মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক কোনটি?
A
ছেঁড়াতার
B
চাকা
C
বাকী ইতিহাস
D
কী চাহ হে শঙ্খচিল
উত্তরের বিবরণ
‘কি চাহ শঙ্খচিল’ নাটক
-
‘কি চাহ শঙ্খচিল’ মমতাজ উদ্দীন আহমদ রচিত একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক। এ নাটকে মূলত বীরাঙ্গনার করুণ কাহিনি ফুটে উঠেছে।
-
১৯৮৩-৮৪ সালে প্রকাশিত এই নাটকে লেখক প্রেম, স্বাধীনতা আর প্রতিবাদের এক ভিন্নরকম চিত্র এঁকেছেন।
-
নাটকে শঙ্খচিল হয়ে উঠেছে একাত্তরের অশুভ শক্তির প্রতীক, যেন শকুনের মতো ভয়ংকর উপস্থিতি।
-
প্রধান চরিত্র রৌশনারা হানাদারদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার আগেই সন্তানসম্ভবা হয়। অথচ তার স্বামী বীরাঙ্গনা স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে অর্থ-সুবিধা ভোগ করতে থাকে।
-
এই নাটক আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে স্বাধীনতা অর্জনের পথে কত ত্যাগ, বেদনা আর সংগ্রামের গল্প লুকিয়ে আছে।
মমতাজ উদ্দীন আহমদ
-
মমতাজ উদ্দীন আহমদ (১৯৩৫-২০১৯) বাংলা নাট্যসাহিত্যের এক বিশিষ্ট নাট্যকার।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মালদহে।
-
তাঁর লেখা বিখ্যাত নাটকের মধ্যে রয়েছে:
-
স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা
-
কি চাহ শঙ্খচিল
-
হৃদয়ঘটিত ব্যাপার স্যাপার
-
প্রেম
-
বিবাহ সুটকেস
-
রাজা অনুস্বারের পালা
-
সাত ঘাটের কানাকড়ি
-
রাক্ষুসী
-
এই সেই কণ্ঠস্বর
-
পুত্র আমার পুত্র
-
হাস্য লাস্য ভাষ্য
-
ভালোবাসার দশ নাটক ইত্যাদি।
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক
মমতাজ উদ্দীন আহমদের রচিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ নাটক হলো—
-
বর্ণচোর
-
বকুলপুরের স্বাধীনতা
-
কি চাহ শঙ্খচিল
-
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম
উৎস : বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, কি চাহ শঙ্খচিল, মমতাজ উদ্দীন আহমদ
0
Updated: 1 month ago
'নীল দর্পণ' নাটক কত সালে প্রকাশিত হয়?
Created: 5 months ago
A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৬ সালে
• নীল-দর্পণ:
- 'নীল-দর্পণ' (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্র রচিত শ্রেষ্ঠ নাটক এবং শ্রেষ্ঠ রচনাও।
- এটি ১৮৬০ সালে প্রকাশিত হয়।
- তৎকালীন নীলচাষ ও নীলকর সাহেবদের প্রজাপীড়ন এবং শাসকশ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণ নাটকটির বিষয়বস্তু।
- নাটকটি তৎকালীন সমাজে বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং কৃষকদের নীলবিদ্রোহে ইন্ধন জোগায়।
- মাইকেল মধুসূদন দত্ত' A Native' ছদ্মনামে নাটকটির ইংরেজি অনুবাদ করেন ও নাম দেন 'Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror' (1861) এবং পাদ্রি জেমস লং তা প্রকাশ করে আদালত কর্তৃক অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন।
- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নীল-দর্পণকে 'Uncle Tom`s Cabin-এর সঙ্গে তুলনা করেন।
- ১৮৬০ সালে 'কস্যচিৎ পথিকস্য' ছদ্মনামে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর এটি দিয়েই শুরু হয় সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়।
• তাঁর রচিত অন্যান্য নাটক:
- নবীন তপস্বিনী,
- লীলাবতী,
- কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
প্রথম বাংলা সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক রচনা করেন কে?
