ইংরেজি ভাষায় জীবনানন্দ দাশের ওপর গ্রন্থ লিখেছেন কে?
A
ডব্লিউ বি ইয়েটস
B
ক্লিনটন বি সিলি
C
অরুন্ধতী রায়
D
অমিতাভ ঘোষ
উত্তরের বিবরণ
ক্লিনটন বি. সিলি
-
ক্লিনটন বি. সিলি যুক্তরাষ্ট্রের একজন খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ, গবেষক ও বাংলা সাহিত্য অনুবাদক।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪১ সালের ২১ জুন। বর্তমানে তিনি শিকাগো ইউনিভার্সিটির ইমেরিটাস অধ্যাপক।
-
বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি জীবনানন্দ দাশ-এর জীবন ও সাহিত্য নিয়ে তিনি গভীরভাবে গবেষণা করেছেন।
-
জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে তার লেখা গুরুত্বপূর্ণ জীবনীগ্রন্থের নাম “A Poet Apart”, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৯০ সালে।
-
এ গ্রন্থটির বাংলা অনুবাদ করেন ফারুক মঈনউদ্দীন। অনুবাদ সংস্করণটির নাম “অনন্য জীবনানন্দ”, যা প্রকাশিত হয় ২০১১ সালে।
উৎস: প্রথম আলো, রিপোর্ট প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৪।
0
Updated: 1 month ago
'কবিতার কথা' জীবনানন্দ দাশ রচিত কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
Created: 1 month ago
A
কাব্যগ্রন্থ
B
উপন্যাস
C
প্রবন্ধগ্রন্থ
D
কবিতা
‘কবিতার কথা’ প্রবন্ধগ্রন্থ
-
রচয়িতা: জীবনানন্দ দাশ
-
এটি তাঁর প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ, যা মৃত্যুর পর ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয়েছিল।
-
গ্রন্থের বিখ্যাত উক্তি: “সকলেই কবি নন, কেউ কেউ কবি।”
-
প্রবন্ধগ্রন্থে জীবনানন্দ দাশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় মুদ্রিত ১৫টি প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে।
জীবনানন্দ দাশের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
বেলা অবেলা কালবেলা ইত্যাদি
জীবনানন্দ দাশের উপন্যাস
-
মাল্যবান
-
সতীর্থ
-
কল্যাণী
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 1 month ago
জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯২৭ সালে
B
১৯৩৯ সালে
C
১৯২৯ সালে
D
১৯৪৭ সালে
‘ঝরা পালক’ জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যেখানে তাঁর কাব্যজগতের সূচনা ঘটে এক বিশেষ ভাবরীতি ও ভাষাশৈলীর মাধ্যমে। এই গ্রন্থেই তাঁর কবি সত্তার প্রথম পূর্ণ প্রকাশ দেখা যায়। কবিতাগুলিতে গ্রামবাংলার প্রকৃতি, নিসর্গ, একাকিত্ব এবং আত্মচেতনা মিলেমিশে এক অনন্য কাব্যিক জগৎ তৈরি করেছে।
-
‘ঝরা পালক’ জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যা ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
-
এতে মোট ৩৫টি কবিতা সংকলিত হয়েছে, যা কবির শুরুর দিকের চিন্তা, বেদনা ও আত্মমগ্নতার পরিচয় বহন করে।
-
ভূমিকায় কবি লিখেছিলেন: “ঝরা পালকের কতকগুলি কবিতা প্রবাসী, বঙ্গবাণী, কল্লোল, কালি-কলম, প্রগতি, বিজলি প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিলো। বাকিগুলি নতুন।”
-
এই কাব্যগ্রন্থে জীবনানন্দ দাশের কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রভাব যেমন রয়েছে, তেমনি আছে এক নতুন ভাষারীতি, স্বকীয় বাকপ্রতিমা ও অনুভবের গভীরতা।
-
কবির কবিতায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যময় প্রকৃতি, নদী, পাখি, গাছপালা ও নিসর্গচিত্র জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
-
তাঁর ভাষায় একধরনের বিষণ্ণতা, আত্মঅন্বেষণ ও নান্দনিকতা প্রকাশ পায়, যা পরবর্তীতে তাঁকে আধুনিক বাংলা কবিতার পথিকৃত করে তোলে।
-
‘ঝরা পালক’-এর কবিতাগুলি মূলত আধুনিকতার সূচনা বিন্দু, যেখানে রোমান্টিকতা ও বাস্তববোধের মেলবন্ধন ঘটেছে।
জীবনানন্দ দাশ বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, যিনি প্রকৃতি, মানুষ ও সময়ের গভীর সম্পর্ককে অনন্য কাব্যভাষায় প্রকাশ করেছেন।
-
প্রধান কাব্যগ্রন্থ: ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা।
-
উপন্যাস: মাল্যবান, সুতীর্থ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: কবিতার কথা।
-
তাঁর কবিতায় প্রকৃতির অন্তরাত্মা, সময়ের বোধ, নিঃসঙ্গতা ও অস্তিত্বের প্রশ্ন গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
-
জীবনানন্দ দাশের রচনাশৈলী বাংলা কবিতায় নতুন প্রতীক, ছন্দ ও দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দিয়েছে, যা বাংলা আধুনিক কবিতার নতুন যুগের সূচনা হিসেবে বিবেচিত।
0
Updated: 2 weeks ago
জীবনান্দ দাশকে 'নির্জনতম কৰি' আখ্যা দিয়েছেন কে?
Created: 2 weeks ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
বুদ্ধদেব বসু
C
দীপ্তি ত্রিপাঠী
D
আব্দুল মান্নান সৈয়দ
জীবনানন্দ দাশকে ‘নির্জনতম কবি’ আখ্যায়িত করেছেন কবি ও সমালোচক বুদ্ধদেব বসু। এই আখ্যায়নের মাধ্যমে তিনি জীবনানন্দের কবিত্বচেতনার বিশেষ বৈশিষ্ট্য— নিঃসঙ্গতা, আত্মমগ্নতা ও গভীর অন্তর্জগৎ—কে তুলে ধরেছেন।
-
জীবনানন্দের কবিতায় সমাজ বা রাজনীতি নয়, বরং মানুষের অন্তর্লোক, স্মৃতি, প্রকৃতি ও অস্তিত্ববোধ প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।
-
তাঁর কবিতায় নীরবতা, নিঃসঙ্গতা ও অতীতচেতনা এক অনন্য সৌন্দর্যে প্রকাশ পায়।
-
বুদ্ধদেব বসু মনে করেন, জীবনানন্দ নিজের চারপাশের জগৎ থেকে আলাদা থেকে নিজস্ব নিস্তব্ধ জগৎ সৃষ্টি করেছেন, যেখানে তিনি চেতনা ও অনুভূতির গভীরে ডুব দিয়েছেন।
-
এই নির্জনতা তাঁকে বাংলা কবিতায় এক অদ্বিতীয় আধুনিক কবির মর্যাদা দিয়েছে।
0
Updated: 2 weeks ago