১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ৰমৃত্যুর প্রতিবাদে কোন উপাচার্য পদত্যাগ করেছিলেন?
A
স্যার এ. এফ. রহমান
B
রমেশচন্দ্র মজুমদার
C
সৈয়দ সাজ্জাদ হােসায়েন
D
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী
উত্তরের বিবরণ
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি জেনেভায় অবস্থানকালে পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
পরে মুজিবনগর সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে তিনি লন্ডনে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক মহলে সমর্থন জোগাড়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি দেশে ফিরে আসেন এবং ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 1 month ago
কোনটি রবীন্দ্ররচনার অন্তর্গত নয়?
Created: 2 months ago
A
"কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও?"
B
"অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।"
C
"প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?"
D
"কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে।"
"অগ্নিগ্রাসী বিশ্বত্রাসি জাগুক আবার আত্মদান।"- পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্ররচনার অন্তর্গত নয়।
অন্যদিকে,
• 'কালের যাত্রার ধ্বনি শুনিতে কি পাও'- পঙ্ক্তিটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত 'শেষের কবিতা' উপন্যাসের একটি বিখ্যাত লাইন।
• "প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে তাই হেরি তায় সকল খানে?"- পঙ্ক্তি' রবীন্দ্রনাথের 'রাজা' নাটকের অন্তর্গত আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে কবিতার অন্তর্ভুক্ত।
• 'কি আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে নদীর কূলে - এ পঙক্তিটি রবীন্দ্রনাথ রচিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা' কবিতার অন্তর্গত।
---------------------------
• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৬১ সালের ৭ মে (১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫শে বৈশাখ) কলকাতার জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
- তিনি ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ-সংস্কারক।
- তাঁর পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
- মাত্র পনের বছর বয়সে তাঁর 'বনফুল' কাব্য প্রকাশিত হয় এবং এশিয়ার বরেণ্য ব্যক্তিদের মধ্যে তিনিই প্রথম 'গীতাঞ্জলি' কাব্যের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন।
- ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২শে শ্রাবণ, ১৩৪৮) জোড়াসাঁকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
• তাঁর রচিত উপন্যাস:
- ঘরে-বাইরে,
- চোখের বালি,
- শেষের কবিতা,
- যোগাযোগ,
- নৌকাডুবি,
- বউ ঠাকুরানীর হাট,
- দুই বোন,
- মালঞ্চ,
- চতুরঙ্গ,
- গোরা,
- রাজর্ষি,
- চার অধ্যায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া; বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।
0
Updated: 2 months ago
‘মহাকীর্তি’ – এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
মহতী যে কীর্তি
B
মহা যে কীর্তি
C
মহান যে কীর্তি
D
মহান কীর্তি যার
মহাকীর্তি সমাসটি কর্মধারয় সমাস। কর্মধারয় সমাসে পরপদের অর্থ প্রধান হয়। পূর্বপদে স্ত্রীবাচক বিশেষণ থাকলে কর্মধারয় সমাসে সেটি পুরুষবাচক হয়। যেমন: মহতী যে কীর্তি - মহাকীর্তি।
0
Updated: 1 month ago
‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ কী ধরনের রচনা?
Created: 2 months ago
A
ছোটগল্প
B
কাব্যনাটক
C
উপন্যাস
D
পত্রপন্যাস
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় সৈয়দ শামসুল হক রচিত একটি কাব্যনাট্য। এখানে মুক্তিযুদ্ধকে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনায় তুলে ধরা হয়েছে। নাটকটিতে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ শত্রু মুক্ত হওয়ার সময়কালে একটি প্রত্যন্ত গ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় মূলত মুক্তিযোদ্ধাদের আগমনের পদধ্বনি। তাঁর রচিত অন্যান্য কাব্যনাট্য নূরলদীনের সারাজীবন, এখানে এখন, গণনায়ক, বাংলার মাটি বাংলার জল ইত্যাদি।
0
Updated: 2 months ago