Created: 5 months ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
দীনবন্ধু মিত্র
C
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
D
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক: কৃষ্ণকুমারী
‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটকটি মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচনা করেন ১৮৬০ সালে এবং এটি প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে।
-
নাটকের কাহিনি সংগৃহীত হয়েছে উইলিয়াম টডের ‘রাজস্থান’ গ্রন্থ থেকে।
-
এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্র্যাজেডি নাটক, যা মধুসূদনের নাট্যসাহিত্যে বিশেষ অবদান হিসেবে বিবেচিত।
-
নাটকের উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হলো: কৃষ্ণকুমারী, মদনিকা, ভীমসিংহ, জগৎসিংহ ও ধনদাস।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
-
জন্ম: ২৫ জানুয়ারি ১৮২৪, যশোর জেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে, কপোতাক্ষ নদের তীরে।
-
বাংলা ভাষায় সনেট এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক।
-
‘পদ্মাবতী’ নাটকের দ্বিতীয় অঙ্কের দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে তিনি প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রয়োগ করেন।
-
অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্যগ্রন্থ: তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য।
তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটকসমূহ:
-
শর্মিষ্ঠা
-
পদ্মাবতী
-
কৃষ্ণকুমারী
-
মায়াকানন
প্রহসন (হাস্যরসাত্মক নাট্য)
একেই কি বলে সভ্যতা?-
বুড়ো সালিকের ঘাড়ে রোঁ
কাব্যগ্রন্থ:
-
তিলোত্তমাসম্ভব কাব্য
-
মেঘনাদবধ কাব্য
-
ব্রজাঙ্গনা কাব্য
-
বীরাঙ্গনা কাব্য
-
চতুর্দশপদী কবিতাবলী
উৎস: বাংলা ভাষা সাহিত্য ও জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 5 months ago
'সধবার একাদশী' নাটকে কাদের নৌতিক অধঃপতনের চিত্রফুটে উঠেছে?
Created: 2 weeks ago
A
উচ্চবিত্ত বিবাহিত নারীদের
B
জমিদারদের
C
কলকাতার বাবুদের
D
বারবণিতাদের
‘সধবার একাদশী’ (১৮৬৬) একটি প্রহসনধর্মী নাটক, যেখানে তৎকালীন ইয়ংবেঙ্গল দলের উচ্ছৃঙ্খলতা, অনাচার ও নৈতিক অবক্ষয়কে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই নাটকে উনবিংশ শতাব্দীর শহুরে যুব সমাজের একাংশের সুরাসক্তি, বিলাসিতা ও অসংযমী জীবনযাত্রার ফলে সমাজে যে বিপর্যয় নেমে এসেছিল, তারই বাস্তব প্রতিফলন দেখা যায়।
নায়ক নিমচাঁদ একজন প্রতিভাবান যুবক, কিন্তু সুরাপান ও বেশ্যাসক্তির কারণে তার জীবনে ব্যর্থতা, অধঃপতন ও আত্মগ্লানির ছায়া নেমে আসে। এই চরিত্রের মাধ্যমে নাট্যকার একদিকে যুব সমাজের অন্তর্দ্বন্দ্ব তুলে ধরেছেন, অন্যদিকে তৎকালীন সামাজিক মূল্যবোধের ভাঙনকেও প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, কেনারাম চরিত্রটি তৎকালীন শিক্ষিত সমাজের ভণ্ডামি ও নৈতিক দুর্বলতার প্রতীক। তার মাধ্যমে সেই সময়কার বিচারব্যবস্থা ও সামাজিক নৈতিকতার হাস্যকর চিত্র স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ফলে নাটকটি শুধু সামাজিক ব্যঙ্গ নয়, বরং এক গভীর নৈতিক ও মনস্তাত্ত্বিক তাৎপর্যপূর্ণ রচনা হিসেবেও বিবেচিত হয়।
0
Updated: 2 weeks ago