A
ঢাকার পল্টন
B
নওগাঁর পরিসর
C
কুষ্টিয়ার কুমারখালী
D
ময়মনসিংহের ত্রিশাল
উত্তরের বিবরণ
গ্রামবার্তা প্রকাশিক
বাংলার মফস্বল অঞ্চল থেকে প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্রের নাম ছিল ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’। এটি একটি মাসিক পত্রিকা ছিল।
১৮৬৩ সালের এপ্রিলে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী (তৎকালীন নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত) থেকে এই পত্রিকাটি বের হয়। কুমারখালী বাংলা পাঠশালার প্রধান শিক্ষক হরিনাথ মজুমদার, যিনি ‘কাঙাল হরিনাথ’ নামেও পরিচিত, ছিলেন এর সম্পাদক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 21 hours ago
কালি ও কলম কী?
Created: 1 week ago
A
উপন্যাস
B
কাব্যগ্রন্থ
C
পত্রিকা
D
প্রবন্ধ
কলকাতা থেকে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মাসিক কালিকলম সচিত্র সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদক ছিলেন মুরলীধর বসু, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় ও প্রেমেন্দ্র মিত্র। পরবর্তীতে শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেন। পত্রিকাটি কলকাতা কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের বরদা এজেন্সি থেকে প্রকাশিত।

0
Updated: 1 week ago
'সন্ধ্যাভাষা' কোন সাহিত্যকর্মের সঙ্গে যুক্ত?
Created: 1 week ago
A
চর্যাপদ
B
পদাবলি
C
মঙ্গলকাব্য
D
রোমান্সকাব্য
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন, যা “চর্যাগীতি” বা “চর্যাগীতিকোষ” নামেও পরিচিত।
-
এটি বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যসংকলন বা গানের সংকলন।
-
চর্যাপদের মূল বিষয়বস্তু বৌদ্ধধর্ম অনুযায়ী সাধনা ও ভজনের তত্ত্ব।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের ভাষাকে বলা হয় ‘সন্ধ্যা’ বা ‘সান্ধ্য ভাষা’, যা কখনও স্পষ্ট এবং কখনও অস্পষ্ট; তাই একে ‘আলো-আঁধারি ভাষা’ বলাও হয়।
-
প্রাচীন ছন্দে রচিত চর্যাপদের পদগুলোর আধুনিক বিশ্লেষণে মাত্রাবৃত্ত ছন্দ ধরা হয়েছে।
চর্যাপদ বিষয়ে গবেষণা
-
১৯২০ সালে বিজয়চন্দ্র মজুমদার চর্যাপদের ভাষা নিয়ে প্রথম আলোচনা করেন।
-
১৯২৬ সালে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় বৈজ্ঞানিকভাবে চর্যাপদের ধ্বনিতত্ত্ব, ব্যাকরণ ও ছন্দ বিশ্লেষণ করে প্রমাণ করেন যে, চর্যাপদ বাংলা ভাষায় রচিত।
-
এছাড়াও ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্, ড. সুকুমার সেন, ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের ভাষা ও বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষণা করেছেন।
-
১৯৪৬ সালে ড. শশীভূষণ দাশগুপ্ত চর্যাপদের সহজিয়ান প্রসঙ্গে অন্তর্নিহিত তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেন।
-
বিহারের পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন বৌদ্ধ সিদ্ধাচর্য, বৈদ্ধ সহজান এবং চর্যাগীতিকা নিয়ে ইংরেজি ও হিন্দিতে বিস্তৃত গবেষণা করেছেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থসমূহের মধ্যে কোনটি ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর লেখা?
Created: 1 week ago
A
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
B
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
C
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
D
বাংলা সাহিত্যের কথা
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ এবং বাংলা সাহিত্য
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য গবেষণায় এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শহীদুল্লাহ ছিলেন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক এবং ভাষাতত্ত্ববিদ।
শহীদুল্লাহ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে এম.এ (১৯১২) ডিগ্রি অর্জন করেন এবং দু’বছর পর বি.এল (১৯১৪) ডিগ্রিও নেন। ১৯২৬ সালে তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপে যান। তিনি বহুভাষাবিদ ছিলেন এবং ১৮টি ভাষা জানতেন, যার কারণে বিভিন্ন ভাষার জ্ঞানভাণ্ডারে সহজে প্রবেশ করতে পারতেন। বাংলার ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে তাঁর অবদান তাঁকে “জ্ঞানতাপস” এবং “চলিষ্ণু অভিধান” হিসেবে পরিচিত করেছে।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
-
বাংলা সাহিত্যের কথা
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনা করেন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বাংলা সাহিত্য ইতিহাসগ্রন্থ:
-
সুকুমার সেন: বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
-
মুহম্মদ এনামুল হক ও সৈয়দ আলী আহসান: বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (১৯৬৮)
-
আহমদ শরীফ: বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য
উৎস: বাংলাপিডিয়া; বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 week ago