কাজী নজরুল ইসলামের মােট ৫টি গ্রন্থ বিভিন্ন সময়ে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার বাজেয়াপ্ত করে। কোন বইটি প্রথম বাজেয়াপ্ত হয়?
A
বিষের বাঁশি
B
যুগবাণী
C
ভাঙার গান
D
প্রলয় শিখা
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের ‘যুগবাণী’ প্রবন্ধগ্রন্থ
-
প্রকাশকাল: কাজী নজরুল ইসলামের প্রবন্ধসংকলন ‘যুগবাণী’ ১৯২২ সালের অক্টোবরে প্রকাশিত হয়।
-
প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ: এটি ছিল নজরুলের প্রথম প্রবন্ধভিত্তিক বই।
-
নিষিদ্ধ ঘোষণা: বইটি প্রকাশের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই, ২৩ নভেম্বর ১৯২২ সালে ব্রিটিশ সরকার ফৌজদারি বিধির ৯৯এ ধারা অনুযায়ী বাজেয়াপ্ত ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
-
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: অনেক পরে, ১৯৪৭ সালে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
-
গ্রন্থের বিষয়বস্তু: প্রবন্ধগুলোতে মূলত স্বদেশি চেতনা, জাতীয় জাগরণ, ব্রিটিশবিরোধী মনোভাব ও শিক্ষার নতুন দিকনির্দেশনা ফুটে ওঠে।
-
অন্তর্ভুক্ত প্রবন্ধ: নবযুগ, ধর্মঘট, সত্য-শিক্ষা, ভাব ও কাজ, জাতীয় শিক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাগরণী প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম যে গ্রন্থটি সরকার নিষিদ্ধ করে, সেটি হলো ‘যুগবাণী’।
নজরুলের ৫টি নিষিদ্ধ গ্রন্থ
-
যুগবাণী (প্রবন্ধগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ২৩ নভেম্বর ১৯২২, নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় ১৯৪৭।
-
বিষের বাঁশী (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ২২ অক্টোবর ১৯২৪, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার: ২৭ এপ্রিল ১৯৪৫।
-
ভাঙার গান (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ১১ অক্টোবর ১৯২৪।
-
প্রলয় শিখা (কবিতাগ্রন্থ) – নিষিদ্ধ: ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৩০।
-
চন্দ্রবিন্দু (গানের সংকলন) – নিষিদ্ধ: ১৪ অক্টোবর ১৯৩১।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 1 month ago
‘বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন’ - এই পরোক্ষ উক্তির প্রত্যক্ষরূপ হবে-
Created: 1 month ago
A
বাবা ছেলেকে বললেন, বাবা তুমি দীর্ঘজীবী হও
B
বাবা ছেলেকে বললেন যে, তোমার দীর্ঘায়ু হোক
C
বাবা ছেলেকে বললেন, ‘তুমি দীর্ঘজীবী হও’
D
বাবা ছেলেকে বললেন যে, আমি তোমার দীর্ঘায়ু কামনা করি
বাংলা ব্যাকরণে উক্তি প্রকাশের দুটি ভিন্ন রূপ রয়েছে— প্রত্যক্ষ উক্তি ও পরোক্ষ উক্তি।
-
প্রত্যক্ষ উক্তিতে বক্তার বক্তব্যটি ঠিক যেমনটি বলা হয়েছে, তেমনভাবেই তুলে ধরা হয়। এজন্য বক্তব্যটি সবসময় উদ্ধরণ চিহ্ন (“ ”) এর ভেতরে থাকে।
-
পরোক্ষ উক্তিতে বক্তার বক্তব্য সরাসরি না বলে অন্যভাবে প্রকাশ করা হয়। এখানে উদ্ধরণ চিহ্ন থাকে না, বরং বক্তব্য যোগ করার জন্য সাধারণত ‘যে’ সংযোজক অব্যয় ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ:
-
পরোক্ষ উক্তি: বাবা ছেলের দীর্ঘায়ু কামনা করলেন।
-
প্রত্যক্ষ উক্তি: বাবা ছেলেকে বললেন, “তুমি দীর্ঘজীবী হও।”
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি – ড. হায়াৎ মামুদ
0
Updated: 1 month ago
‘এ কোন্ পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মার আঙ্গিনায়’- গানটির রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
D
লালন শাহ
কাজী নজরুল ইসলামের কুমিল্লা অবস্থান ও অসহযোগ আন্দোলন
-
কুমিল্লা থেকে নজরুল দৌলতপুর গ্রামের আলী আকবর খানের বাড়িতে কিছুদিন অবস্থান করেন। এরপর ১৯ জুন কুমিল্লায় ফিরে ১৭ দিন অবস্থান করেন। তখন অসহযোগ আন্দোলন কুমিল্লায় উত্তপ্ত ছিল।
-
নজরুল কুমিল্লায় বিভিন্ন শোভাযাত্রা ও সভায় যোগ দিয়ে নিজস্ব সুরারোপিত স্বদেশী গান পরিবেশন করেন। তাঁর গানগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
‘এ কোন্ পাগল পথিক ছুটে এলো বন্দিনী মার আঙ্গিনায়’
-
‘আজি রক্ত-নিশি ভোরে / একি এ শুনি ওরে / মুক্তি-কোলাহল বন্দী-শৃঙ্খলে’
-
-
এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কলকাতার সৌখিন গীতিকার ও গায়ক নজরুল কুমিল্লায় অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয় হন এবং পরাধীনতার বিরুদ্ধে জাগরণী গান রচনা ও পরিবেশন করেন।
কাজী নজরুল ইসলামের কিছু বিখ্যাত গান:
-
ভিক্ষা দাও! ভিক্ষা দাও! ফিরে চাও ওগো পুরবাসী
-
বাজাও প্রভু বাজাও ঘন
-
বন্দীর মন্দিরে জাগো দেবতা
-
জাগো জাগো বধূ জাগো নব-বাসরে
-
কে যাবি পারে আয় ত্বরা করি
0
Updated: 1 month ago
আমি এ কথা, এ ব্যথা, সুখব্যাকুলতা কাহার চরণতলে দিব নিছনি।'-রবীন্দ্রনাথের এ গানে 'নিছনি' কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 2 months ago
A
অপনোদন অর্থে
B
পূজা অর্থে
C
বিলানো অর্থে
D
উপহার অর্থে
‘নিছনি’ (বিশেষ্য পদ)
অর্থ— অর্ঘ্য, নিবেদন। যেমন— “যদি না দিই নিছনি সেই প্রিয় সখার পার তলে” (ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ)।
এছাড়া শব্দটি রূপ, লাবণ্য, উপহার, বেশবিন্যাস অর্থেও ব্যবহৃত হয়।
তবে প্রদত্ত পঙ্ক্তিতে ‘নিছনি’ শব্দটি পূজা বা নিবেদন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
‘অপনোদন’ (বিশেষ্য পদ)
অর্থ— দূর করা, অপসারণ বা খণ্ডন।
‘বিলানো’ (ক্রিয়াপদ)
অর্থ— বণ্টন করা, দান বা বিতরণ করা।
উৎস: অভিগম্য অভিধান, বাংলা একাডেমি
0
Updated: 2 months ago