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর রচিত সাহিত্যকর্ম:
• কাব্যগ্রন্থ:
- কবি ও তিমি।
• উপন্যাস:
- অমৃত উপাখ্যান।
• নাটক:
- জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন,
- বাসন,
- তিনটি মঞ্চ নাটক: মুনতাসির, শকুন্তলা ও কিত্তনখোলা,
- কেরামতমঙ্গল,
- প্রাচ্য,
- কিত্তনখোলা,
- হাতহদাই,
- যৈবতী কন্যার মন,
- চাকা,
- হরগজ,
- একটি মারমা রূপকথা,
- বনপাংশুল,
- স্বর্ণবোয়াল,
- পুত্র ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago