জীবনী সাহিত্যের ধারা গড়ে ওঠে কাকে কেন্দ্র করে?
A
শ্রীচৈতন্যদেব
B
কাহ্নপা
C
বিদ্যাপতি
D
রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব
উত্তরের বিবরণ
শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী ও বাংলায় জীবনী সাহিত্য
শ্রীচৈতন্যদেবের জীবনী রচনার মাধ্যমে বাংলায় জীবনী সাহিত্য শুরু হয়। চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনী লেখক হিসেবে খ্যাত মুরারি গুপ্ত।
তিনি ‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃতম’ নামক কাব্য রচনা করেন, যা ‘মুরারি গুপ্তের কড়চা’ নামে পরিচিত। এটি মূলত সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
বাংলায় চৈতন্যদেবের জীবনী
-
বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন বৃদ্ধাবন দাস। গ্রন্থের নাম: চৈতন্য-ভাগবত।
-
দ্বিতীয় জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন লোচন দাস, নাম: চৈতন্য-চরিতামৃত।
-
তথ্যের দিক থেকে সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ এবং অনন্য জীবনী রচনা করেন কৃষ্ণদাস কবিরাজ, নাম: চৈতন্য-চরিতামৃত।
সূত্র:বাংলা ভাষার ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
0
Updated: 1 month ago
‘কিত্তনখােলা’ নাটকটির বিষয়-
Created: 1 month ago
A
যন্ত্রণাদগ্ধ শহরজীবন
B
স্নিগ্ধ-শ্যামল প্রকৃতির রূপ
C
লোকায়ত জীবন-সংস্কৃতি
D
দেশবিভাগজনিত জীবন যন্ত্রণা
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটি সেলিম আল দীন রচিত একটি জীবনঘনিষ্ঠ নাট্যকর্ম, যা বাংলা নাট্যশিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। নাটকটির মাধ্যমে সেলিম আল দীন পাশ্চাত্য নাট্যরীতি পরিহার করে প্রাচ্যীয় রীতি ও বাঙালির প্রান্তিক জনগণের জীবন-সংস্কৃতিকে নাট্যরূপে উপস্থাপন করেন।
তিনি নিজেও বলেছেন যে, কিত্তনখোলা রচনার সময় তিনি মানিকগঞ্জের লোকায়ত জীবন, সংস্কৃতি এবং অপূর্ব নিসর্গের সঙ্গে পরিচিত হয়েছেন, যা নাটকে স্পষ্ট প্রতিফলিত হয়েছে।
মূল তথ্যগুলো:
-
‘কিত্তনখোলা’ নাটকটির রচয়িতা সেলিম আল দীন।
-
নাটকটি বাঙালির প্রান্তিক জনমানুষের প্রথাগত জীবন এবং সাংস্কৃতিক আচার-আচরণের ইতিবৃত্তকে তুলে ধরেছে।
-
নাট্যরচনার মাধ্যমে প্রাচ্যীয় নাট্যরীতি বাংলা নাট্যশিল্পে প্রবর্তন হয়।
সেলিম আল দীন:
-
জন্ম: ১৮ নভেম্বর ১৯৪৮, সোনাগাজি, নোয়াখালি জেলার সেনেরখিল গ্রামে।
-
তিনি মূলত কবিতা লিখতেন, তবে ১৯৭২ সালে তার নাটক ‘নীল শয়তান: তাহিতি ইত্যাদি’ টেলিভিশন ও বেতারে প্রচার হওয়ার পর নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি পান।
-
একই বছর ডাকসু মঞ্চে ‘জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন’ মঞ্চস্থ হয় এবং নাট্য প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পায়।
-
১৯৭৩ সালে ডাকসু নাট্যচক্র ‘এক্সপ্লোসিভ ও মূল সমস্যা’ মঞ্চস্থ করলে তিনি নাট্যকার হিসেবে সর্বজন পরিচিত হন।
সেলিম আল দীনের অন্যান্য নাট্যগ্রন্থ:
-
সর্প বিষয়ক গল্প ও অন্যান্য
-
বাসন
-
কেরামতমঙ্গল
-
কিত্তনখোলা
-
হাতহদাই
-
শকুন্তলা
-
মুনতাসীর ফ্যান্টাসি
-
জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন
-
চাকা
-
যৈবতী কন্যার মন
-
হরগজ
-
নিমজ্জন
0
Updated: 1 month ago
যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশুগৃহে তার দেখিবে না আর নিশিথে ভাতি- এই অংশের সম্প্রসারণে কোন ভাষাটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
দিনের বেলায় আলোর উৎস সূর্য
B
দিনের বেলায় প্রদীপ জ্বালানো আবশ্যক
C
দিনের বেলায় প্রদীপ জ্বালানো অপচয়ের নামান্তর
D
অপব্যয়ের পরিণাম অত্যন্ত দুঃখজনক
উক্ত পংক্তিতে কবি বোঝাতে চেয়েছেন— যে ব্যক্তি দিনের আলো থাকাকালীন অকারণে মোমবাতি জ্বালায়, সে আসল প্রয়োজনের সময় (রাত্রে) আর আলো জ্বালাতে পারবে না।
এর অর্থ হলো, অযথা ব্যয় করলে বা অপচয় করলে প্রয়োজনকালে অভাব দেখা দেয়। তাই এখানে মূল শিক্ষা হলো অপব্যয়ের পরিণাম দুঃখজনক।
ক, খ, গ বিকল্পে আংশিক সত্য থাকলেও মূল বক্তব্যকে ধারণ করে না। সঠিক সম্প্রসারণ হলো "অপব্যয়ের পরিণাম অত্যন্ত দুঃখজনক"।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি পারিভাষিক শব্দ?
Created: 1 month ago
A
কলেজ
B
নথি
C
রেডিও
D
অক্সিজেন
পারিভাষিক শব্দ: বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের ভাবানুবাদমূলক প্রতিশব্দকে পারিভাষিক শব্দ বলে। এর বেশিরভাগই এ কালের প্রয়োগ। নথি - file অম্লজান - Oxygen উদযান - hydrogen তাই সঠিক উত্তর : নথি।
0
Updated: 1 month ago